॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। ৭ কোটি জনশক্তির দেশ এখন ১৮ কোটিতে পৌঁছেছে। তার মধ্যে আবার আল্লাহয় বিশ্বাসী শতকরা ৯২ ভাগ। নামায-কালাম ঠিকমতো পড়ুক আর নাই পড়ুক, ইসলামের পক্ষে তারা আছে। জেনেশুনে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ হতে দেখলে বিদ্রোহ করে বসবে, কোনো সন্দেহ নেই। সালমান রুশদি তসলিমা নাসরিনসহ যখনই ইসলামের বিরোধীরা মাথাচাড়া দিতে চেয়েছে, তখনই কিন্তু দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের বনবাসে পাঠিয়েছে।
আমরা দেশের ভালো চাই, উন্নতি চাই, অগ্রগতি চাই। গোটা দুনিয়ায় উন্নত দেশ হিসেবে দাঁড়াতে চাই। কার্যকরী দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে বলতে চাই, আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম। কাউকে প্রভু মানতে রাজি নই। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চাই। নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে চাই। কাউকে যেমন ঠকাতে চাই না, আবার নিজেরাও ঠকতে চাই না। সহাবস্থান আমাদের কাম্য। আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. মদিনায় গিয়ে সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের লোকদের সম্মেলন করে মদিনার রক্ষাকবচ মদিনা সনদ তৈরি করে সবার মতকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বপ্রথম মদিনা সনদ তৈরি করেন। আজও ঐ মদিনা সনদের ধারাগুলো সবার জন্য প্রযোজ্য।
আমাদের দেশটিকেও সবাইকে নিয়ে আমরা চলতে চাই। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধদের বৈধ অধিকার দিয়েই দেশটিকে একটি কার্যকরী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাধা আসতে পারে অবৈধ চোরাকারবারি, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক খালি করে বিদেশে পাচারকারী, জমি দখলকারী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলকারীসহ তাদের সহযোগীদের মধ্য থেকে।
এদেশের সাধারণ জনগণ এদের সাথে নেই। গত তিনটি নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি জনগণ মেনে নিতে পারেনি। ফলে মানুষ আর প্রহসনের নির্বাচনে সহযোগিতা করছে না। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছে না। ৫/৭ শতাংশ ভোটকে ৩০/৪০ শতাংশ ভোট দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের খেলা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসৎ-অযোগ্য লোক। তারা ভুলে যান, মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতি অণুপরিমাণ ভালো ও মন্দ কাজের হিসাব অত্যন্ত সুচারুরূপে সংরক্ষণ করছেন এবং ভিডিও করে ছবি তুলে রাখছেন। কাল কিয়ামতে এগুলো প্রত্যেকের আমলনামা হাজির করা হবে। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না বা কাউকে কেউ সুপারিশ করতে পারবে না বা ফল পাল্টাতে পারবে না।
প্রতিদিন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়াগুলোয় অহরহ মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য আসছে। জনগণ এগুলো দেখে প্রতিনিয়ত ঘৃণা ও অসন্তোষ প্রকাশ করছে। বিরোধীদলগুলোর ভূমিকা নিয়েও জনগণ আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে তারা মাঠেও সঠিক ভূমিকা রাখছে না। আমরা দেশের স্বার্থে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভালো কাজের সাথে মাঠে নামার আহ্বান জানাই। কোনো বিশৃঙ্খলা নয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ভালো কাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেধের বাণী আমরা প্রচার করতে চাই। ভালো কাজের নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, মন্দ থেকে নিজেরা দূরে থাকতে চাই, অন্যকেও দূরে রাখার আহ্বান জানাতে চাই। আমাদের উত্তরাধিকারদের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী চোরাচালানবিরোধী দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের থেকে মুক্ত দেশ উপহার দিয়ে যেতে চাই। এর ফলে দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আখিরাতে সীমাহীন সময়ের জন্য জান্নাতুল ফিরদাউস পেতে চাই।
যেকোনো দেশের সরকারি দল ও বিরোধীদল মিলেই দেশগুলো কার্যকরী হিসেবে পরিচালনায় সহযোগিতা করে। আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও সরকারি ও বিরোধীদলের দায়িত্বশীলতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। একে অপরকে শত্রু হিসেবে আচার-আচরণ করে আসছে। ফলে দেশের যে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তা আমরা পাইনি। ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বেশি সময় দেশ শাসন করেছে। তারা একে অপরকে ভালো পরামর্শ দিয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করেনি বা তারা পরামর্শের তোয়াক্কা করেনি। ফলে দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ার সুযোগ হয়নি।
