শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও
বাড়ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
দেশের রাজনীতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফ্যাক্টর। বিশেষ করে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং বিপদে সাধারণ জনতার পাশে দাঁড়াতে সবার আগে থাকতে সদাসচেষ্ট জামায়াতের নেতা-কর্মীরা- রাজনীতি বিশ্লেষকদের এমন অভিমত বাস্তবতারই প্রতিফলন। এ কারণেই জামায়াতের এসব ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যকে সহ্য করতে পারছে না ক্ষমতার রাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তারা মনে করেন, অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলে জনগণ তাদের দুঃসময়ের বন্ধু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকেই সরকার গঠনের জন্য অগ্রাধিকার দেবে। তাই তাদের শান্তিপূর্ণ ও মানবিক কর্মসূচিগুলোও সহ্য করতে পারে না আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রাণের আদর্শ ইসলামের আলোকে দেশ পরিচালনার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করার কারণেই জামায়াতের জনপ্রিয়তাকে এত ভয় পায় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। বিশেষ করে প্রতিবেশী যে আগ্রাসী শক্তি ব্রিটিশের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এ ভূখণ্ডের দিকে। তাদের এদেশীয় এজেন্টরা প্রভুদের তুষ্ট করতে গণতন্ত্র-মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করতে প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাসবাদের চর্চা করছে। বন্যবর্বর হায়েনার রক্তপিপাসা মেটাতে দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাদের হত্যা করেছে এবং অব্যাহতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। নিবন্ধন জটিলতা সৃষ্টি করে সহজাত মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোয় বসে কাজ করতে দিচ্ছে না। এত জুলুম-নির্যাতনের পরও নির্ভয়ে মাথা উঁচু আর সিনা টান করে আন্দোলনের মাঠে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিসনদের আলোকে ব্যক্তিজীবন, পরিবার, সমাজ ও দেশ গড়ার ডাক অব্যাহত রেখেছে।
গণতন্ত্র অবরুদ্ধ
দেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। জনগণের ভোটাধিকার নেই। দেশ-বিদেশের প্রত্যেক গণতন্ত্রমনা মানুষ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিগত প্রায় দুই দশক ধরে এ কথা বলছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জোর তাগিদ দিচ্ছে। তবে অতিসম্প্রতি মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অত্যাচার-নিপীড়নের মাধ্যমে তার দেশের মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও আদায়ে অক্ষম করে রেখেছে। সেই অক্ষমতা কাটানোর সংগ্রামে জনগণকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের মাঠে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল, সমমনা ১২ দলীয় জোটসহ ৬৩টির বেশি রাজনৈতিক দল। এতগুলো রাজনৈতিক দলকে অক্ষম করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তাদের এ অভিমতের সাথে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকলে বিপদ কেটে যাবে- এমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
এ বাস্তবতার আলোকেই জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলগুলো যত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্তির বার্তার জবাব জুলুমের মাত্রা বাড়াচ্ছে। অধিকার আদায়ের সংগ্রাম গণতন্ত্রের কোনো ভাষাতেই অপরাধ নয়। অবশ্য যদি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে। কিন্তু দেশের রাজপথের প্রধান বিরোধীদলের দাবি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করাকে অপরাধ গণ্য করে ১৫ বছরে দেড় লাখ মামলা দিয়ে ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, দেশের কারাগারে কোনো রাজবন্দি নেই। তারপরও আশা করি, দেশে কেমন শাসন চলছে, ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসায় বিষোদ্গারের এ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ বলছে, ‘তাদের প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের অধিকার নেই’। ঘরোয়া বৈঠক করলে বলছে, ‘সরকার উৎখাতের গোপন ষড়যন্ত্র’ করা হচ্ছে। এ প্রশ্নের জবাব একটাই- আওয়ামী লীগ সরকার বৈধতার সংকট ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের খাদে পড়েছে।
রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন দেউলিয়াত্বের পরিচয়
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে ‘ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। প্রহসনের নির্বাচন ব্যতীত অতীতে প্রত্যেকটি জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেছে এবং জাতীয় সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। অতীতে উপজেলা নির্বাচনেও জামায়াতে ইসলামীর বিপুলসংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। একটি নির্বাচনমুখী দল হিসেবে জামায়াত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নেতৃত্ব পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর অব্যাহত জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারের মদদে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি শুনানি ব্যতিরেকে সর্বোচ্চ আদালতে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করা ও মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। সেতুমন্ত্রীর এ বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার বলে এদেশে প্রকাশ্যে রাজনীতি করে আসছে। এতে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত বাংলাদেশে বিরোধীমতের কাউকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। এমনকি কথা বলার অধিকারও হরণ করা হয়েছে। জনাব ওবায়দুল কাদের জামায়াতকে টার্গেট করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াতের রাজনীতি জনগণের কল্যাণে এবং জনগণ জামায়াতের সঙ্গে রয়েছে। অতএব কোনো মন্ত্রীর জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য জনগণের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে না দেয়ার মানসিকতা তাদের গণবিচ্ছিন্ন করবে। জনাব ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য তাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্বের পরিচয় মাত্র।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে এমন ফ্যাসিবাদী বক্তব্য নতুন নয়। ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নেই’ লিখে গুগলে সার্চ দিলে আওয়ামী লীগের শত শত নেতার মুখের এ বক্তব্যের হাজার হাজার পৃষ্ঠা চলে আসে। এটি গণতন্ত্রের ভাষায় নয় জানানোর পরও তাদের মুখ বন্ধ হয়নি। কারণ তারা আসলে ‘বাকশাল’ নামের যে আদর্শ হৃদয়ে লালন করেন, তা গণতন্ত্রের বিপরীত একদলীয় একটি ফ্যাসিবাদী মতবাদ। এমন ফ্যাসিবাদের মোকাবিলা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার শক্তি আদর্শিক রাজনৈতিক দলগুলোরই সাধারণত থাকে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও কমিউনিস্ট পার্টি সেই ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিচার করলে কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা বেশি। কারণ জামায়াত এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করে। অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ এদেশের মানুষের বিশ্বাসের বিপরীত।
জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব বাড়তেই থাকবে
ফ্যাসিবাদী শক্তির শত নির্যাতন-অত্যাচার কিংবা নির্মূল ষড়যন্ত্র কোনো কিছুই এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে ইসলামী চেতনাকে মুছে ফেলতে পারবে না। গবেষকরা মনে করেন, আদর্শিক রাজনীতির একটি বৈশিষ্ট্য হলো- অত্যাচার-নির্যাতন বাড়লে তাদের প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়ে। সেদিক বিবেচনা করে পর্যবেক্ষকরা তাদের ভাষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেছেন। যদিও সঙ্গত কারণে তারা রাজনৈতিক দলটির নাম মুখে উচ্চারণ করেননি। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, ‘সরকার ইসলামপন্থীদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। সে শূন্যতা পূরণ করেছে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা। তারা আগামীতে আরো শক্তিশালী হতে পারে।’
কানাডার থম্পসন রিভারস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলাম ধর্ম ও গণতন্ত্র, মুসলিম সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি এবং মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা গবেষক ড. হুমায়ুন কবির মনে করেন, এখানকার যে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দলগুলো ধর্মনিরপেক্ষতার যে ধারণা পোষণ করে, তা ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে অনেকটা আলাদা। আমরা দেখতে পাই রাষ্ট্র গঠনের শুরু থেকেই এ ধরনের দলগুলো ধর্মীয় নানা উপাদান নিজেদের ভেতরে নেওয়া শুরু করেছে। তুরস্ক, মালয়েশিয়া; এমনকি পাকিস্তানেও এ ধরনের দলগুলোর মধ্যে সেই প্রবণতা আমরা দেখি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হওয়ায় নির্বাচনে তাদের কাছ থেকে বেশি সমর্থন আদায়ের আশায় এটি করা হয়। ফলে আরেকটি জিনিস আমরা দেখতে পাই, ওলামা সমাজ ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরি হয়েছে, যারা মূলধারার রাজনীতিকে প্রভাবিত করছে। এখন এ মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উদারবাদী গণতান্ত্রিক দলগুলোর চরিত্র বা আদর্শগত স্থান বদলে যাচ্ছে। তারা ক্রমে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী আদর্শ বা চেতনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা এমন ঘোষণাও দিয়ে থাকে, ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করা হবে না। এর মধ্য দিয়ে এসব দলের ভেতরে ধর্মনিরপেক্ষতা বা গণতান্ত্রিক চেতনা ক্রমে লোপ পাচ্ছে।’
উল্লেখিত দুজন গবেষকই স্বীকার করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ইসলামপন্থীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্রতা যত বাড়ছে, তাদের প্রতি মানুষের আগ্রহও তত বাড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী আদর্শ বা চেতনাকেই প্রাধান্য দিতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর। এভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দলের সমর্থকদের মধ্যেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আদর্শের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। এ দ্বন্দ্ব ও সংকট মোকাবিলার প্রধান উপায় উদার গণতন্ত্রচর্চা এবং মানুষকে তাদের পছন্দের আদর্শের আলোকে সরকার গঠনের সুযোগ নিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ একদিন জেগে উঠবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হলে অবশ্যই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আদর্শের রাজনৈতিক শক্তিকেই তারা বেছে নেবে।’
এ পাতার অন্যান্য খবর
- ভারতকে তেতুলিয়া করিডোর!
- দুঃশাসনের গ্রাসে পরিবেশ বিপর্যয়ের কবলে দেশ
- ঢাকা-দোহা ১০ চুক্তি সই
- বিপদে-আপদে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : শফিকুর রহমান
- বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের
- আদালত চত্বর থেকে রাজশাহী নগর জামায়াতের সেক্রেটারিসহ আটক ১০
- সারা দেশে ইসতিস্কার নামায
- ঈদের পর ফের অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার