সংবাদ শিরোনামঃ

বাকশালের পদধ্বনি ** গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক ** গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা : কার্যকর পদক্ষেপ নেই বিশ্বসম্প্রদায়ের ** গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাংবাদিকদের সংগ্রাম চলবেই ** সর্বনাশা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে ** সংসদ এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলবে ** গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্বকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে ** ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’ শেখানোর হাস্যকর চেষ্টা ** আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোজা ও স্বাস্থ্য ** কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা ** গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি নিষ্ঠুরতা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে ** ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খানাখন্দ ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের আশঙ্কা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪২১, ১৯ রমজান ১৪৩৫, ১৮ জুলাই ২০১৪

॥ এইচ এম আব্দুর রহিম ॥
সারা বছর প্রতীার পর মুসলমানদের সামনে যখন মাহে রমজান আসে, মুমিনের আত্মা  তখন আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় ইবাদতে মশগুল হয়। মাহে রমজান আসন্ন। তাই অনেকে ভাবছেন, এত বড় দিনেও বৈরী আবহাওয়ায় কীভাবে রোজা রাখব, রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হবে। আসলে কষ্ট তাদের জন্যই যারা বাহ্যিক চাকচিক্যের মোহে আসক্ত। কিন্তু মোমিন মোত্তাকিদের জন্য এটা কোনো কষ্টই না, বরং রমজান আসছে বলে তাদের হƒà¦¦à§Ÿ আনন্দে উদ্বেলিত। তারা ইতোমধ্যে রমজানের রোজার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছেন। তাদের কাছে রমজান যে মাসেই আসুক না কেন দুশ্চিন্তার কারণ হয় না বরং তারা পরম আনন্দে রোজাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু যারা দুর্বল ঈমানের অধিকারী তারা রোজার মাস নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারা ভাবেন এত বড় দিন আর যে গরম পড়েছে তাতে কীভাবে রোজা রাখব ভাবতেই যেন কষ্ট হচ্ছে। তারপরও দেখা যায়, আমাদের দেশে যত মুসলমান রোজা রাখেন তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে পাওয়া যাবে কিনা আমার জানা নেই। মাহে রমজান হলো মুসলমানদের পূণ্য অর্জনের মাস।

যদি ঘোষণা হয়, আগামী দিন মোবাইলে যে যত টাকা রিলিফ করবে তার একাউন্টে ইনস্ট্যান্ট বোনাস হিসেবে দ্বিগুণ টাকা জমা হবে। তাহলে পরদিন সবাই ফেক্সিলোডের দোকানে নিশ্চিত ভিড় জমাবে। কিন্তু মাহে রমজানের মাসে প্রতিটি ইবাদত ৭০ গুণ বৃদ্ধির ঘোষণা পেয়ে সেদিকে আমরা পূর্ণভাবে দাখিল হতে পারছি না কেন? প্রকৃতপে এ মাসে ইবাদত করে বেহেশতে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারি।

হাদিস শরীফে আছে, যে রমজান মাস পেয়ে পাপ মোচন করতে পারল না তার চেয়ে আর হতভাগা কে হতে পারে। সিয়ামের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন।  এ ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে বলেন, হে বিশ্বাসীগণ তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হলো। যেমন বিধান তোমাদের পুর্ববর্তীদের উপর দেয়া হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৩ )। আর তাকওয়া আর পরহিজগারী  হলো আল্লাহর সন্তষ্টি লাভ। যারা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে সিয়াম পালন করেন, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত হয়। আল্লাহ বলেন, সিয়াম আমার জন্য আমি তার প্রতিদান দেব। কারণ আমার জন্য সে পানাহার ত্যাগ করে থাকে।” মাহে রমজানে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা যেতে পারে। রোজার আর এক নাম সংযম। কোনো বিষয়ের প্রতি সংযম পালন করলে আমরা খাওয়া দাওয়ার প্রতি সংযম হই। অতিরিক্ত খাওয়া খাদ্যের অপচয় হয়। রমজানের শেষের দিকে মার্কেটগুলোতে মহিলাদের ভিড় পরিলতি হয়। কেউ কেউ মার্কেট যাওয়ার আগে পার্লার থেকে সেজে যান।

এমতবস্থায় তাদের পর্দা মেনে চলা কঠিন। যদিও পর্দা করা মুসলিম নারীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। পর্দার ব্যপারে সূরা নূরের ৩১ নন্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ঈমানদার নারীকে বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিনত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজাত করে। বিশেষভাবে সজ্জিতনারীদের দিকে পুরুষরা দৃষ্টি দিলে তাদের রোজায় ত্র“টি দেখা দেবে। কেননা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের দৃষ্টিনত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজাত করে। এতে তাদের জন্য পবিত্রতা আছে। আমাদের দেশে রমজানকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পেশাজীবীর তৎপরতা বেড়ে যায়। পরিবহন মালিকরা পুরাতন গাড়িগুলো রাস্তায় নামিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে, পুলিশের চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মজুদ গড়ে তোলে। দাম বৃদ্ধি করে যা রমজানের আকিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

হিন্দুদের দুর্গাপুজার সময় ও খ্রিস্টানদের বড় দিনের সময় এমন দেখা যায় না। রোজার সময় পেট খালি থাকায় আমরা কোনো কাজে মন বসাতে পারি না। তাই অপরের গিবত করে সময় কাটাই। এ সময়  রোজাদাররা দাবা, লুডু, ক্যারাম, তাসসহ বিভিন্ন  খেলায় মত্ত থাকে। অনেক সময় সময় গল্পের ছলে মিথ্যা বলি। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, “সিয়াম ঢালস্বরূপ। অনেকে রোগের অজুহাতে রোজা ভেঙ্গে ফেলে, যা আদৌ উচিত নয়।”

এই যে অশেষ কল্যাণের মাস আমরা লাভ করতে যাচ্ছি এ জন্য খোদার কাছে আমাদেরকে এখন থেকেই অনেক বেশি দোয়া করা উচিত। যেহেতু রোজা খোদাতায়ালার একটি নেয়ামত, তাই আমরা পবিত্র কুরআনের এই দোয়াটি করতে পারি ‘‘হে আমার প্রভু-প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যেন আমি তোমার অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দিয়েছ। আর সামর্থ্য দাও, যাতে তোমার পছন্দমতো পূণ্যকর্ম করতে পারি, আর তুমি তোমার নিজ অনুগ্রহে আমাকে তোমার পূণ্যবান দাসগণের অন্তর্ভুক্ত কর’’ (সূরা নামল : আয়াত ১৯)। আসলে রোজা আমাদের জন্য খোদার বিশেষ এক কল্যাণ। এ কল্যাণ থেকে আমাদেরকে পরিপূর্ণ লাভবান হওয়া উচিত। আমরা যারা এই রমজান লাভ করার সৌভাগ্য পাচ্ছি। হতে পারে আগামী রমজান নাও পেতে পারি, তাই রমজানকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রতিটি মুসলমানের এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া উচিত।

লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।