ইতোমধ্যেই দুই দলের প্রধান মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, যা আমাদের কাম্য নয়। মরহুম জিয়াউর রহমানের সময়ই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রবাস জীবন থেকে দেশে আসার সুযোগ পান এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন। পরে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের পর গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করছে। তারা জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে দেশের আমলা প্রশাসন, প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় দেশ পরিচালনা করছে।
ফলে দেশের স্বাভাবিক শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমলারা তাদের কাজে জনগণের ভালোর চিন্তা না করে সরকারি দলের খেয়াল-খুশিমতো দেশ চালাচ্ছে। দেশে-বিদেশে অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে বেগমপাড়া বানানো হয়েছে। দেখার কেউ নেই।
দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত পুলিশ বিভাগ দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু তাদের কারও কারও দুর্নীতির কারণে অনেকেই অবৈধ কামাইয়ের সাথে জড়িত হয়ে গেছে। তাদের লাগাম ধরার কেউ নেই। দেশের পুলিশপ্রধান নিয়োগ থেকে শুরু করে জেলার পুলিশপ্রধান সরাসরি সরকারি দলের অনুগত এবং তাদের পছন্দের লোকজনই নিয়োগ পাচ্ছে। ফলে জনগণের সুবিধা না দেখে সরকারি দলের অনুগত থেকে দায়িত্ব পালন করছে। বিরোধীদলের লোকদের গুম, খুন, কথায় কথায় গ্রেফতার করে জেলে পুরে রাখছে। গত কয়েকদিনে দেশের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সদ্য অবসরে যাওয়া পুলিশপ্রধানের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র। দেশে-বিদেশে অগাধ সম্পদের মালিক হওয়ার খবর আসছে এবং সরেজমিন এ সম্পদের জন্য প্রশাসক নিয়োগের খবর পত্রপত্রিকায় আসছে।
সরকারি দলের লোকেরাও তাকে প্রশ্রয় দিতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু তার দলের প্রতি অনুগত থাকার কারণেই দীর্ঘদিন তাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে এবং তিনিও দলের সব কাজ দায়িত্ব নিয়ে করেই পুলিশের প্রধান হিসেবে অবসর নিয়েছেন। কিছুদিন পূর্বে একটি পত্রিকায় তার সম্পদের পাহাড় জনগণের সামনে আসে। প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে। তিনি ইতোমধ্যে তার পরিবারসহ গা-ঢাকা দিয়েছেন। দেশে নাকি বিদেশে আছেন, তা সরকারের কোনো পক্ষই সঠিক তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ করছে না। গত ৬ জুন তাকে দুদকের পক্ষ থেকে ডাকলে তিনি হাজির হননি। সময় চেয়েছেন।
আমরা কারো বিচারবহির্ভূত সাজা হোক, তা চাই না। তিনি যদি বৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে থাকেন, তবে দেশের আইনানুযায়ী তা ভোগ করার অধিকার আছে। আর যদি অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন, তবে দেশের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সবচেয়ে বড় একটি খবর পত্রপত্রিকায় এসেছে, রানাদাস গুপ্ত অভিযোগ করেছেন, পুলিশপ্রধান নাকি হিন্দুদের জমিজমা দখল করেছেন বা জোর করে কিনে নিয়েছেন। এই রানাদাস গুপ্তরাই হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এতদিন জামায়াতের ঘাড়ে চাপিয়ে এসেছেনÑ যা প্রমাণ হলো তা ডাহা মিথ্যা। আমরা এ সুযোগে দাবি করতে চাই, গোটা দেশে হিন্দুদের সম্পত্তি কারা দখল করেছে, তা তদন্ত করা হোক। আরো বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একজন পুলিশপ্রধানের নিয়োগ কি করে বছরের পর বছর চিন্তাভাবনা না করেই হলো, তা দেশের আইন এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা প্রমাণ করে না। সরকার ও সরকারপ্রধানকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ বিষয়টি গোটা দেশের পুলিশ বিভাগের মান-ইজ্জত, ভালো-মন্দের সাথে জড়িত।
অন্যদিকে দেশের সামরিক বাহিনী দেশকে বহিঃআক্রমণ থেকে যেমন রক্ষা করবে আবার দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ বিভাগের প্রধান হঠাৎ করে নিয়োগ হয় না। জুনিয়র অফিসার থেকে ধাপে ধাপে প্রমোশন পেয়ে সেনাপ্রধান হয় এবং সরকারের ইচ্ছায়ই এ নিয়োগ হয়ে থাকে। সেনাপ্রধানের সহায়-সম্পদেরও যা পত্রিকায় এসেছে তার সঠিক তথ্য জনসম্মুখে আসা খুবই জরুরি। তিনি ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, তারও প্রমাণ মিডিয়াজগতে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেনাবাহিনী দেশের অমূল্য সম্পদ। তার প্রধান যদি নিয়মবহির্ভূত কাজ করে থাকেন, তা তো সাধারণ পাবলিকের মতো বিচার হবে না। খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা জরুরি দেশের স্বার্থেই। এখানেও সেনাপ্রধানের নিয়োগ সরকারপ্রধানের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তাই এখানেও জবাবদিহির প্রশ্ন রয়েছে। একজন সেনাপ্রধানের জন্য গোটা সেনাবাহিনীর বদনাম হতে দেওয়া যাবে না।
