অন্য জমির ফসল

বুধবারের পত্রিকা: ঢাকার ২৪৮টি হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়

সোনার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১১

পত্রিকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে খবর রয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজকের সংবাদপত্রগুলোতে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি নিয়েও খবর আছে অনেক পত্রিকায়। ‘ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ৫ বড় হাসপাতাল’ যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের কারণে যদি কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চান, তিনি কি সময়মতো জরুরি চিকিৎসা পাবেন-এমন প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরেফিরে উঠছে।
বিশেষ করে, মাত্র দুসপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পের পর এমন প্রশ্ন বড় করে সামনে আসছে। বলা হচ্ছে, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাবেন। কিন্তু সেই হাসপাতাল ঠিক আছে তো! ঝুকিপূর্ণ নয়তো?
দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে আট বছর আগের এক জরিপ থেকে জানা যায়, ঢাকার ২৪৮টি হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৪টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আবার এই তালিকায় ঢাকায় ৫টি বড় হাসপাতাল রয়েছে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক ঝুঁকিতে।
এই হাসপাতালগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড হাসপাতাল), বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট।
এসব হাসপাতালের মধ্যে মিটফোর্ডের কয়েকটি ভবনের বয়স ১৫০ বছর, ঢামেকের একটি ভবনের বয়স ১২০ বছর, পিজি হাসপাতালের দুটি ভবনের বয়স ৬৫ বছর, পঙ্গু ও শিশু হাসপাতালের বয়স ৫৩ বছর। অথচ এসব পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা, পাঠদান, এমনকি আবাসিক হিসাবেও ব্যবহার হচ্ছে।
‘পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন: ২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে’ আজকের পত্রিকার শিরোনাম।
খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন । ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ , সাবেক সামরিক কর্মকর্তা , গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য , র‍্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা , সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন সংবাদমাধ্যমকর্মীর নাম রয়েছে। বেশ কয়েকটি পথকুকুরকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে।
পথ কুকুর বা বিড়াল মেরে ফেললে বাংলাদেশের আইনে কী শাস্তি আছে
ইমরান খানের বোনেরা বলছেন, গত চৌঠা নভেম্বর তাদের সঙ্গে ইমরান খানের শেষবারের মতো দেখা হয়েছিল।
কমিশন বলেছে , তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তা ওই ঘটনায় সরাসরি ভূমিকা রাখেন । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন । তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য ।
কমিশনের সূত্র বলেছে , ওই ৪৯ ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ঘটনা ঘটানো , সহায়তা , উসকানি বা দায়িত্বে অবহেলায় জড়িত ছিলেন । পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রায় ১১ মাস তদন্ত শেষে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড . মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।
‘বিদেশী এজেন্সির আড়ি পাতায় ইসরাইলি প্রযুক্তি ব্যবহার’ নয়াদিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের কেনা ইসরায়েলি নজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহার করে কোনো কোনো বিদেশি এজেন্সি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়ি পেতে নিয়ে গেছে বলে চাঞ্চল্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সরকারের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো খতিয়ে দেখছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একের পর এক তথ্য ফাঁস, নজরদারির অভিযোগ এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সম্ভাব্য কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় গোয়েন্দা মূল্যায়ন সেলের একটি অভ্যন্তরীণ ব্রিফিং থেকে শুরু করে টেলিকম সেক্টরের সাইবার মনিটরিং ডেটা- সব কিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশের নিরাপত্তা পরিমণ্ডল এখন একটি সংবেদনশীল ক্রস-রোডে দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলাদেশে নাগরিক নজরদারি- বরাবরই বিতর্কিত ছিল। তবে বিগত সরকার আমলে গোপনে সংগৃহীত আড়ি পাতার যন্ত্রপাতি, এর উৎস, দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগী চক্র এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর ‘গোপন ব্যবহারে’ কী পরিমাণ প্রযুক্তি ও টাকা খরচ হয়েছে- তা নিয়ে এখন যে তথ্য বেরিয়ে আসছে, সেটি কেবল একটি নীতি বিতর্ক নয়; বরং বাংলাদেশে বিদেশি গোয়েন্দা প্রযুক্তির নীরব অনুপ্রবেশ ও জাতীয় নিরাপত্তা খাতের গোপন বাণিজ্যিকীকরণের ভয়াবহ চিত্র।
‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে’ প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো বেশ উদ্বেগজনক পর্যায়েই রয়ে গেছে। বিশেষ করে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র, লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতা কাটছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেখা যাচ্ছে চিকিৎসায় এ সমস্যাগুলোর একটির সামান্য উন্নতি হলে অন্যটির অবনতি ঘটছে; যা কয়েক দিন ধরে নানা মাত্রায় উদ্বেগজনকভাবে ওঠানামা করছে।
তবে চিকিৎসকেরা এখনো এই অর্থে আশাবাদী যে তাঁরা খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তিনি তা গ্রহণ করতে পারছেন। ওষুধ কাজ করছে।
দেশের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসক এবং লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্য থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত এই চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখার পর পরামর্শ দেবেন। তাঁদের পরামর্শের ওপর নির্ভর করবে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চলবে, না কি লন্ডনে নেওয়া হবে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম, ‘Tarique’s return rests on Khaleda’s health condition’ অর্থাৎ ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ওপর তারেকের দেশে ফেরা নির্ভর করছে’।
