কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে এনজিওগুলো

রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

রাস্তা ভেঙ্গে রৌমারীর পূর্বাঞ্চলীয় ৬০টি গ্রামে পানি বৃদ্ধি

শওকত আলী মণ্ডল, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কিছুটা কমলেও অন্যান্য নদীগুলোতে পানি তেমনই রয়েছে। এমতাবস্থায় এনজিওগুলো বন্যা কবলিত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বেশ ক’টি রাস্তা ভেঙ্গে রৌমারীর পূর্বাঞ্চলীয় অন্তত ৬০টি গ্রামে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮০ সে.মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্কুল গৃহে পানি ওঠায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল ও ডুবে যাওয়া চর এলাকা থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষ তুলনামূলক উঁচু জায়গায় উঠেছে। ডিসি সড়কের পাশে ১৪টি বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র এখন কানায় কানায় পূর্ণ। বিপদগ্রস্ত মানুষের ভির লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঁধ রাস্তাগুলোতেও। ইতোমধ্যেই শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। গরুসহ গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে মানুষ। ভেসে গেছে প্রায় ১২শ পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে ১১ হাজার হেক্টর জমির নানা আবাদ। এদিকে বন্যায় ভেঙ্গে গেছে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী বেড়িবাঁধ, ধর্মপুর বেড়িবাঁধ, কাউয়ার চর বেড়িবাঁধ, শৌলমারী ইউনিয়নের কাজাইকাটা বেড়িবাঁধ, রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের ফৌজদারি বেড়িবাঁধসহ বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ সংযোগ গ্রামের রাস্তাগুলো বন্যায় ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্যার সীমান্ত পাঁচটি বিজিবি ক্যাম্পের চারপাশে পানি উঠছে। এর মধ্যে গয়টাপাড়া ও মোল্লারচর বিজিবি ক্যাম্পের ভিতরে পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল ৩০ জুলাই রৌমারী উপজেলা হলরুমে উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে একটি দুর্যোগ প্রস্ততি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আলোচনা সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি এডিএম আব্দুল লতিফ খান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল্যাহ আল মামুন তালুকদার উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ, ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাঝে সরকারের দেয়া ত্রাণের চাল ৮০ মে টন সকল চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদেরকে সাথে রেখে এলাকায় এলাকায় স্পট তৈরি করে তালিকা ভিত্তিক বানভাসী মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য বণ্টন করেন এবং বলেন সামনে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে তাহাও অতি তারাতারি দিয়ে দিবো। অপরদিকে নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার জানান, কয়কেটি টেলেভিশিন চ্যানেলে রৌমারীকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা প্রচার করছে। যা সত্য নয়। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পূর্বাঞ্চলরে সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢলে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্তে ৩০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।