রাজনীতি করার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণ সাধন করা:মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম

সোনার বাংলা অনলাইন
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫১

৩ নভেম্বর বেলা ২টায় রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ৮ দলের এক সমাবেশে ৮ দলের নেতারা

ইসলাম কায়েম হওয়া ছাড়া দেশে সুবিচার করা সম্ভব নয়, হতে পারে না:অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দল কর্তৃক ঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ০৩ নভেম্বর বেলা ২টায় রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ৮ দলের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জায়াতে ইসলামীর সম্মানিত নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজকের এ বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মানিত আমীর মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম (পীরসাহেব, চরমোনাই), আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর জনাব এমটি আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়ার নায়েবে আমীর জনাব মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহম্মদ আলী কাশেমী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়ার নায়েবে আমীর আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমীর এ টি এম আজম খান এবং রংপুর জেলা আমীর জনাব গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, রাজনীতি করার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণ সাধন করা। আমরা রাজনীতি করি শুধু নিজে, ব্যক্তি এবং দলের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়। আমাদের রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর হুকুম পালন করা। স্বাধীনতার পরে ৫৪ বছর পর আজকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যে সুযোগ দিয়েছেন এই সুযোগ যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন ইতিহাস লিখবে তখন আমাদেরকে নিয়ে কলঙ্কজনক ইতিহাস রচনা করবে। আমাদের চোখের সামনে রংপুরের সন্তান আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত করে বৈষম্য দূর করার জন্য এবং জালেমদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জীবন দিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছিল। সেই অনুভূতিতে প্রেরণা পেয়েই কিন্তু এক পর্যায়ে আমি জানের ভয় না করে রাস্তায় নেমেছিলাম ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের প্রতিবাদে।

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামী আমাদেরকে বিজয় দান করেছেন। আজকে দুঃখ হয় এতগুলো মায়ের কোল সন্তানহারা হলো, এত মানুষ পঙ্গু হলো, চোখ হারালো, অথচ তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। আমাদের যে মৌলিক দাবিগুলো ছিলোÑ দেশে মৌলিক সংস্কার হবে, খুনিদের বিচার হবে, টাকা পাচারকারীদের বিচার দৃশ্যমান হবে। এরপরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম এক শ্রেণীর ক্ষমতালোভীরা সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে শুধু পাগল নয়, ডবল পাগল হয়ে গেছে। আমি সকলকে বলতে চাই, আজকে হাজারো মায়ের কোলের শিশু সন্তান এবং ছাত্র জনতা যে জীবন দিয়েছিলো শুধুমাত্র কি একজনকে নামিয়ে আরেকজনকে ক্ষমতায় পাঠাবার জন্যে? না এই দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার জন্যে, খুনিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্যে এবং আমাদের দেশে বসে যারা বিদেশিদের তাঁবেদারি করার জন্য আমাদেরকে গোলামের জিঞ্জির পরিয়েছে তাদেরকে উৎখাত করে স্বাধীনভাবে আমাদের দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্যেই এরা জীবন দিয়েছিলো। আজকে তারা যদি বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা তাদেরকে পরিষ্কারভাবে এই সমাবেশে মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, আপনারা মনে করেছিলেন ওয়ান-টুর মধ্যে ক্ষমতায় যাবেন সে দিন, সে সময় ভুলে যান। আজকে বাংলাদেশকে যারা ভালোবাসেন, যারা ইসলামকে ভালোবাসেন, যারা মানবতার কল্যাণের জন্যে চেষ্টা করেন তারা কিন্তু রাজপথে চলে এসেছে। আজকে ক্ষমতা প্রেমিকদেরকে বলবো যে আপনারা বারবার ক্ষমতায় গিয়েছিলেন আমাদেরকে কি উপহার দিয়েছেন? ধোঁকা দেয়ার দিন শেষ। এ দেশ রক্ষার জন্যে রাজপথে আজকে আমরা উপস্থিত হয়েছি।

