স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে মাঠে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদসহ রাজপথের বিরোধীদলগুলো। গত ২৮ অক্টোবরের আগে ও পরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের পর সম্প্রতি সিনিয়র নেতাসহ তৃণমূলের নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে এলেও তারা এখনো বড় কর্মসূচি পালনে পুরোপুরি প্রস্তুত নন সিনিয়রদের অনেকে এখনো দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাছাড়া রমযানের কারণে এখন রাজপথে বড় কোনো শোডাউন করতে চাচ্ছে না বিরোধীদলগুলো। তবে নতুন নির্বাচন দাবি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইস্যুতে বিভিন্ন সভা-সেমিনার ইফতার অনুষ্ঠানে সোচ্চার রয়েছে বিরোধীদলগুলো।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একাধিক বৈঠক করেছেন নির্বাচনের পর। ওইসব বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল পরবর্তী করণীয় ঠিক করা নিয়ে, কিন্তু একাধিক বৈঠকেও বিএনপি রাজপথে বড় ধরনের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তে আসেনি। তারা এখন ছোট ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দাবিগুলো জানিয়ে আসছে। সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা আন্দোলন কিংবা দাবি আদায় কোনোটা থেকেই সরে আসেনি। তাদের আন্দোলন চলমান। রমযান মাস সংযমের মাস। এছাড়া তাদের নেতাকর্মীরাও দীর্ঘদিন কারাভোগের পর বেরিয়ে এসেছেন। অনেকে অসুস্থ, তারা চিকিৎসাধীন আছেন। সব মিলিয়ে এখনই বড় কর্মসূচি পালনের মতো চিন্তা তাদের নেই। সঠিক সময়ে আবার রাজপথে সোচ্চার ভূমিকায় দেখা যাবে দলটিকে এমনটাই বলছেন নেতারা।
এদিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিরোধীদল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও রাজপথে দাবি আদায়ে সোচ্চার রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও রোজায় রাজপথে বড় কোনো কর্মসূচির কথা ভাবছে না। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মুক্তি পাওয়ার পর থেকে দলে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন। রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতে তারা সক্রিয়। গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, তা বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে আসছে দলটি। একইসঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে পদত্যাগের দাবি জানায় দলটি। তাছাড়া জনগণের যেকোনো সমস্যায় দলটির নেতারা পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রমযানকে কেন্দ্র করে ইফতারসামগ্রী বিতরণসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে দলটি।
এছাড়া রাজপথে থাকা অন্য বিরোধীদলগুলোর মধ্যে নাগরিক ঐক্য, বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্য দলগুলো ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সক্রিয় রয়েছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- জনগণের মুখোমুখি আ’লীগ
- তীব্র যানজটে যাত্রীদের নাভিশ্বাস
- বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রেইন টিউমার রোগী
- উদ্ধার বিলম্ব হওয়ায় শঙ্কিত তাদের পরিবার
- প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে
- চীনে বেড়েছে বিয়ের হার
- আল কুরআন হলো সত্য এবং ন্যায়ের মানদণ্ড------মতিউর রহমান আকন্দ
- নামায পড়ায় গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর
- হলমার্কের তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন
- অবিলম্বে মামুনুল হকের মুক্তি চেয়েছে শিবিরসহ ১০ ছাত্রসংগঠন
- ফালাহ-ই-আম ট্রাস্টের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত