সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একাধারে একজন বরেণ্য আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদ, সুলেখক, সুবক্তা ও দক্ষ সংগঠক। ছাত্রজীবনেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৪৫টা বছর পরে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে ফাঁসি দেয়া হলো। একজন মু’মিন হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে, কোন আলেমের পক্ষে নরহত্যার মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটন কখনই সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে, আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় পায়। আর একজন আলেম ভালো করেই জানেন যে, একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যার শামিল। মাওলানা নিজামী ইসলামী ছাত্রসংঘের দুই টার্ম কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। পেশীশক্তির বলে ঐ সংগঠনের দায়িত্বশীল হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। তাকওয়া-পরহেজগারি ও নেতৃত্বের গুণে যিনি অগ্রসর সবাই মিলে তাঁকেই দায়িত্বশীল করা সেই সংগঠনের ঐতিহ্য। আর নির্বাচকমণ্ডলী হন শপথের কর্মী-ফরজ-ওয়াজিব মেনে চলা ও কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে আল্লাহর নামে তাদেরকে শপথ গ্রহণ করতে হত। মানবতাবিরোধী সকল কর্মই কবিরা গুনাহ। তাই মাওলানা নিজামীর পক্ষে মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ সংঘটন সম্ভব নয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে অতীতে কখনই হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। আজকে শোনানো হচ্ছে যে, আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে তাঁর নেতৃত্বেই বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ নানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর সময়কাল ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে তাঁকে বিচারের সম্মুখীন করার ক্ষেত্রে কোন বাধা ছিল না। বিচারতো নয়ই, বরং স্বৈরাচারবিরোধী ও কেয়ারটেকার সরকার আন্দোলনে মাওলানা নিজামীর সাথে তারা ছিলেন একাট্টা। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন যুদ্ধাপরাধীকে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা যায়নি। ধরা পড়ার পর তাৎক্ষণিক বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে বা যখনই ধরা পড়েছে তখনই তাদের বিচার করা হয়েছে। ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে নাগালের মধ্যে পাওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং নবগঠিত রাষ্ট্রের উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মালেক মন্ত্রীসভার সদস্যসহ দালাল আইনে আটকদেরকে মুক্তি দেন। কিন্তু এখন যাদের বিচার করা হচ্ছে তা একটি ব্যতিক্রম; তারা না তালিকাভূক্ত, আর না তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কখনো কোন অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। ¯à§à¦°à¦«à§‡ ইসলামবিদ্বেষের কারণেই আজ বেছে বেছে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বিচার সম্পূর্ণ সাক্ষীনির্ভর। সাক্ষীদের সততা ও বিশ্বস্ততার ওপর সুবিচার নির্ভর করে। দুর্ভাগ্য, আমাদের নীতিবোধ এত নীচে নেমে গেছে যে, মিথ্যা সাক্ষ্যদানে একটুও বিবেকের দংশন অনুভব করি না। তাওবা করে ফিরে না আসলে ইসলামের দৃষ্টিতে মুশরিকরা চিরস্থায়ী জাহান্নামে যাবে। রসূল (সা.) মিথ্যা সাক্ষ্যদানকে শিরকের সমতুল্য বড় গুনাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ছাড়া সাক্ষ্যদানে বিলম্ব ইসলাম স্বীকার করে না। এ প্রসঙ্গে উমর রা. বলেছেন. ‘কোন দল যদি কোন হদ-এর জন্য সাক্ষ্য দেয় এবং ঘটনার অব্যবহিত পরেই সাক্ষ্য না দেয়, তবে বুঝতে হবে তারা কোন বিদ্বেষের কারণেই সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তাদের সাক্ষ্য গৃহিত হবে না’। দীর্ঘ বিলম্বের পরে আজকের বিচারে মাওলানা নিজামী ও তাঁর সাথীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন।

মাওলানা নিজামী দুইবার তাঁর এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকে আজ যেভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে সেটা সত্য হলে এমপি হওয়া দূরে থাক, এলাকায় তাঁর পক্ষে ভোট চাওয়াই সম্ভব হত না। তিনি পাঁচ বছর দু’টি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটি টাকার দুর্নীতিরও অভিযোগ ওঠেনি। বাংলাদেশে মন্ত্রীদের দুর্নীতিমুক্ত থাকা একটি বিরল ঘটনা। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি সব সময় ঘৃণা করতেন এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। সংসদে দেয়া বক্তব্য এবং এর বাইরে দেয়া তাঁর বক্তব্যে কখনও ঘৃণা-বিদ্বেষ ও উস্কানি প্রকাশ পেত না। তিনি তাঁর রাজনীতিক বন্ধুদের প্রতি সব সময় সম্মান ও শ্রদ্ধা পোষণ করতেন এবং সমালোচনা করলেও তা হত গঠনমূলক ও সংশোধনের লক্ষ্যে।