পরপর দুইজন বাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনে পড়া বাংলাদেশের জন্য মোটেই মর্যাদাকর নয়। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জন্য দুই প্রধানের কারণে কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে দেশের জন্য এ দুই বাহিনীর জন্য মোটেই সুখকর হবে না। দেশের কার্যকারিতার বড় বাধা হয় যেতে পারে, যা আমাদের জন্য কাম্য নয়।
আমাদের বিচার বিভাগের গুরুত্ব দেশ পরিচালনার জন্য বড় দিক। কিন্তু বর্তমানে বিচার বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে কথা উঠেছে, যা মোটেই দেশের জন্য ভালো নয়। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ-সচেতন হতে হবে। বিচারকদেরও কিন্তু একদিন বিচারের আওতায় আসতে হবে মহান আল্লাহর কাছে।
টাকা পাচার করা, ঋণখেলাপি করা, নিয়মবহির্ভূতভাবে শত শত কোটি টাকা নামসর্বস্ব কোম্পানিতে বিনিয়োগ খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে দুষ্টচক্র থেকে উদ্ধার করতে হবে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশের আইন সচল করতে হবে। বিচার সবার জন্য সমান প্রমাণ করতে হবে।
দুর্নীতির কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। দেশ আমাদের সবার। দলমত-নির্বিশেষে সকলকেই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারি, দখলবাজ সব ধরনের অন্যায়, জুলুম থেকে পরিবার, সমাজ, দেশকে রক্ষা করতে হবে।
গত ৫৩ বছর এদেশের মানুষ সব দলের কার্যক্রম দেখেছে। তাই আজকে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমও মানুষের নখদর্পণে। ব্যাংক, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা, স্কুল-কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়, মাদরাসাসহ দেশের বহু প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু, সুন্দর কার্যকরীপন্থায় চলছে এবং দিন দিন উন্নতি-অগ্রগতি হচ্ছে।
গত কয়েকদিন পূর্বে আমার কাছে একজন ডাক্তার এসে বললেন, স্যার আমি তো আপনার স্কুল থেকে পাস করে এখন উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছি ডাক্তার হিসেবে, তার সাবজেক্ট হলো নাক-কান-গলা। তাকে একটি বড় প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিলাম এবং মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম। সততার সাথে প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ঘাটতি, ডলার সংকট, নির্বাচন পদ্ধতির অচলাবস্থা এবং জনগণের আস্থাহীনতা কোনোটাই দেশের জন্য কল্যাণকর বা কার্যকারিতার সুফল বয়ে আনছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি, পানি, বিদ্যুতের দাম বার বার বৃদ্ধি, জনগণের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সড়ক, নদীপথ, রেলপথ বিমানের ভাড়া বৃদ্ধিসহ মানুষের চলার পথকে দুরূহ করে তুলেছে।
আর্থিকভাবে সচ্ছল লোকদের হজ ফরজ হলেও হজের খরচ এখন মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ১৯৯০ সালে আমরা দুজন হজ করেছিলাম, সর্বমোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন একজনের জন্য কমপক্ষে খরচ লাগছে ৭ লাখ টাকা। অথচ ওমরাহর জন্য এখনো এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা ওমরা করা যায়। বিরাট পার্থক্য। দেশের সার্বিক অবস্থায় সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণকর তো নয়ই, বরং দিন দিন খরচের খাত বেড়েই চলছে। ধনীরা কর ফাঁকি, ঋণখেলাপি, টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতির বড় ক্ষতি করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। আমরা এর পতিকার চাই। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশকে একটি কার্যকর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সৎ মানুষের ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে আমরা পারব গুণী, সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে, ইনশাআল্লাহ।
দেশের মালিক জনগণ। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করে পরিকল্পনা করতে পারলে দেশের সব জনপ্রতিনিধিকে কাজে লাগিয়ে, সব আমলাদের দেশের ভাবমর্যাদার প্রতি আগ্রহী করতে পারলে দেশের পুলিশ, সামরিক বাহিনীকে আদর্শিক প্রশিক্ষণ দিতে পারলে, ব্যবসায়ীদের দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করতে পারলে- দেশের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক সমাজকে দেশের উন্নতি-অগ্রগতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের দেশের উন্নতি-অগ্রগতির বাধাদানকারী শক্তি দুর্বল হতে বাধ্য। ঘণ্টা বাঁধতে হবে সরকারের প্রধান এবং সরকারি মন্ত্রী-এমপি, আমলাদেরই। আমরা সবার সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের সাথে আছেন ও থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।