আজকে আপনারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন আয়োজকসহ যারা সহযোগিতায় রয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সব সময় একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা যারা ৮ দলীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছি আপনাদের জনগণের খাদিম হিসেবে যেন আমরা কাজ করতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে সেই তাওফিক দান করুন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রিয় ভাইয়েরা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুন্দর করে বলেছেন, তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি তোমাদেরকে বেছে বের করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। আর এই কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায়ের আদেশ দিতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সম্মানিত ভাইয়েরা আল্লাহ তায়ালার এই আয়াতকে সামনে রেখে আমি আপনাদের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই দুনিয়ার জীবনটা আমাদের সবশেষ নাকি আখিরাতের জীবন আছে? সেই জীবনে কি কল্যাণ পেতে চান? দুনিয়াতে আমরা আল্লাহর কাছে কল্যাণ চাই, আখিরাতেও কল্যাণ চাই। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চাই।

সম্মানিত ভাইয়েরা এটা শুধু আমরা বাঁচতে চাই না। সারা দুনিয়ার ঈমানদার মানুষেরা সবাই বাঁচতে চায়। অতএব যদি বাঁচতে হয় যাদের ঈমান আছে আল্লাহর এই কথাকে সামনে রেখে মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে। সমস্ত কাজের কেন্দ্রবিন্দু হবে মানুষের কল্যাণ করা। ব্যক্তিগত কল্যাণ, স্বার্থপরতা, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিÑ এ সমস্ত খারাপ কাজ করলে আখিরাতে কোন কল্যাণ পাওয়া যাবে না। অতীতের ৫৪ বছর ধরে কয়েকটা সরকার এসেছে কোন সরকার মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে নাই। হয়তো ব্যক্তির জন্য কল্যাণ করেছে, না হয় দলের জন্য কল্যাণ করেছে, আর না হয় দুনিয়ার মানুষের উপকার করার জন্য কাজ করেছে। আখিরাতের কল্যাণের জন্য কোন কাজ করে নাই। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি দুনিয়ার কল্যাণ ও করতে চাই, আখিরাতেও আমরা কল্যাণ পেতে চাই। সেই আখিরাতের কল্যাণের জন্য আবু সাঈদের মতো জীবন বিলিয়ে দিতে হবে। আমরা জীবন দিয়ে আল্লাহর আইন চালু করবো ইনশাআল্লাহ।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা হয়ে গেছে। তাহলে আর কি আছে। আরেকটি যুদ্ধ আছে সেই যুদ্ধ হচ্ছে ইসলাম কায়েম করার যুদ্ধ। বদর, উহুদ ও খন্দকে সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে জীবন কুরআনের আইন চালু করেছে সেই সাহাবীদের অনুসরণে আপনাদের আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে কুরআনের আইনের জন্য আমরা যুদ্ধ করব। ইনশাআল্লাহ।

আরেকটি কথা বলতে চাই, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম তোমরা করবে। কায়েম করলে কি কাজ করবে। আল্লাহ তায়ালা ৪টি কাজের কথা বলেছেন, তাদের হাতে ক্ষমতা দিলে রাষ্ট্র ক্ষমতা যদি তাদের হতে আসে নামাজ কায়েম করে মানুষের চরিত্র ভালো করে দিতে হবে। যাকাত চালু করে মানুষের ক্ষুধা দারিদ্র্য দূর করে দিতে হবে। ভালো কাজ চালু করে মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খারাপ কাজ বন্ধ করে মানুষকে অশান্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এই চার দফা কাজ করতে হবে। আমি বলব আগামী নির্বাচনে কুরআনের আইন চালু করতে হবে। এই কুরআনের আইন চালু করতে হলে আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আবু সাঈদের যুদ্ধের টার্গেট ছিল আমরা সুবিচার চাই। ইসলাম কায়েম হওয়া ছাড়া দেশে সুবিচার করা সম্ভব নয়, হতে পারে না। সুবিচার পেতে হলে ইসলাম কায়েম করতে হবে। একদিনই যদি গণভোট হয় তাহলে গণভোটের এই রায় সংসদ নির্বাচনকে কোন ভালো কিছু করতে পারবে না। এতো সোজা কথা তারা কেন যেন বুঝে না। গণভোট যেভাবেই হোক আপনারা গণভোটের পক্ষে হ্যাঁ বলবেন। হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে। যারা গণভোট চাইল না অথবা যারা গণভোটের বিপক্ষে আছে তারা পরাজিত হয়েছে এবং পরাজিত হবে ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের নায়েবে আমীর এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আপনারা শুনেছেন তিনটি ফাঁসির দণ্ড নিয়ে আমি কারাগারে ছিলাম। যে কোন মুহূর্তে আমার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। কিন্তু আমাদের রংপুরের ছেলে আবু সাঈদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে যে গণবিপ্লব শুরু হয়েছিলো যার পরিসমাপ্তি হয় চব্বিশের পাঁচই আগস্টের পর। আমার মুক্তির পথ সুগম হয়। মুক্তির পরে আমি আপনাদের সামনে হাজির হওয়ার সুযোগ পেয়েছি আলহামদুল্লিাহ।

বাংলাদেশের মূল সমস্যা কি? আমাদের দেশের মূল সমস্যা দুর্নীতি। আমাদের দেশের সম্পদের কোন অভাব নেই। আমাদের অভাব দুর্নীতিমুক্ত সৎ নেতৃত্বের। যারা বিগত চুয়ান্ন বছর ক্ষমতায় ছিলো তারা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমাদের দেশের মূল সমস্যা আমরা সুশাসন পাইনি। যারাই যখন ক্ষমতায় এসেছিলো একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো। অন্যের অধিকারকে কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। আমাদের আরেক সমস্যা বিচারহীনতা। আইনের শাসন নেই। ৫ আগস্ট যে বিপ্লব হল অনেকে তাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে থাকেন। কেন বলা হয়, আমরা শুধু দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাইনি। আমরা আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। আগামী নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারা বাংলাদেশে আট দলের সফরের মাধ্যমে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বিশ^াস আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামপন্থি দেশপ্রেমিক শক্তিকেই বাছাই করে নিবে ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে চাই, জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর হোক এটা আমরা চাই। কিন্তু জুলাই বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদ কার্যকর করার পদক্ষেপের জন্য অবশ্যই গণভোটের আয়োজন করতে হবে। এ গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কার্যকর হতে হবে।

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জামায়াত, চরমোনাই, হেফাজত বলেন, আর খেলাফত বলেন সবাই ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এবং সমমনা গণতান্ত্রিক দলের নেতৃবৃন্দ এক স্টেইজে এসে মিলিত হয়েছেন। এটা সিগনাল দিচ্ছে আগামী দিনের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, ইসলামের বাংলাদেশ, ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশে ৮ দলের নেতৃত্বে গঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা বলতে চাই, আমরা শুধু আট দলের নেতৃত্বেই দেশ গড়বো না ৮ দলের বিজয়ের মধ্য দিয়ে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের সম্মান এবং অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

আজকে প্রমাণিত হচ্ছে, সকল ইসলামী দলের নেতারা এবং সমমনা দেশপ্রেমিক দলের নেতারা এক স্টেইজে এসে মিলিত হয়েছেন। আসুন রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনেই যাতে এই ৮ দলের নেতৃত্বে বিজয় ছিনিয়ে আনতে আসতে পারি, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ।

সর্বশেষ বলতে চাই, রংপুরের তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে এই তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ, দুর্দশা মোচন হবে ইনশাআল্লাহ। এই জন্য চীন সরকারের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীরে জামায়াত কথা বলেছেন। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক এটা আমরা সবাই চাই। ৮ দলের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এ দেশের মানুষের সমস্যা দূর হবে ইনশাআল্লাহ।-

প্রেস বিজ্ঞপ্তি তারিখ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ইসলাম কায়েম হওয়া ছাড়া দেশে সুবিচার করা সম্ভব নয় দেশ ও মানবতার কল্যাণ সাধন করা:মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম রাজনীতি করার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো ইসলাম হতে পারে না:অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সম্পর্কিত খবর