ইসরাইলকে লক্ষ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া মিসাইল ইসরাইলের দিকে ধেয়ে এসেছে। এ হামলায় ইসরাইলকে লক্ষ করে একসাথে একশরও বেশি মিসাইল ছুড়েছে ইরান এমন দাবি করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০-৩০ মিনিটের পর ইসরাইলকে লক্ষ করে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে তেহরান। এর আগে গত এপ্রিলে ইসরাইলকে লক্ষ করে ব্যালাস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। ওই মিসাইলগুলো ইরান থেকে ইসরাইলে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল মাত্র ১২ মিনিট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দখলদার ইসরাইলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এছাড়া সাইরেন শোনা যায় জেরুসালেমেও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানের আকাশ দিয়ে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে। মিসাইলের কারণে জর্ডানেও সাইরেন বেজে ওঠে। ওই সময় অনেক মানুষ বাইরে বের হয়ে আসেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে,’ বলা হয়েছে বার্তায়। ইরানের মিসাইল হামলার মধ্যেই একটি বিবৃতি দিয়েছে দখলদার ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এতে তারা বলেছে, ইরান এখনো মিসাইল ছুড়ছে এবং সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাধারণ ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনী আরো বলেছে, যেসব বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে; সেগুলো হয় মিসাইল আটকানোর কারণে হচ্ছে অথবা আঘাত হানার কারণে হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেলআবিব লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। আল-জাজিরা, বিবিসি।
ইসরাইলকে থামাতে জাতিসংঘকে বলপ্রয়োগ করতে হবে : এরদোগান
ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরাইল হামলা বন্ধ না করলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে বলপ্রয়োগের সুপারিশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিধ্বংসী হামলা এবং সম্প্রতি হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ করে লেবাননে হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হলে ১৯৫০ সালে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী বলপ্রয়োগের সুপারিশ করতে সাধারণ পরিষদকে দ্রুত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-নিরাপত্তা পরিষদের এ পাঁচটি স্থায়ী ভেটোক্ষমতা সম্পন্ন দেশ যদি মতবিরোধের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ হস্তক্ষেপ করতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদ হলো একমাত্র জাতিসংঘের সংস্থা, যা সাধারণত বলপ্রয়োগের অনুমোদন এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এরদোগান আরও বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নিতে না দেখে তিনি দুঃখিত। মুসলিম দেশগুলোর প্রতি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি, যাতে ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা যায়। এ অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের সে মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিষ্টান যাই হোক না কেন- শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এরদোগান বলেন, ‘ইসরাইলের আক্রমণ যদি শিগগিরই বন্ধ করা না হয়, তবে এটি মুসলিম দেশগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করবে।’ ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় যোগ দেয়ার আবেদন করেছে। তবে তা ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিধ্বংসী আক্রমণ এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ করে লেবাননে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। রয়টার্স।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান
এ পাতার অন্যান্য খবর
এ বিভাগ বা পাতায় আর কোন সংবাদ, কবিতা বা অন্যকোন ধরণের লেখা পাওয়া যায়নি।