সোনার বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর

পার্বতীপুর রেল স্টেশন ভবন নির্মাণে অনিয়ম তদন্ত

পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ছাদ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছেন তদন্ত কমিটি

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায় গত ৩ অক্টোবর পার্বতীপুর রেল স্টেশন ভবনের ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সূত্রে প্রকাশ, পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজের অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত ১১ ডিসেম্বর তদন্ত দল পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ঢালাইসহ অন্যান্য কাজে অনিয়ম হয়েছে কি না তা দিনভর খতিয়ে দেখেন। তদন্ত দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হেমায়েত হোসেন, রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) আব্দুল মতিন, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

রেল সূত্রে জানা যায়- ২০১৩ সালে ১৫ আগস্ট পার্বতীপুর রেল স্টেশনের প্রায় শত বছরের পুরাতন ভবনের ছাদ ভেঙ্গে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়, ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯শ’ ৮০ দশমিক ৯০ টাকা। রাজশাহীর রামচন্দ্রপুর ঘোড়ামারার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এস  হোসেন এন্টারপ্রাইজ ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজে কাজ না করে রাজশাহীর বাচ্চু ও আরজুসহ তিনজনের নিকট কাজটি বিক্রি করে দেয়। সংস্কার কাজ শেষে ৩ মাসের মধ্যে স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়সহ ১২টি কক্ষের ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। নির্মাণ কাজের শিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার রড, বালু, সিমেন্ট, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেল স্টেশনের এরিয়া অপারেটিং ম্যানেজার শাহ আলম তালুকদার বলেন, কাজে অনিয়ম হয়েছে বলেই ছাদ চুয়ে পানি পড়েছে।

তদন্ত দলের প্রধান ও রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হেমায়েত হোসেন তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ঠিক তদন্ত নয়, দাপ্তরিক কাজের অংশ হিসাবে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি।