খুলনার পাইকগাছায় লতা-দেলুটী খেয়াঘাটে বাঁশের সাঁকো যেন মরণ ফাঁদ


৪ জুন ২০২৫ ১২:৫৬

মো. ফিরোজ আহমেদ, পাইকগাছা: খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ও দেলুটী ইউনিয়নের সংযোগস্থল লতা-দেলুটী খেয়াঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় হাজারো মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রোগী, কৃষক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অথচ এ গুরুত্বপূর্ণ ঘাটের পূর্ব পাড়ে পাকা ঘাট থাকলেও পশ্চিম পাড়ে নড়বড়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে হয়, যা বর্ষা মৌসুমে হয়ে ওঠে মৃত্যুফাঁদ। ঘাট মাঝি দিলিপ কুমার জানান, এক বছর আগেও এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল না। শিক্ষার্থীরা কাদা মেখে পারারার হতো। তাদের পোশাকসহ বই-খাতা নষ্ট হতো। তাদের কষ্ট লাঘবে আমি নিজের টাকায় এ সাঁকো তৈরি করেছি। এর সংস্কারে নেই কোনো সরকারি নজরদারি। একটু অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। শিক্ষার্থী তৃষ্ণা মণ্ডল বলেন, ওপারে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় বাঁশের সাঁকোয় উঠতে আমাদের খুব ভয় লাগে। অনেক সময় পড়ে কাদা পানিতে আমাদের বই-খাতা, পোশাক নষ্ট হয়। এখানে স্থায়ী একটা ঘাট প্রয়োজন। লতার বাসিন্দা যমুনা সরকার বলেন, ‘সকালে যখন ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়, তখন মনে হয় কখন সাঁকো থেকে পা পিছলে পড়ে! আমাকেও ওপারে জল নিতে যেতে হয়। জলের কলস নিয়ে নড়বড়ে সাঁকোয় উঠতে পারি না। হাঁটুসমান কাদা মাড়িয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়।’ অন্যদিকে কৃষক সৌমেন দাশ বলেন, ‘হাটে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় খুব কষ্ট হয়। ভারী মাল নিলে সাঁকোয় উঠতে পারি না। কাঁদা দিয়ে মাথায় মালামাল নিয়ে চলাচল করতে হয়।’ বিষয়টি নিয়ে দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। একটি পাকা ঘাটের দাবি অনেক দিনের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, লতা-দেলুটী খেয়াঘাটে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোর কথা জেনেছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘাটের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে।