দেশ আমাদের, গড়তে হবে আমাদেরই
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০১
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এ জন্মভূমি। দেশ ছোট হলেও আমাদের রয়েছে ১৮ কোটি মানুষ। সমতল ভূমি, নদী-নালা, বিশাল সমুদ্র বঙ্গোপসাগর। পাহাড়-পর্বতও রয়েছে সীমিতসংখ্যক। সব জায়গায়ই ধান-পাট-গম, তরিতরকারি, আম, জাম, কাঁঠাল, কলাসহ বিভিন্ন ফলজাতীয় ফসল জন্মে থাকে। যদিও প্রতিবেশী ভারত গঙ্গায় ফারাক্কাসহ আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি নদীতে বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মাণ করে আমাদের নদীগুলোর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে নাব্য হারিয়ে মরুকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে।
চলাচলের জন্য সড়কপথ, নদীপথ, রেলপথ এবং আকাশপথেও যাতায়াত করা যায় আমাদের অনেক জেলায়। ৬৪টি জেলায় ভাগ করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু আছে। উপজেলাগুলোয় রয়েছে যাতায়াতের সুব্যবস্থা। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পড়াশোনার ভালো ব্যবস্থা। রয়েছে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষিতের হার খুব একটা কম নয়। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য প্রায় ১ কোটি মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। তাদের পেশাগত দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠাতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ফল ভালো পাওয়া যাবে।
দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা দেশদরদি সরকার কায়েম করতে পারিনি। ক্ষমতায় গিয়ে সবাই নিজের আখের গোছাতে লেগে গেছি। সাথে দলীয়তন্ত্র কায়েম করে দেশটাকে চোরতন্ত্রে রূপান্তরিত করে ফেলেছে। সর্বশেষ ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা দেশের সব বিভাগ; যেমন বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, পুলিশ বাহিনী, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকসহ সব জায়গায় চাঁদাবাজি, লুটপাট, টাকা পাচার করে দেশটাকে চিটা বানিয়ে ফেলেছে।
স্বৈরশাসক হাসিনা ও তার পরিবার চুরি-চামারি করে নিজেরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। এমপি-মন্ত্রীরাও তাদের আখের গোছিয়ে দেশে-বিদেশে বাড়িঘর করে দেশের টাকা নিজেদের কব্জায় নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির আখড়ায় পরিণত করে ফেলেছে। বিরোধীদলগুলোকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরেছে। নির্যাতনের জন্য আয়নাঘরের মতো নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। গুম, খুন, নিত্য-নৈমিত্তিক নির্যাতন করে বিরোধীদের কথা বলার সব দরজা বন্ধ করে ফেলেছিল। ছাত্র-জনতার কণ্ঠরোধ করে পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনকে তাদের পৈতৃক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছিল। সাংবাদিকদের অর্থের লোভে যাচ্ছেতাই খবর পরিবেশন করতে বাধ্য করে ফেলেছিল।
ছাত্র-জনতার কষ্টের ফলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছিল। আপনাদের জানা আছে, জামায়াতের ৫ শীর্ষনেতাকে অসত্য ও কাল্পনিক মামলায় জুডিশিয়াল কিলিং করে মুসলিম জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। তাদের অফিসগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। মিছিল-মিটিংয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। কথায় কথায় জেলে পুরে বছরের পর বছর নির্যাতন করেছিল। আগেই বলেছি, পুলিশ, আইন-আদালতে তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ দিয়ে গোটা দেশটাকেই তারা তাদের মতো করে চালাচ্ছিল। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।
ছাত্র-জনতা ক্ষোভে-রাগে ফুঁসছিল এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। মহান আল্লাহ গত জুলাই-আগস্ট মাস আমাদের জন্য প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল পাওয়ার পথ করে দিলেন।
বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, সামরিক বাহিনী সবাই হাসিনার স্বৈরশাসনের প্রতি বিরক্ত হচ্ছিল। তারাও জনগণের মুখোমুখি হতে এবং তাদের প্রতি সরাসরি গুলি করে মানুষ মারার কাজে অংশগ্রহণে অনাস্থা প্রকাশ করছিল।
স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়ও ছাত্ররা তাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার যেন আর সহ্য করতে পারছিল না। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আন্দোলনে সামনে এগোতে থাকে। ছাত্র-জনতা তাদের সাথে শরিক হতে থাকে। স্বৈরাচার হাসিনাও মরণকামড় দেয়ার পরিকল্পনা করে। গুলি চালিয়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে হলেও তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয়। মহান আল্লাহও তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। আল্লাহর পরিকল্পনাই চূড়ান্ত, তা আবার বাংলাদেশে প্রমাণ হলো। কারণ কুরআন সর্বশেষ আল্লাহর বিধান। নবী মুহাম্মদ সা. শেষ নবী এবং রাসূল। আগস্ট মাসের প্রথম দিকেই দেশের অবস্থা থমথমে হতে থাকে। সেনাবাহিনীর অফিসাররা সাফ জানিয়ে দেন, তারা জনগণের মুখোমুখি হতে পারবে না। পুলিশ বাহিনী খালি হাতের জনতাকে আর গুলি করতে অপারগতা প্রকাশ করে। হাসিনার ক্ষমতার উৎসগুলো একে একে তার হাতছাড়া হয়ে যায়, এ বাস্তবতা সবাই দেখতে পায়। ৫ আগস্ট দুপুর বেলায় দেশের ছাত্র-জনতা বুঝে উঠতে পারেনি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। আল্লাহর সিদ্ধান্তই যে চূড়ান্ত, তা আবার প্রকাশ হলো। নানা বাহানা করেও হাসিনা দুপুরের খাবার টেবিলে রেখে সেনাপ্রধানের তত্ত্বাবধানে তার প্রিয় মোদির দেশে পাড়ি জমায়। তার কাছের লোকদেরও কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়েই প্রাণ বাঁচায়।
ছাত্র-জনতা খবর পেয়েই তার সুরক্ষিত গণভবন দখল করে নেয়। ছাত্র-জনতার উল্লাসে গণভবন একদিকে যেমন বিজয়ের ঘোষণা প্রচার করে; অন্যদিকে কিছু লোক সিজদায় পড়ে যায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য। যুগে যুগে এভাবেই আল্লাহ তায়ালা স্বৈরশাসকের পরাজয় ঘটান। জনতার বিজয়দান করেন। সম্প্রতি আফগানিস্তানের জনতার বিষয়, সিরিয়ার স্বৈরাচারের পলায়ন আর আমাদের দেশের স্বৈরাচার হাসিনার পালানোর ইতিহাস কিয়ামত পর্যন্ত জনতাকে জানান দেবে, ইনশাআল্লাহ।
ইতোমধ্যেই উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কাজ শুরু করে বিভিন্ন বিভাগে সংস্কারের হাত দিয়েছেন। ১৬ বছর না, গোটা ৫৩ বছরের এ বাংলাদেশে সঠিকভাবে চলেনি বা নেতারা চলতে দেয়নি। শেখ মুজিব, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কারণ তিনি এদেশ স্বাধীন হোক, তা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। ফলে স্বাধীনতার ঘোষণা না করেই পাকিস্তানের সেনাদের কাছে সারেন্ডার করে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান।
রক্তক্ষয়ী ৯ মাস যুদ্ধের কোনো কাজে তিনি লাগেননি। তাই যুদ্ধ শেষে বিজয়ের পর এসে তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে সরকারকে তিনি ভালোভাবে নেননি এবং বেঁচে থাকতে স্বাধীন বাংলা গঠনের স্থান মেহেরপুরে কোনোদিন শেখ মুজিব যাননি। গোটা জীবন গণতন্ত্রের নামে লড়াই করলেও তিনিই এদেশে একদলীয় সরকার বাকশাল কায়েম করেছিলেন। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলেছিলেন, সিরাজ শিকদার আজ কোথায়? কারণ সিরাজ শিকদারের মৃত্যুর জন্য ঐ তিনিই দায়ী।
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের ফলে নতুন বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটে। দেশের মানুষ মুক্ত-স্বাধীন দেশে মুক্তির আনন্দ স্বাদ পাওয়া শুরু করেছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন দিকে কাজ শুরু করেছে। কাজ এগিয়ে চলছে। ১৬ বছরের জঞ্জাল ১৬ মাসেও ঠিক করা যাবে কি-না, সময়ই বলে দেবে। তাড়াহুড়া করার প্রয়োজন নেই। এ সরকার সাময়িক সরকার। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। তাই ভুলভ্রান্তি হবেই। আমরা যারা রাজনৈতিক দলে আছি, তাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং এ সরকারকে সহযোগিতা করে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা জরুরি। ভোটার লিস্টের সাথে এনআইডির ওপর জোর দিতে হবে। এনআইডিকে ভোটার কার্ড হিসেবে চালাতে পারলে জাল ভোট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। কারণ এনআইডিতে ক্লিক করলেই ভোটারের সব তথ্য বের হয়ে আসবে। তাই এনআইডি যাদের নেই, তাদের দ্রুততম সময়ে এনআইডি কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময়ে বিরোধীদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শত্রুর অভাব নেই। পতিত হাসিনার লোকেরা ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে সব জায়গায়। যারা পালাতে পারেনি, তারা কেউ জেলখানার আবহে বিভিন্ন বিভাগে লুকিয়ে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। আমার জানামতে, এরা ভালো লোক। তাদের সহযোগিতা করলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। এখানে বলা দরকার, গত নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল, নির্বাচন কমিশনসহ তাদের কৃতকর্মের জবাবদিহি নিতে হবে। তাদের অপকর্মের জন্য তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পুলিশ বিভাগের পরিবর্তন হয়েছে। আগের লোকেরা বেশিরভাগই হাসিনার দোসর ছিল। তাই এ বিভাগ ঢেলে সাজাতে হবে। পুলিশপ্রধান ইতোমধ্যেই তার বিভাগের অপকর্মের কথা স্বীকার করে জনগণের কাছে মাপ চেয়েছেন। আগামীতে পুলিশ বিভাগকে জনগণের বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার পুলিশ কমিশনার জনসম্মুখে ঘোষণা দিয়েছেন তারা চাঁদাবাজ-দখলবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না। তিনি বলেছেন, চাঁদাবাজ-দখলবাজদের লিস্ট করা হয়েছে। অভিযান চলছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনিও জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন। গ্রামের চাঁদাবাজ-দখলবাজদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম-ঠিকানা থানা, ইউএনওদের কাছে দিতে হবে। যাতে পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে। যদি কোনো থানায় পুলিশ বা ওসি সহযোগিতা না করে, তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে আইজি সাহেবকে জানাতে হবে। আশা করা যায়, দেশের অবস্থা আগের মতো দলবাজদের হাতে আর যাবে না। আমরা একটি ভালো দেশ করার সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।
দেশের বড় দল বিএনপির পক্ষ থেকেও চাঁদাবাজ-দখলবাজ সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারেক জিয়া ইতোমধ্যে তাদের দলের লোকদের সাবধান করেছেন যাতে তারা এসব কাজ থেকে দূরে থাকে। কিন্তু বিএনপির কিছু লোক সারা দেশে আওয়ামী লীগের মতোই চাঁদাবাজি, দখলবাজি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হয়ে বিএনপির ক্ষতি করে ফেলছে। দলের ওপরের লোকদের এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার। কারণ এদেশ আমাদের, আমাদেরই গড়তে হবে।
সুখের বিষয় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গোটা দেশ সফর করে দেশ গড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। চাঁদাবাজ-দখলবাজ সিন্ডিকেট ভাঙার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ছাত্র-জনতা ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের দৃঢ়প্রত্যয়ে এর প্রতিরোধ করার সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এ অসামাজিক লোকদের, তারা যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রতিরোধ করে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা গোটা দেশের মানুষকে দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে চাঁদাবাজ-দখলবাজ সিন্ডিকেট ভেঙে ভালো মানুষের বসবাস উপযোগী দেশ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।
পতিত হাসিনা তার মোদিকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, জনগণ পালানো হাসিনাকে আর দেশে স্থান দেবে না। শুধু তাই নয়, তাদের উত্তরসূরি বা কাছের লোকদেরও জনগণ আর বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। যারা তাদের জন্য মায়া দেখাবে, তাদেরও সমাজচ্যুত করতে হবে।
পতিত সরকারের প্রধানসহ এমপি-মন্ত্রী যারা দেশের টাকা দুর্নীতি করে, চুরিচামারি করে কামাই করেছে, তাদের যেমন জেলে পাঠানো হয়েছে আবার যারা দেশের টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে, তা আনার চেষ্টা চলছে। হাসিনার দ্বারা গঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ যারাই গুম-খুন-হত্যা, টাকা পাচারকারী, তাদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু বিচার করেই হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি দেয়া সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।
আসুন, আমরা আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিই এবং ভালো কাজের আদেশ, মন্দ কাজের প্রতিরোধ করেই সৎ, যোগ্য লোকের সমাজ কায়েম করে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির ব্যবস্থা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায়ক হবেন, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।