মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব-এটিএম আজহারুল ইসলাম
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৬
বদরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এবং রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, রাষ্ট্রে ইসলামী শ্রম আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব। এজন্য আল কুরআনের বিধান অনুযায়ী দুর্নীতিমুক্ত মানবিক সমাজ গড়তে সকল দেশপ্রেমিক সৎ নাগরিকদের ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হতে হবে।
তিনি গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বদরগঞ্জ উপজেলার শাখা সভাপতি মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রংপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আবেদীন, উপদেষ্টা ও জামায়াতে ইসলামী বদরগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান কবির, উপদেষ্টা ও উপজেলা নায়েবে আমীর শাহ্ মোহাম্মদ রুস্তম আলী, এবং পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী। সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল হানিফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ফয়জার রহমান, এমদাদুল হক, মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম বাদল প্রমুখ। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এম এ মতিন সমাবেশে সঞ্চালনা করেন।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা আল্লাহর বন্ধু। শ্রমজীবী মানুষই প্রথমে দলে দলে রাসূলের (সা.) নিকট ইসলামের দাওয়াত কবুল করেছেন। শ্রমিকরাই প্রথম ইসলামের পথে শহীদ হয়েছেন। হযরত বেলাল (রা.) একজন শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন। তিনি হৃদয় দিয়ে ইসলামকে গ্রহণ করেছিলেন। এই শ্রমিক সমাজ সততার সাথে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ইসলাম দাস প্রথা বাতিল করে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে। সমাজ এবং রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম হলে কেউ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে পারবেনা। যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে ৫ বছরেই দেশ থেকে দারিদ্র্য মোচন হবে। তিনি দুঃখ করে বলেন, পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার কারণে শ্রমিকদের আজো শোষণ বঞ্চনার শিকার হহতে হচ্ছে। পাট, চিনিসহ বিভিন্ন শিল্প বন্ধ হয়ে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। গার্মেন্টসের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পায় না। একমাত্র ইসলামী শ্রমনীতি এই সংকট দূর করতে পারে।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। হাজারো তরুণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভালোবাসা এবং সুযোগ দিন। আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। কথা দিচ্ছি আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের আমানত রাষ্ট্রের সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে, ইনশাআল্লাহ। আপনারা সৎ ব্যক্তিকে ভোট দিলে এলাকায় সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উন্নয়ন হবে। লুটপাটের সুযোগ কেউ পাবে না। তাই আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের পতাকা তলে সবাইকে সমবেত হয়ে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।