জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের আগ্রহের সাথে প্রশ্নও বাড়ছে
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৪২
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে ৩০.৪ শতাংশ ভোটার জামায়াতের, ২১ শতাংশ বিএনপির কার্যক্রমে ও ২৩.৭ শতাংশ এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। গত ২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এ জরিপ পরিচালিত হয়। এতে ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার অংশ নেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৩৯ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ৭১৯ জন নারী।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের মধ্যে ১৩.৭ শতাংশ জানান, তারা জামায়াতের কার্যক্রম নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট। আর সন্তুষ্ট ১৬.৭ শতাংশ। এনসিপির কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট ৯.১ এবং সন্তুষ্ট ১৩.৮ শতাংশ। অন্যদিকে, বিএনপির কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট ৮.২ এবং সন্তুষ্ট ১২.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। এছাড়া জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপির কার্যক্রম নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন যথাক্রমে ১৭ শতাংশ, ১৮.৪ শতাংশ ও ১৭.৪ শতাংশ উত্তরদাতা। আর জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপির কার্যক্রমে একদম সন্তুষ্ট নন এমন উত্তরদাতার হার যথাক্রমে ১৯.৭ শতাংশ, ২৭ শতাংশ ও ১৭ শতাংশ। বেসরকারি এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্মের সহযোগিতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
মানুষের আগ্রহ এবং প্রশ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সাথে সাথে বাড়ছে প্রশ্ন। দুনিয়ার কোন মডেলের রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে- এ প্রশ্ন সাধারণ জনগণের মধ্যে যেমন আছে, ঠিক তেমনি আছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে। বিদেশি মিত্ররাও জানতে চান। এর কারণ অবশ্যই আছে। কী সেই কারণ, তার বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়, ইসলামী আদর্শের আলোকে পরিচালিত আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্রের মডেল বর্তমানে পৃথিবীতে নেই। যে দু-একটি রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, তাদের ব্যাপারে মানবাধিকার রক্ষায় ও নারী স্বাধীনতায় ব্যর্থতার কথা বহুলভাবে প্রচারিত। তাই এ সংশয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বিষয়টি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, আমরা বর্তমান দুনিয়ার কোনো মডেল নয়। রাসূল মুহাম্মদ সা. মদিনায় যে আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন, তাই আমাদের মডেল।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ডা. শফিকুর রহমানের এ বক্তব্যের পর সন্দেহ-সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই- জামায়াতে ইসলামী রাসূল সা.-এর আদর্শ অনুসরণ করে একটি আধুনিক রাষ্ট্র গঠন করবে, যা পশ্চিমাদের ইসলামফোবিয়া দূর করবে এবং মুসলিম বিশ্বের জন্য হবে অনুকরণীয় আদর্শ।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বর্তমান দুনিয়াও আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্রের মডেল হিসেবে রাসূল সা.-এর মদিনা রাষ্ট্র স্বীকৃত। লিখিত সংবিধানের ভিত্তিতে তিনিই প্রথম মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। যা মদিনা সনদ হিসেবে ইতিহাস খ্যাত। তিনি এমন একসময় এ আধুনিক রাষ্ট্রের পত্তন করেছিলেন, যখন ইউরোপসহ সারা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ছিল রাজা, মহারাজা, সম্রাট, সামন্ত ও ভূস্বামীদের শাসন। যারা মনে করতেন, ‘আমরাই রাষ্ট্র, আমার কথাই আইন। দেশটা আমার, জনগণের প্রভু আমি, তারা সবাই আমার প্রজা।’ কিন্তু রাসূল সা. এসেই ঘোষণা করলেন, ‘এ দুনিয়া ও বিশ্বজাহানের একমাত্র মালিক ও প্রভু হলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন- আমি মুহাম্মদ তার বান্দা ও রাসূল। কোনো মানুষ কোনো মানুষের প্রভু নয়। একমাত্র প্রভু আল্লাহ তায়ালা। তার দেয়া বিধান মেনে নিলে কোনো মানুষ তার ইচ্ছা পূরণে খেয়ালির বশে মানুষের জীবন, মান-সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার হারাবে, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, ধনী-দরিদ্র সব পেশার মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যিকারের মানবাধিকার। অন্যায়কারীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে তার অপরাধ বিবেচনায়, ধর্ম-বর্ণ-পেশা, ধন-সম্পদের মাপকাঠিতে নয়।
মানবতার জন্য ক্ষতিকর ও অপমানজনক এমন পেশা ছাড়া সব পেশা গ্রহণের স্বাধীনতা থাকবে। অন্যের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত না করে, যার যার ধর্ম পালন ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে রাসূল সা.-এর আদর্শের আলোকে পবিত্র কুরআনের ভাষায়, ‘ধর্ম মানতে কোনো ধরনের জোরজবরদস্তি নেই। সঠিক পথ ভুল পথ থেকে পরিষ্কারভাবে আলাদা হয়ে গেছে। তাই যে তাগুত (মিথ্যা প্রভুদের) অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আনবে, সে অবশ্যই এমন এক মজবুত হাতল ধরবে, যা ভাঙার কোনো আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সব শোনেন, সব জানেন।’ (আল-বাকারা : ২৫৬ )। যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিন প্রতিজ্ঞা পূরণ করবে
