সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

অনামিকা
হে বিশ্ব জাহানের মালিক তুমি তোমার বান্দাদের আমাদের সন্তানদের চাইতেও বেশি ভালোবাস। কিন্তু তোমার বান্দাদের কিছু অংশ কিছু মানুষের উপর কঠিন জুলুম-নির্যাতন করছে, যাদেরকে জুলুম করছে তারা বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। তোমার কাছে শুধু ফরিয়াদ জানাচ্ছে। এখনকার মারামারির আর খুনখারাবির চিত্র দেখে মনে হয় পশুর চেয়েও অধম হয়ে গেছে মানুষ। ঝিনাইদহের খবর হলো প্রায় দিনই মোটরসাইকেলে এসে ‘ডিবি’ পরিচয় দিয়ে ১৫/২০ বছর বা তারও বেশি হবে এ রকম বয়সের ছেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

২/৪ দিন পর তার খোঁজ করলে দেখা যায় লাশ। হে মাবুদ কোথায় গিয়ে আমরা ফরিয়াদ জানাবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক টিচার তো বলেই ফেলেছেন যে আমি ছেলে হত্যার কোনো বিচার চাই না। তার একমাত্র পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে বিধায় তিনি কষ্টে একথা বলে ফেলেছেন। একথা বলার কারণেও তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। ও মালিক বিচার একমাত্র তোমার কাছেই চাইবো। কিন্তু যে ক’দিন তুমি দুনিয়াতে আমাদেরকে রাখবে অন্তত সে কদিন আমাদেরকে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ দাও মাবুদ। কবে অসহায়, দুঃস্থ আর মজলুমের দোয়া কবুল হবে। তুমি না বলেছো মজলুমের দোয়া কবুল হয়। আর কত কষ্ট নির্যাতন সইতে হবে এ দেশের মানুষকে। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। রিকশায়, সিএনজিতে উঠলে তারা যে তাদের কত কষ্টের কথা বলতে থাকে নিজে থেকেই তার কথা শুনছি কি না সেটাও খেয়াল করে না। বলছে তো বলছেই, মানে সারাদিন তো তাকে যাত্রী নিয়ে রাস্তায়ই থাকতে হয় তাই যাত্রীর সাথেই তার কষ্টটা শেয়ার করতে চায়, এদের কথাতেও বুঝা যায় দেশে শান্তি নেই। হে বিশ্ব জাহানের মালিক তুমি তো সব দেখছো, তারপরও তোমাকেই বলছি, মানুষরা ভয় পায় কার কাছে তার দাবি তুলে ধরবে সাহস নেই। ‘প্রথম আলোতে’ লিখেছেন একজন কলামিস্ট (ফারুক ওয়াসিফ) তার কলামের নাম দিয়েছেন ‘পাঞ্জেরির ঘুম ভাঙবে কি?’

তিনি লিখেছেন ‘ভয়ের পরিবেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকার কথা নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা তখনই থাকে যখন মানুষের মত শোনার কান থাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সরকারের। মতের মধ্যে চাওয়া থাকে দাবি-দাওয়া থাকে। মানুষের দাবিই যদি পাত্তা না পায় তাহলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যায়। লেখক ‘আরো লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবিত ও মৃত অবস্থায় খবর হয়। কিন্তু তাদের মনের কথা কওয়া বারণ, সরকারও ঠিক করেছেন দিনরাত জনগণের কথা বলা হবে। কিন্তু জনগণকে বলতে দেয়া হবে না। জনসভা করেও কথা বলার সাহস নেই জনগণের। কারণ সরকার পারমিশন দেবে না। চায়ের দোকানেও আড্ডা নেই। এসব জায়গায় ‘ডিবি’ পুলিশ ও মাস্তানদের ভয় বিরাজ করছে’। কত রকমের মারণাস্ত্র এরা ব্যবহার করছে। কত মায়ের বুক খালি করছে এই মাস্তানেরা। এই মায়েরা কোথায় বিচার চাইবে। বিচার তো দূরের কথা। থানা কোনো মামলাও নিতে রাজি হয় না। মানবাধিকার সংগঠক সুলতানা কামাল বলেছেন, সরকার সমালোচনাকে দেখছেন বিরোধিতা হিসেবে। হে আমাদের মালিক তুমি সবই দেখছো তারপরও আমি লিখছি আমার মনের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে। তুমি তোমার প্রিয় বান্দাদের জন্য একটা বিহীত করো আর ধৈর্য ধারণ করতে মনে হয় আমরা পারছি না। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে জাতির উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা আমরা করতে পারছি না। মদ, জুয়া, শিশু হত্যা, নারী নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ মানুষকে সম্মান করা ভুলে গেছে। সালাম বিনিময় নেই। অথচ পরিচিত আর অপরিচিত নেই সবাইকে সালাম দেয়ার কথা আছে। (বুখারী, মুসলিম, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.)। সালাম বিনিময়ের ফলে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, নবীজী বলেছেন, ‘তোমরা বেহেশতে যেতে পারবে না যতক্ষণ না মুমিন হও’।

হে ‘মাবুদ’  তুমি তোমার  কোনো বান্দার হেদায়েত না চাইলে তো সে হেদায়েত পাবে না। হে আল্লাহ বেঁচে থাকা অবস্থায় আমাদের হেদায়েত দান করো। ওগো দয়াময় দয়া চাই তোমার। দেশটা তো শয়তানে ভরে গেছে। নবীজী বলেছেন, কেউ যদি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়, তবে আমি তার জন্য বেহেশতের নিশ্চয়তা দেবো। (বুখারী, সাহাল ইবনে সা’দ, রা.)। এর ব্যাখ্যা এ রকম, মানবদেহের এই দুটো স্থান অত্যন্ত বিপজ্জনক ও দুর্বল, যেখান দিয়ে শয়তান সহজেই আক্রমণ চালাতে পারে। বেশিরভাগ গুনাহ, এই দুটো জায়গা দিয়েই সংঘটিত হতে পারে বা হয়ে থাকে।’ কেউ যদি এ দুটো জায়গাকে শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে, তাহলে তার বাসস্থান যে জান্নাতেই হবে এটা অবধারিত। মানুষ যদি আল্লাহকে ভয় করতো তাহলে পৃথিবীটা খুব সুন্দর থাকতো। সত্য কথা বলা এখন অপরাধ। সত্য কথা বলার অপরাধে কত মানুষ জেলে পচে মরছেন। তারাও আল্লাহর কাছেই বিচার চাইছে। ক’দিন আগের ঘটনা। ‘মাইক্রোতে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ সাহেবরা তিনজন এসে গাড়ি থামিয়ে দিলেন। বলতে লাগলো গাড়ি কোথায় যাবে। ভাড়া করা গাড়ি না কার গাড়ি বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করে ফেললো ড্রাইভারকে। তারপর ড্রাইভার ৫০০ টাকা বের করে দিল কিন্তু তা সে না নিয়ে বললো থানায় গাড়ি নিয়ে যাবো সম্ভবত ড্রাইভাররা জানে কি করতে হয় এদের সাথে। টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিল আর কোনো কথা নেই। এই হলো আইন এ হলো ছোটখাটো চুরি ডাকাতি। কিন্তু বড় বড় চুরিগুলো কারা করছে। টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজে দেখলাম। পানামা পেপারর্স কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশীর নাম রয়েছেন। রাসূল (সা.) আলী (রা.)কে বললেন, হে আলী, কোনো গায়েরে মুহাররম স্ত্রীলোকের উপর হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। দ্বিতীয়বার আর দৃষ্টি দিও না। প্রথম দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। দ্বিতীয় দৃষ্টি বৈধ নয় (কেননা প্রথম দৃষ্টি ছিল অনিচ্ছাকৃত আর দ্বিতীয় দৃষ্টি ইচ্ছাকৃত -অনুবাদক) চরিত্রবান মানুষের বড়ই অভাব। তাইতো সমাজে আজ এত নোংরামী ভরে গেছে। নারীর জন্য কোনো মান-সম্মান নাই। অথচ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, বিরোধী দলীয় প্রধানও একজন নারী। কোথায়ও নারীদের সম্মান রক্ষা হচ্ছে না। একজন নারীকে অসম্মান করা মানে ‘মাকে অপমান করা। এটা কি কোনো পুরুষ মানুষের কাছে একবারও মনে হয়? কখনোই না। এমন ঘটনা আমরা জানি মেয়েরা রাস্তা দিয়ে স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে দোকানে বসে বদমাইশ ছেলেরা আয়না ধরে থাকে আর মেয়েদের সে আয়নায় দেখা যায়। তাতেই তাদের কত সুখ। এটা একটা সামান্য ব্যাপার। ইন্ডিয়ান একটা চ্যানেলে ‘ক্রাইম পেট্রোল’ যারা দেখেন তারা বুঝতে পারার কথা। ক্রাইম কত প্রকার এবং কি কি সেখানকার প্রশাসন আবার দেখা যায় যে, প্রতিটা অপরাধীকে ধরে শাস্তি দিচ্ছে এবং ধরতে সক্ষম হচ্ছে। এ জিনিসটা ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো যদি অপরাধীরা সরকার দলীয় হয় তো সেখানে ধরা পড়লেও বিচার হবে উল্টো ফাঁসির আদেশ হলে প্রাণভিক্ষা চাইলে প্রেসিডেন্ট তা মওকুফ করে দেবেন। জিল্লুর রহমান সাহেব যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন গণহারে ফাঁসি মওকুফ করে নিয়েছেন। তখন সানাউল্লাহ নূরলি হত্যাকারীর (আওয়ামী সমর্থক লোকজন ছিল এবং হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে)স্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর সাহেব কি তার স্ত্রী হত্যার আসামিদের ফাঁসি মওকুফ করে দেবেন?

বর্তমান সরকারের এক মন্ত্রীর জামাতা (র‌্যাব কর্মকর্তা) সে লক্ষ্মীপুরে ডা. ফয়েজ সাহেবকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তারপর নারায়ণগঞ্জ সাতখুনের সাথে জড়িত এই মন্ত্রীর জামাতা।  তার কি বিচার হচ্ছে তা মানুষ হা করে দেখছে। ডা. ফয়েজের কন্যা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, যদি তার বাবা হত্যার বিচার সরকার করতো তাহলে আজ আবার মন্ত্রী জামাতা নারায়ণগঞ্জে ঐ সাত খুনের কাজ করতে যেতো না। এখন সরকার পড়েছে বেকায়দায়। কারণ প্যানেল মেয়র নজরুলের পরিবারও আওয়ামী লীগ করেন আর মন্ত্রী তো আওয়ামী করেনই। এই সাহসেই তো মন্ত্রী জামাতা খুন করে বেড়াচ্ছে আর ‘জেলে’ জামাই আদরে আছেন। জেল ভর্তি তো জামায়াত আর বিএনপির লোক। আর সরকারি দলের লোকদের ধরলেও তো ছেড়ে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার ব্যবস্থা করা সহজ। এই দু’দিন আগে দেখলাম যুবলীগের এক নেতাকে ফাঁসির আদেশদিয়েও আবার (দু’বার) প্রাণভিক্ষা চেয়েছে তাই মাফ করে দেয়া হয়েছে। কাজেই সরকারদলীয় সাধারণ চেলাচামুণ্ডাদের ধরে ক’দিন রেখে ছেড়ে দিবে এটাই তো স্বাভাবিক। কি বিচিত্র দেশ পেয়েছি আমরা। সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমান (মৃত) আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘দেশটা বাজিকরদের হাতে’। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, মানুষ পশুত্ব ও দেবত্ব দিয়ে গঠিত। পশুত্ব দূর করে দেবত্বের বোধন করতে হয়। পশুত্ব ধ্বংসের প্রধান উপায় সাধনা বা ইবাদত। ‘সালাত’ মানুষকে অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখে। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আরো বলেছেন, সকল শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মশিক্ষা দিতে হবে সন্তানদের। ধর্মশিক্ষা না থাকলে তারা দুশ্চরিত্র হবে। তিনি ধর্মহীন শিক্ষাকে কুশিক্ষা বলে অভিহিত করেছেন। মানুষের মধ্যে অসভ্যতা ও অসদাচরণ লক্ষ্য করলে তিনি বলতেন এতে বাপমায়ের বদনাম হয়। মনে রাখতে হবে পিতামাতার বদনামের জন্য সন্তানের জন্ম হয়নি। বাবা-মায়ের মুখ উজ্জল করতে হবে, ধর্ম শিক্ষার উপরে। ছাত্রদের লক্ষ্য করে তিনি বলেছেন, “তুমি ছাত্র, তুমি জ্ঞানের মুজাহিদ, জ্ঞানের সাধনা তোমার একমাত্র কার্য। আলস্য, নৈরাশ্য, জড়তা, ভীরুতা, বিলাসব্যসন, দীর্ঘসূত্রিতা, চঞ্চলতা, তোমার পদতলে দলিত মথিত হোক। তোমার কঠোর পণ হোক, ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।’ তিনি ছাত্রদের আরো বলেছেন, দুঃখ দারিদ্র্য বাধা বিপত্তির সহিত সংগ্রাম করিয়া যাহারা মানুষ হয় তাহারাই মহৎ ব্যক্তি হয়ে থাকে। পারিপার্শ্বিকতার সহিত অনবরত সংগ্রামই তো জীবন। রৌদ্র বৃষ্টি ঝঞ্ঝাবাত না সহিলে গাছ মজবুত হয় না, ছায়ায় পালিত তরু দু’দিনেই শুকাইয়া যায়। জানিও, দুঃখ, কষ্ট, বাধা বিঘœ করুণাময়ের দান। তুমি তাকে মাথা পাতিয়া নাও। বীরের ন্যায় তাহাকে বহন কর, আল্লাহ আশ্বাস বাণী দিতেছেন যে, ইন্নামাল উসরি, য়ুসরা, ফা-ইন্না মা’আল উসরি ইয়ুসরা। নিশ্চয় দুঃখের সহিত সুখ আছে। অতঃপর নিশ্চয়ই সুখের সহিত দুঃখ আছে। তিনি বিশ্বাস করেন অজ্ঞতা, মূর্খতা সকল পাপের মূল। ‘আরাকা লাফসান্দু ফাকাদ আরাকা রাকাদু।’ যে নিজেকে চিনেছে সেই তার রবকে চিনেছে। এত বড় মাপের জ্ঞানী মানুষ আমাদের সামনে থাকা দরকার। হায় আল্লাহ কোথায় পাবো এত বড় জ্ঞানী আর ঈমানদার লোক। আমাদের সামনে পিছে শুধু চাপাবাজি করা মানুষ বেঈমান আর শয়তান হে মাবুদ কবে পৃথিবী ভালো মানুষে ভরে যাবে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে আর তোমার জিকির করবে। আমার যা অন্যায়, পাপ হয়েছে তুমি মোচন করে দাও, আমাকে সৎ পথ প্রদর্শন করো। আর যারা মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার করছে তাদের হেদায়াত দাও, জালিমদের পতন দিয়ে জাতিকে উদ্ধার করো। যারা অবিচার করছে তাদের তুমি থামাও। আমার ফরিয়াদ যেন তোমার দরবারে কবুল হয়। তুমি আমাদের হেফাজতকারী আর সর্বোচ্চ সাহায্যকারী। আমি তোমারই সাহায্য চাই। আমাকে ধৈর্য দাও, শক্তি দাও। যারা মজলুম তাদের দোয়া তোমার দরবারে কবুল হয়, তোমার ফয়সালা আমার জন্য কাম্য। দেশে নাকি কোনো বিশৃঙ্খলা নেই অরাজতা নেই, দেশ ভালো চলছে। কোনো কোনো মন্ত্রী একথা বলেন। কেউ জবাব দিতে পারি না তাই মাবুদ আমি তোমাকেই জানালাম। কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ।

সমাজে বা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কিছু মূর্খ লোক, মূর্খ লোকের বন্ধুরাও মূর্খই হয়। মূর্খ লোকেরাই পাপ করে বেশি। আবার ‘জ্ঞানপাপীরাও’ পাপ করে পাপে পাপে দেশ যখন ডুবে যায় তখন আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে সেটা কখন কিভাবে আসবে একমাত্র মাবুদই জানে। বেন জনসন বলেছেন, ‘মানুষ যতই গোপন পাপ করুক না কেন, সে প্রকাশ্যেই শাস্তি পায়। আমি পাপীদের সেই শাস্তি দেখতে চাই। প্লুটাস বলেছেন, “সুন্দর দিন সবার জন্য অপেক্ষা করে, কেউ চেষ্টা করে ডেকে আনে, কেউ আনে না।” আসুন না আমরা সবাই চেষ্টা করে সেই সুন্দর আলো ঝলমল দিনটাকে ডেকে আনার চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে কি না হয়। আমরা আল্লাহর সাহায্য চাই। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তো দিতেও পারেন আমাদেরকে সেই সুন্দর দিন। হে সর্বোচ্চ সাহায্যকারী তুমি কথাগুলো কবুল করে নাও। আমাদের নবী করিম (সা.) বলেছেন, ........... দোয়া কবুল হয়। যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তখন আল্লাহতায়ালা আমরা যে আকাশ দেখতে পাই, সে আকাশে আসেন এবং বান্দাদেরকে এভাবে ডাকতে থাকেন : ‘কে আছে আমাকে ডাকে? আমি তার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। কে আছে আমার কাছে ক্ষমা চায়? আমি তাকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত। (বুখারী, মুসলিম, আবু হুরায়রা রা.)।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।