এই পৃথিবীতে মানুষ একবারের জন্যই জন্মগ্রহণ করে এবং প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমাবে। একজন মুসলমান হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি যে, আখিরাতের জীবন অবশ্যম্ভাবী এবং এ দুনিয়ায় আমাদের কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিফল সেখানে ভোগ করতে হবে। সত্যিকারের বিচার সেদিন নিশ্চিত করা হবে এবং কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করা হবে না। ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই একটি গোষ্ঠী মাওলানা নিজামী ও তাঁর সাথীদের সাথে শত্রুতা পোষণ করেন। ফাঁসির পরে ঐ শ্রেণিটির উল্লাস সূরা বুরুজে গর্তওয়ালাদের কথা স্মরণ করে দেয়। ইসলামের দুশমনরা যুগে যুগে সত্যপন্থী ঈমানদারদেরকে সহ্য করতে পারেনি। আগুনের গর্তে ঈমানদারদের ছুঁড়েমারা ও কাফিরদের উল্লাস প্রকাশ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন ‘ধ্বংস হয়েছে গর্তওয়ালারা, যে গর্তে দাউদাউ করে জ্বলা আগুন ছিল’ এবং আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছেন-‘তাদের অপরাধ ছিল এই যে, তারা পরাক্রমশালী আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছিল’। ঈমানদারদের কষ্টদর্শনে আনন্দ প্রকাশকারীদের প্রসঙ্গে রাসূল (সা.)ও সতর্ক করে দিয়েছেন। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দ জাহির করো না। এরপর আল্লাহ্ তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন এবং তোমাকে ঐ বিপদে নিমজ্জিত করবেন (তিরমিযী)। (রিয়াদুস সালেহীন ৪র্থ খণ্ড হাদিস নং-১৫৭৮।)

শীর্ষনেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়াতে জামায়াত-শিবিরের প্রতিক্রিয়ায় শয়তান বড় নাখোশ হয়েছে। তারা তাদের নেতার অন্তিম নছিয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে-‘সবাই পরম ধৈর্য অবলম্বন করবে ও শান্ত থাকবে এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিবাদ করবে; কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার পথ অবলম্বন করবে না’। আর মাওলানা নিজামী সর্বদা তাঁর নেতা-কর্মীদেরকে চরমপন্থার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। ফেসবুকে দেয়া তাঁর বক্তৃতাগুলো তারই প্রমাণ বহন করে। যে দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন নেতাকে আটক করলে ভাঙচুর ও থানা ঘেরাও হয় এবং কলেজ কমিটিতে নাম না থাকলে তাণ্ডব চালায়, সেদেশে শয়তান কি করে আশা করতে পারে যে, বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাকে ফাঁসি দেয়ার পরে বড় ধরনের কোন নাশকতা হবে না। শয়তানের অস্থিরতা প্রকাশ পেয়েছে তার অনুচরদের মাঝে-হরতাল ডেকে জামায়াত মাঠে নেই, ফাঁসি কার্যকরের পর চতুর্দিকে স্বস্তিভাব। মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ, জানাজায় যেতে বাধাপ্রদান, ধর-পাকড় এবং বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল-এ সবের কোন উল্লেখ নেই। বরং কটাক্ষ আছে জানাজা শেষে ফেরার পথে ভি-চিহ্ন প্রদর্শনের। সাফল্য ও ব্যর্থতা যারা দুনিয়ার লাভ-ক্ষতি দিয়ে পরিমাপ করে, তারা হতাশ হতেই পারে; কিন্তু যারা আখিরাতকে বিশ্বাস করে ও সেখানকার সাফল্যকেই জীবনের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করে তারাতো ভি-চিহ্ন দেখাতেই পারে। শাহাদত হলো মু’মিন জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য এবং এর মাধ্যমে তিনি শুধু তাঁর নিজের মুক্তিই (জান্নাত) নিশ্চিত করেন না, সাথে সাথে তাঁর পরিবার ও অনুসারীদের জন্য সুপারিশ করার যোগ্যতা অর্জন করেন ও চিরদিনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন। ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হন তাদেরকে মৃত বলো না, তারা জীবন্ত, তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা নেই’-আল্লাহপাকের ঘোষণা মোতাবেক মাওলানা নিজামী অমর হয়ে থাকবেন বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীর মাঝে এবং প্রেরণা যোগাবেন যুগ যুগ ধরে।

মানুষকে আল্লাহর পথে যারা ডাকেন তারা মূলত আল্লাহর সাহায্যকারী ও তাঁর একান্ত প্রিয়ভাজন। তাদেরকে সর্বাবস্থায় ধৈর্য ও সহনশীল হয়ে চলার জন্য আল্লাহ তাগিদ দিয়েছেন। তাঁর বাণী- ‘তার চেয়ে ভালো কথা আর কার হতে পারে, যে ব্যক্তি মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে ও নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে, আমি একজন মুসলমান। হে নবী, ভালো ও মন্দ কখনো এক নয়। তুমি মন্দকে দূর কর সেই ভালো দ্বারা যা অতীব উত্তম। তাহলে দেখবে, তোমার জানের দুশমনরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে। এ গুণ কেবল তারাই লাভ করতে পারে, যারা অতীব ধৈর্যশীল এবং অতি ভাগ্যবান ছাড়া এ মর্যাদা কেউ লাভ করতে পারে না। যদি তোমরা শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা অনুভব কর, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন’। হা-মীম আস্-সাজদা ৩৩-৩৬। মন্দের জবাবে যেখানে চুপ থাকাটাই কষ্টকর সেখানে পাল্টা তার ভালো কামনা করা ও সুযোগ পেলেই তার উপকার করা সত্যিই কল্পনাতীত। আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদেরকে কত উচ্চমানে দেখতে চান এ আয়াতে তা ফুটে উঠেছে। আসলে এ জালেমরা শুধু মু’মিনদের শত্রু নয়, ওরা আল্লাহর শত্রু এবং জালেমদের সাথে ফাইনালে বোঝাপড়াটা তিনি তাঁর নিজের হাতে রেখে মু’মিনদেরকে কেবল ইতিবাচক কাজের তাগিদ দিয়েছেন। বদলা গ্রহণের বিষয়টাকে শয়তানের প্ররোচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এমতাবস্থায় তাঁর কাছে আশ্রয় গ্রহণের কথা বলেছেন। বুঝতে হবে এ আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে মক্কায় মুসলমানদের প্রতি বড় নিপীড়ন-নির্যাতনের সময়ে এবং আল্লাহর এ বাণী যুগে যুগে মু’মিনদেরকে তা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। যথার্থ বদলা হবে এ জমীনে নিজামীদের রেখে যাওয়া আদর্শ কায়েমের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে।

রাষ্ট্রশক্তির মাহাত্ম না বুঝার কোন কারণ নেই। রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্যেই দেশে দেশে জুলুম-নির্যাতন হয়ে থাকে। রাষ্ট্রশক্তি নিজেদের করায়ত্তে রাখার লক্ষ্যে স্বৈরশাসকরা যাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করে। আল্লাহ চান যে, তাঁর বান্দাদেরকে আল্লাহর গোলামীতে নিয়োজিত করে সমাজে সুশাসন কায়েমের জন্য মু’মিনরা সচেষ্ট হবে এবং এ কাজে মু’মিনদেরকে সহায়তা করতে তিনি ওয়াদাবদ্ধ। তাঁর ভাষায়-‘আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যে দ্বীনটি আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা যেন শুধু আমার ইবাদত করে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে। আর যারা এরপরও কুফরি করবে তারাই ফাসেক’। সূরা নূর ৫৫। ঈমানদারদেরকে সকল অবস্থায় নেক আমলের তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ নেক আমলের ধারণা অত্যন্ত বিস্তৃত। আচার-আচরণ, লেন-দেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরিসহ জীবনের সকল অবস্থায় শুধুই কল্যাণকর কাজ করে যেতে হবে। এমতাবস্থায় খিলাফত দানের দায়িত্ব ও বর্তমান ভীতিকর অবস্থা দূর করে নিরাপত্তা দানের প্রতিশ্রুতি আল্লাহ প্রদান করেছেন। বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ কখনই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। প্রয়োজন অত বড় নেয়ামত লাভের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণের উপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠার তাওফিক দান করুন এবং সকল শহীদের শাহাদত কবুল করে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন।

লেখক : উপাধ্যক্ষ (অব.), কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।