খবরে বলা হচ্ছে, লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থা এবং চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার উপর নির্ভর করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে গতকাল রাতে দলের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, তারেক রহমান শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেলের মতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারককারী মেডিকেল বোর্ডকে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য, যুক্তরাজ্য এবং চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দুটি দল আজ ঢাকায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বলেছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন।
বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া এখনও বিদেশে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত নন। চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের মূল্যায়নের উপর নির্ভর করবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে। দেশে ফেরার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন তারেক রহমান।
কালের কণ্ঠের শিরোনাম ‌’খালেদা জিয়াকে যে কারণে ভিভিআইপি ঘোষণা করল সরকার’। খবরে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তাঁর নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাঁকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তাঁর নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাঁকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা বাড়ছে’ মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশেই প্রকাশ্য গুলি করে হত্যার ঘটনা বেড়েছে। সন্ত্রাসীরা এখন বেপরোয়া। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, পূর্বশত্রুতা, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা কারণে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করছে।
এসব ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি যেমন সামনে আসছে ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণের মতো নিরাপদ এলাকায়ও গুলি করে হত্যার ঘটনা শঙ্কা তৈরি করেছে। ঢাকার আদালতপাড়ায়ও গত মাসে এক সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে যখন অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি বেশি থাকে তখন প্রকাশ্য গুলি করে হত্যার ঘটনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে গত বছরের ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পুলিশি দুর্বলতার কারণে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যায়।
‘আন্তর্জাতিক সহায়তা চাহিদার ৫০ শতাংশের কম, অন্তর্বর্তী সরকারের ডাকে সাড়া নেই’ বণিক বার্তার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সফরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গা সমস্যাকে জোরালোভাবে তুলে ধরা।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদ হলে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এছাড়া বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্লাটফর্মে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ডাকে সাড়া নেই। উল্টো চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা মিলেছে চাহিদার অর্ধেকেরও কম।
‘গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি স্ত্রী ও সন্তানকে ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবে ট্রাইব্যুনাল’ ইত্তেফাকের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, গুমের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে পাশ করা হয়েছে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ।
এতে কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে গুমের সাক্ষ্যপ্রমাণ বিনষ্ট, গোপন, বিকৃত বা পরিবর্তন করে এবং গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করলে তিনি সাত বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন। জারিকৃত অধ্যাদেশে গুমকে চলমান অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। পাশাপাশি গুম হওয়া ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি স্ত্রী-সন্তান কর্তৃক ব্যবহারে অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালকে প্রদান করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি সরকার কর্তৃক গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই অপরাধের বিচার করা যাবে। যা গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল নামে অভিহিত হবে। অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
‘অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হবে-নির্দোষ না পারলে সাজা’ সমকালের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে বড় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাচার করা অর্থ বা সম্পত্তি অধিকারে রাখার ক্ষেত্রে প্রমাণের দায়ভার যাচ্ছে অভিযুক্তের কাছে।
প্রচলিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বাদীকে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত হাজির করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে হয়।
সেখানে সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, অর্থ পাচারের মামলা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে- তিনি পাচারের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে আদালত অনুমান করে নেবেন- তিনি মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। এর ভিত্তিতে আদালত দণ্ড দেবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ বিধান সংযোজন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংসদ না থাকায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। -BBC Bangla