সংবাদ শিরোনামঃ

সাঁড়াশি অভিযানের আড়ালে প্রতিপক্ষ দলন ** ঈদের পরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দল ** বাজেট বৈষম্যমূলক-অসহনীয়, ব্যবসাবান্ধব নয় ** সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ ও বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** বিরোধী রাজনীতিকদের চাপে রাখার কৌশল ** নিরপরাধ নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে নির্মম তামাশা মেনে নেয়া যায় না : ছাত্রশিবির ** দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে ** নেপথ্য খলনায়কদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার! ** সমাজে বিভক্তির কারণেই মৃত্যুর পরেও সম্মান পাননি মনিরুজ্জামান মিঞা : ড. এমাজউদ্দিন ** ‘অভিযান ছিল লোক দেখানো, বাণিজ্য হয়েছে পুলিশের’ ** ক্রসফায়ার : একটি ধারাবাহিক গল্প ** ক্রসফায়ার নয়, আদালতের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি দিতে হবে ** টাকার ‘সাগর’ এবং অর্থমন্ত্রী ** রোজার তাৎপর্য ** একটি পারিবারিক বৈঠকের কিছু কথা ** ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার বুটিকস কারিগররা ** ‘বিশেষ’ অভিযান শেষ হলেও বন্ধ হয়নি গণগ্রেফতার ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আষাঢ় ১৪২৩, ১৮ রমজান ১৪৩৭, ২৪ জুন২০১৬

॥ কামরুল হাসান॥
ক্রসফায়ার গত ১৫ থেকে ২০ বছরের একটি ধারাবাহিক গল্প। যে গল্পের কাহিনী, দৃশ্য, চরিত্র, অংক কোনো কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। ক্রসফায়ার বিষয়টা হচ্ছে, একটি বিশেষ অভিযানে কখনো কখনো অপরাধীর সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধ হয়, যে যুদ্ধে পুলিশ নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য গুলি করে। তখন ঐ গুলিতে অপরাধীর কেউ মারা যায়। এমন একটি গল্প আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। এই গল্পের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, এখানে কোনো সাক্ষী থাকে না। অর্থাৎ পুলিশ যেটা বলছে সেটাই শেষ কথা। কিন্তু আমার কথা হলো, প্রতিটা ক্রসফায়ারের পরে একজন বিচারকের অধীনে একটি তদন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো তদন্তে পুলিশকে অপরাধী হিসেবে দেখানো হয়নি। এমনকি আজ পর্যন্ত কোনো পুলিশ ক্রসফায়ারে মারা গেছে এরকমও দেখিনি। যেটা বাস্তবে হওয়ার কথা না। ফাহিমকে জনগণ ধরে দিল, যার মাধ্যমে আমরা জঙ্গিদের বড় একটা তথ্য পেতে পারতাম কিংবা জঙ্গির বিশাল একটা গোষ্ঠী দমন করতে পারতাম। কিন্তু তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হলো।

গত ১৮ জুন শনিবার বাংলাভিশন চ্যানেলের ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা যদি বাইরের দেশে তাকাই তাহলে দেখা যায় যে, তাদের প্রশাসনের প্রতিটা গুলির হিসাব দিতে হয় যা আমাদের দেশের আইনেও আছে কিন্তু ব্যবহার করা হয় না। সম্প্রতি যে সাঁড়াশি অভিযান হয়েছে সেই অভিযানে ৭ দিনে ১৩ হাজার ৬শ’ গ্রেফতার হয়েছে তার মধ্যে জঙ্গি মাত্র ১৯৪ জন। এখানে আমার প্রশ্ন হলো বাকিরা কারা? তাদের এখন কী অবস্থা। এই সকল বিষয় কিন্তু সাধারণের মনে প্রশ্নের জন্ম দেয়।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটা ঘটনা ঘটার পরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে, সব বিষয় পুলিশের নজরদারিতে আছে, অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো ব্লগার অভিজিৎ কিভাবে খুন হলো? শুধু অভিজিৎ নয় অন্যদের ব্যাপারেও দেখেছি, পুলিশের নজরদারির মধ্যেই খুন হয়েছে।

জঙ্গিবাদের সাথে যদি সরকারের সম্পর্ক থাকে তাহলে সরকারের লাভ কী? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা যদি সিরিয়া, পাকিস্তানের দিকে দৃষ্টি দেই তাহলে দেখা যায়, তারা এক সময় জঙ্গি লালন করতো এবং এটা করে ঐ সকল রাষ্ট্র, যে সকল রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। তখন ঐ অবৈধ সরকার তাদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য দেশের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চায় এবং করে। এটা আমার কথা না এ কথা বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেক আগে থেকেই বলে এসেছেন এবং তারা এও বলেছেন, যে পথে সরকার হাঁটছে সেই পথেই জঙ্গিদের উত্থান হবে এবং তাই হয়েছে।

