সাংবাদিকদের সম্মানে শিবিবের ইফতার মহাফিলে আসাফ উদদৌলাহ

মানুষকে জয় করতে হলে মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে

সোনার বাংলা রিপোর্ট
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে বিশিষ্ট সাংবাদিকরা বলেছেন, ধর্মের মূলনীতি থেকে সরে আসার কারণে আমাদের জীবনে ও সমাজের অবনতি হচ্ছে। ছাত্রশিবিরের বিনয় ও নম্রতা ধরে রেখে মানুষের হৃদয় জয় করার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা পরামর্শ দেন। আগামী দিনে নেতৃত্বের আসনে আসীন হওয়ার জন্য বক্তারা শিবিরের জন্য আশীর্বাদ করেন। গত ১৮ আগস্ট বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সম্মানে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন। শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট কলামিস্ট  আসাফ উদদৌলাহ, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, ডেইলি নিউনেশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মোবায়দুল রহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সহকারী সম্পাদক সঞ্জিব চৌধুরী, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন। এ ছাড়াও বিশিষ্ট সম্পাদক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ড. আসাফউদ্দৌলা বলেন, মানুষকে জয় করতে হলে মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে। ভয় দেখিয়ে ুদ্র স্বার্থ হাসিল করা যায়, কিছু জয় করা যায় না। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে পথে এগোতে হবে। শিবিরকে নিয়ে যে ভীতি কাজ করতো আজ আর তা হয় না। শিবিরকে গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতি থেকে পৃথকভাবে মূল্যায়ন করা হয়। ছাত্রশিবিরের সংগ্রামের ইতিহাস  দীর্ঘ, সামনে আরো অনেক সংগ্রাম রয়েছে। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি একদিন দেশের নেতৃত্বে ছাত্রশিবিরকে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আবুল আসাদ এক বামপন্থী লেখকের বাসায় যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ব্যক্তিগত দাওয়াতের কারণে বামপন্থী লেখকও আমাদের প্রশংসা করেছেন। মানুষের মনের ভেতরে সঠিক কথা ও বক্তব্য নিয়ে পৌঁছতে পারলে যত কঠোরই হোক না কেন নরম হয়ে যাবে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখার জন্য শিবিরের প্রতি আহ্বান জানান। মোবায়দুর রহমান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ধর্ম ও রাজনীতি সম্পৃক্ত। তা আলাদা হতে পারে না। ইসলামী ছাত্রশিবিরও এ বিশ্বাসের আন্দোলন করছে। বর্তমানে আমরা ভয়ানক দুর্যোগের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। মুক্তির জন্য সকলকে নিয়ে ঐক্য নয়, দেশপ্রেমিক শক্তির সাথে ঐক্য করতে হবে। মিসরের তাহরীর স্কয়ার একদিনে হয় না। সনাতন রাজনীতি নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের জন্য প্রস্তুত হতে তিনি শিবিরের প্রতি আহ্বান জানান।

সঞ্জিব চৌধুরী বলেন, ছাত্রশিবিরের ছেলেদের বিনয় ও নম্রতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সাধারণত ছাত্র সংগঠনগুলোর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সাহস হয় না। শিবিরের ব্যবহার আমাকে তাদের অনুষ্ঠানে আনতে সম হয়েছে। এ ব্যবহার ধরে রাখতে পারলে শিবির ভবিষ্যতে জাতিকে দিশা দিতে পারবে। তিনি ছাত্রশিবিরের ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত অবস্থা থেকে মুক্ত করতে মেধা ও বুদ্ধিভিত্তিক নেতৃত্ব উপহার দেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ রমযান মাসেই ইসলামের অনেক বড় বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে। শিবির দেশের জন্য সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে চায়। যত বাধাই আসুক, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের দোয়া থাকলে আমরা দেশের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিতে পারবো।