বিএনপি এনসিপি হঠাৎ সুর পাল্টানোয় অনিশ্চয়তা

রাষ্ট্র সংস্কারের চুক্তি জুলাই সনদ


১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩২

॥ ফারাহ মাসুম ॥

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দলীয় একচ্ছত্রতা, প্রশাসনিক কেন্দ্রীকরণ ও নির্বাহী আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ দলিলকে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজাতান্ত্রিক চুক্তি, যা ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক পরিণতি।
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এ সনদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একমত পোষণ করেছে। আর এরপরই সনদের চূড়ান্ত রূপ দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে গণভোট কোন সময় হবে, সেটি নিয়ে সুপারিশ না করে এটি সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ হিসাবে বিএনপি সংসদ নির্বাচনের একই দিনে যে গণভোট চায় আর জামায়াত চায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে, সে বিষয়ে সরকার পক্ষগুলোর সাথে কথা বলে গণভোট অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করবে।
তবে এ বিষয়ে সম্মতি দেয়ার পর বিএনপি ও এনসিপি তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে। দুটি দলই ভিন্ন দুটি শর্ত জুড়ে দেয় সনদে স্বাক্ষরের ব্যাপারে। বিএনপি বলেছে, তারা সনদের যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমত রেকর্ড করেছে, সেসব বিষয় অঙ্গীকারে উল্লেখ করতে হবে। অন্যদিকে এনসিপি বলেছে, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার ঘোষণা দিয়ে নতুন করে সংবিধান লেখার কথা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করতে হবে। জামায়াত ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে, সনদের ব্যাপারে এ পর্যন্ত যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। একবার এ বিচ্যুতি শুরু হলে এ সনদের বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। একেক সময় একেক দল একেক কথা বলবে।
এ অনিশ্চয়তা কেন? : জুলাই সনদের সবকিছু চূড়ান্ত হবার পর নতুন করে শর্ত দিয়ে পুরো বিষয়টিকে কেন অনিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে জানতে চাইলে বিভিন্ন তথ্য ও বক্তব্য পাওয়া গেছে। এনসিপি নতুন করে যেসব শর্তের কথা বলছে, তা এ সময়ের বাস্তবতার সাথে কোনোভাবেই মেলে না। যেখানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, সেখানে পুরো সংবিধান বাতিল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে সংবিধান লেখার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না।
ধারণা করা হচ্ছে, ছাত্র উপদেষ্টাদের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে যে অভিযোগ উঠছে, সেখান থেকে নির্বাচনকে মুক্ত করতে নভেম্বরের আগে দুই উপদেষ্টাকে ক্যাবিনেট ছাড়তে বলা হয়েছিল। ছাত্র উপদেষ্টারা নির্বাচন না করে এ সরকারের মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে চান। এ বিষয়ে সরকার সম্মত হলে তাদের এ দাবি নাও থাকতে পারে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিএনপি অন্তর্বর্র্তী সরকারের ওপর চাপ বজায় রাখা এবং তাদের না চাওয়া বিষয়কে সংস্কারের আওতায় বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি না হবার জন্য নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। শেষ পর্র্যন্ত সব পক্ষ যার যার অবস্থানে অনড় থাকলে রাষ্ট্র সংস্কারের পুরো বিষয়টায় অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্র পুনর্গঠনের নতুন দর্শন
স্বাক্ষরের জন্য সব দলের একমত হওয়া সনদের মূল প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রভাষা থাকবে বাংলা, তবে সংবিধানে দেশের সকল মাতৃভাষার স্বীকৃতি দেয়া হবে; নাগরিক পরিচয় হবে ‘বাংলাদেশি’। দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য ও উচ্চকক্ষের অনুমোদন ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না, আর প্রস্তাবনাসহ কিছু মৌলিক অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোট বাধ্যতামূলক করা হবে।
‘একচ্ছত্র ক্ষমতার অবসান’ শীর্ষক অধ্যায়ে সংবিধান বিলুপ্তি বা স্থগিতকরণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব এসেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় সম্প্রীতি।
দ্বিকক্ষীয় সংসদ ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব
সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর একটি হলো দ্বিকক্ষীয় সংসদ ব্যবস্থা। নতুন কাঠামো অনুযায়ী,প্রথম কক্ষ হবে জনপ্রতিনিধি পরিষদ, সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। দ্বিতীয় কক্ষ জাতীয় পরিষদ, যার অর্ধেক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে।
জাতীয় পরিষদের ১০০ আসনের অর্ধেক সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবে, বাকি অর্ধেক পূরণ হবে দলীয় আনুপাতিক তালিকা অনুযায়ী। দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর প্রথা চালু হলে, রাজনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র কিন্তু প্রভাবশালী দলগুলোর কণ্ঠস্বর সংসদে প্রবেশের সুযোগ পাবে, যা ‘সংখ্যার গণতন্ত্র নয়, মতের গণতন্ত্র’ গঠনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
নারী ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব
খসড়ায় বলা হয়েছে, নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এ সংরক্ষণ সরাসরি নয়, বরং ঘূর্ণায়মান ও আনুপাতিক ভিত্তিতে কার্যকর হবে- যাতে সব দল ও অঞ্চল সমানভাবে সুযোগ পায়। এটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বের সামাজিক ভারসাম্য নিশ্চিতের এক নতুন দৃষ্টান্ত হবে।
সাংবিধানিক নিয়োগে বাছাই কমিটি প্রথা
সনদের অন্যতম বিপ্লবী প্রস্তাব হলো- দলীয় প্রভাবমুক্ত সাংবিধানিক নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি প্রথা চালু করা।
নির্বাচন কমিশন: নির্বাচন কমিশন বাছাই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্পিকার; সদস্য হবেন ডেপুটি স্পিকার (বিরোধীদল থেকে), প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কমিটি যোগ্যতা যাচাই শেষে প্রার্থীদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি ওই তালিকা থেকেই নিয়োগ দেবেন, ফলে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকবে না।
ন্যায়পাল ও দুদক: ন্যায়পাল নিয়োগে ৭ সদস্যের কমিটিতে থাকবে সরকার ও বিরোধী উভয় দলের প্রতিনিধি ও বিচার বিভাগীয় সদস্যরা। দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে নিয়োগ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি- এটি প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাধীন কাঠামো গড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি কর্ম কমিশন ও মহাহিসাব-নিরীক্ষক
তিনটি আঞ্চলিক সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের প্রস্তাবসহ বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা থাকবে। মহাহিসাব-নিরীক্ষক নিয়োগে নেতৃত্ব দেবেন ডেপুটি স্পিকার (বিরোধীদল থেকে), যা সংসদীয় ভারসাম্যের প্রতীকী পদক্ষেপ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র প্রথমবারের মতো ‘দলীয় আনুগত্য নয়, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা’ নীতির অধীনে পরিচালিত হবে।
বিকেন্দ্রীকৃত প্রশাসনের পথে
সনদের ১৬ নম্বর ধারায় ‘প্রাদেশিক প্রশাসন’ শব্দের পরিবর্তে ‘স্থানীয় প্রশাসনিক আইন’ প্রবর্তনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে নীতিনির্ধারণ ও আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সরকার সক্রিয় ভূমিকা পাবে।
এটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রের পরিবর্তে অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তৈরি করবে।
নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা
সনদের ১৩ থেকে ১৫ ধারায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব স্পষ্ট করা হয়েছে- মনোনয়ন যাচাই, অনিয়ম তদন্ত ও অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কমিশনের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। নিজস্ব বাজেট, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীন কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি পরিণত হবে পূর্ণাঙ্গ সাংবিধানিক সংস্থায়।
রাজনৈতিক ঐকমত্য ও ভিন্নমত
৩৩টি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ নেয়; এর মধ্যে ৩০টি দল মূল বিষয়গুলোয় একমত হয়ে সনদ অনুমোদন করেছে। তবে ৭টি দল ও জোট (যেমন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ও প্রগতিশীল গণজোট) রাষ্ট্রপতির ভূমিকা সীমিত করা ও বিচার বিভাগের নজরদারি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সদস্যের ভাষায়- ‘ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও সবাই এ সনদে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের নৈতিক ভিত্তি হিসেবে সম্মত হয়েছে, এটাই এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য।’
নতুন সামাজিক চুক্তির ভিত্তি
বিশ্লেষকদের মতে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ কেবল একটি রাজনৈতিক নথি নয়- এটি একটি ‘নতুন সামাজিক চুক্তি’, যা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনর্গঠনের দায় বহন করছে। এর লক্ষ্য ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন- যেখানে সংসদ, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের মধ্যে ভারসাম্যই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দর্শন।
যদি এ সনদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হয়, তবে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে একটি ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’-এর যুগে যেখানে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হবে দলীয় আধিপত্য নয়, বরং জনগণের প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আত্মা থেকে জন্ম নেয়া এ সনদে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি স্পষ্ট: বিকেন্দ্রীকৃত প্রশাসন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়া ও সামাজিক ন্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঐতিহাসিক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ যা স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ঐকমত্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থান থেকে জাতীয় সনদে
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন, পাকিস্তানি নিপীড়ন, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তী ৫৩ বছরের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র বার বার পদদলিত হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কে কমিশন উল্লেখ করেছে ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যুগ’ হিসেবে, যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ, নির্বাচনী প্রহসন, বিচারহীনতা ও দমননীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়।
এ শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬ বছরের গণআন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ ছিল ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান- যেখানে ছাত্র-শ্রমিক-নারী ও প্রবাসীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
সংস্কারের ছয় কমিশন ও ঐকমত্যের ভিত্তি
অভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠন করে- সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে। এ কমিশনগুলো ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তাদের সুপারিশ জমা দেয়।
এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যার কাজ ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা ও জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কারপন্থা নির্ধারণ করা। ছয় মাসব্যাপী আলোচনায় ৩৩টি রাজনৈতিক দল মতামত দেয়; তাদের মধ্যে ৩০টি দল মূল বিষয়গুলোয় একমত হয়ে এই ‘জুলাই সনদ’ অনুমোদন করে। ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে এ সনদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা অনুমোদন করা হবে।