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ক্ষমতায় গেলে প্রথমে তিনটি প্রতিজ্ঞা পূরণ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা এই ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা রাখব না। যে শিক্ষা মানুষের মধ্যে অনৈতিকতার সৃষ্টি করে, মানুষকে দুর্নীতিবাজ বানায়, মানুষকে একটা ইতর প্রাণী বানায়, আমরা ওই শিক্ষা দেব না। যে শিক্ষাটা মানুষকে সম্মান করতে শেখায়, সেই শিক্ষাটাই আমরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দেব।’ বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার মহামিলন হবে বলে জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘ছেলে অথবা মেয়ে শিক্ষার পর্ব চুকিয়ে বের হওয়ার পর তার যোগ্যতা অনুযায়ী সে কাজ পেয়ে যাবে। হয় সে উদ্যোক্তা হবে, না হয় সার্ভিসের যেকোনো কাজ পেয়ে যাবে। সে বেকার থাকবে না।’
দ্বিতীয়ত, ক্ষমতায় গেলে জামায়াত ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করবে। জামায়াত প্রতিটি সেক্টরের কাজের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করবে বলেও জানান জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান। পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় উল্লেখ করে জামায়াত আমীর বলেন, ‘তাকে যদি ফকিরের ভিক্ষা বেতন দেওয়া হয়, সে ঝুঁকি নিতে যাবে কেন? তাকে তো সম্মানিত করতে হবে। এটা করা হয় না বলে এ সমাজে আজকে কোনো শান্তি নাই।’
তৃতীয়ত, ‘ইনসাফের ভিত্তিতে যার যেটা পাওনা, সেটা তার হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি সেক্টরের কাজের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করবে।’ ইনসাফভিত্তিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিগত দেড় দশকেরও বেশি সময় প্রকাশ্যে জনগণের সামনে তা উপস্থাপন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জামায়াতে ইসলামী জাতির সামনে রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১ দফা উপস্থাপন করেছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গিয়ে তিনটি কাজকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে তারা আরো কী কাজ করবে, তা জাতীয় নির্বাচনের আগে বিস্তারিত মেনিফেস্টো আকারে জাতির সামনে তুলে ধরবে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জাতির সামনে রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১ দফা তুলে ধরেছিলেন। তার আলোকে রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। দেশের গণতন্ত্রের পক্ষের প্রত্যেক রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেছে। সেই আলোকে সংস্কার এগিয়ে যাচ্ছে। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করার কথা।
গত বছরের অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৪১ দফা তুলে ধরে নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার প্রস্তাব দিয়ে ডা. তাহের বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আরো যেসব উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল, তা হলো- ১. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। ২. পুলিশের আইন পরিবর্তন। বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে। ৩. সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি। সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করার সুযোগ। চাকরিতে বয়সসীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর। সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি।
৪. একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থার প্রস্তাব দেয় দলটি। ৫. পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাব দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগাভাগি থাকতে হবে।
৬. শিক্ষা ও দেশের বিনোদন খাত নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সব শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট ‘অশ্লীলতামুক্ত’ করতে হবে। ৭. চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে। ৮. হজ ও ওমরাহর খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যোগ। ৯. গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ১০. দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণ কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। অর্থাৎ সংখ্যা সমানুপাতিক নির্বাচন।’
এক বছর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপস্থাপিত দাবিগুলোর আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কাজ অনেক দূর এগিয়েছে সত্য। কিন্তু কিছু মৌলিক বিষয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় বাধার সৃষ্টি করছে। অথচ জনমত জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ৫ দফা দাবিতে বর্তমানে আন্দোলনের মাঠে আছে।
৫ দফার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন
পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে ডিসি অফিসে স্মারকলিপি প্রদান, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ দফা দাবি হলো- ১. গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া; ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনগণের পক্ষে মাঠে থাকার কারণেই প্রতিদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন বাড়ছে। তাই প্রতিটি কর্মসূচিতেই জনতার ঢল নামছে। জামায়াতে ইসলামীকে তারা আরো আপন করে পেতে তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে জানতে চাচ্ছে।