অপরাধ দমনে ক্রসফায়ার কোন সমাধান না

অপরাধ দমনে ক্রসফায়ার কোন সমাধান না। সাময়িক সমাধানের জন্য ক্রসফায়ারের পথ বেছে নেয়ায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা থাকেন তাদের পরস্পরের প্রতি অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। যেটা বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে। আর এই বিভাজনটা কোনভাবেই রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

গত ১৯ জুন রোববার প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় এটিএন নিউজের নিয়মিত অনুষ্ঠান নিউজ আওয়ার এক্সট্রায় ‘আবার বিতর্কে ক্রসফায়ার’ বিষয়ক আলোচনায় বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক এসব কথা বলেন। এছাড়া ছিলেন সাংবাদিক জায়েদুল ইসলাম পিন্টু, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ফাহিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রসফায়ারে দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সত্যিকার অর্থে আইনের চোখে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সমাজে যে সমস্যা আছে সেটা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সত্তরের দশকে ক্রসফায়ারটা বেশি হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে। গুয়েতেমালা, আর্জেন্টিনা, চিলি এসব দেশ অনেক মানুষকে সনাক্ত করেছে যারা সমাজে খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো। যারা সমাজে খারাপ ছিলো তাদের মেরে শেষ করে দেয়ার এই চেষ্টাটা সেসব দেশে ক্রমাগত হয়েছে। সেই সব দেশে সমস্যার সমাধান হোক বা না হোক, কিন্তু এর কতগুলো খারাপ পরিণতি দেখা দিয়েছে। এক নাম্বার পরিণতি হলো সমাজে অপরাধ দমনের নামে ক্রসফায়ার দেয়া হলেও অপরাধ, সহিংসতা কিন্তু কমেনি। বরং অপরাধ বেড়ে গেছে। আস্তে আস্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর থেকে মানুষের আস্থা কমে গেছে। ফলে সমাজে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ক্রসফায়ারের কারণে বর্বরতা আরও বেড়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

কোনো হত্যাকাণ্ড হলেই বলা হয় বিরোধী জোট করেছে

বিশ্বের অনেক দেশেই টার্গেট কিলিং হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যাখ্যা হয় ভিন্ন। এখানে কোনো হত্যাকাণ্ড  হলেই বলা হয় বিরোধী জোট বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা করেছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তারা আগেই বলে বসেন, অমুক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতে পারে। আর এ জন্যই এখন আমাদের দেশে হত্যাকাণ্ডগুলোর সঠিক তদন্ত হয় না। প্রকৃত খুনিরা পার পেয়ে যায়।

গত ১৭ জুন শুক্রবার রাতে বাংলাভিশনের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো নিউজ অ্যান্ড ভিউজে আলোচনা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি মাইনুল আলম।

পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর সপ্তাহব্যাপী চলা দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের শেষ দিনে ১৯৪ বা ২০০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে কতজন আসলে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তা পুুলিশই ভালো বলতে পারবে।’

তিনি বলেন, দু-একজন যদি বেখেয়ালে আটক হয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি একটি বিশেষ দলের নেতাকর্মীদের বেশি আটক করা হয়, তবে তা নিয়ে কথা উঠতেই পারে। এই যে ১৪ হাজার লোক আটক হলো তাদের মধ্যে নিশ্চয় সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের আসামিরা নেই। সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘর্ষে প্রাণ যাওয়া ১৩২ জনের ৯৫ শতাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এসব ঘটনায় নিশ্চয় মামলাও হয়েছে। দেখেন গিয়ে ওই সব মামলার একজনও গ্রেফতার হয়নি। এ ছাড়া বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সাঁড়াশি অভিযানে যে ১৪ হাজার গ্রেফতার হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ আইনের বিরোধী। কারণ গত কয়েক দিন আগে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। আজকে মিথ্যা দোষারোপে হাজার হাজার মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগও বিএনপি থেকে করা হচ্ছে। তাই এসব বিষয়েও সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত।

টার্গেট কিলিং বন্ধের বিষয়ে আমাদের আলোচনা হওয়া দরকার

আমাদের দেশে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সাথে সাথে সরকারি দলের বড় কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা কোন সমালোচক ঘটনা সম্বন্ধে বিস্তারিত কোন কিছু না জেনে মন্তব্য  করা বন্ধ করতে হবে। টার্গেট কিলিং বন্ধের বিষয়ে আমাদের আলোচনা হওয়া দরকার। একে অপরকে দোষারোপের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে সবার সম্মিলিত প্রয়াস এখন একান্ত কাম্য। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না, আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।

গত শনিবার রাতে গাজী টিভিতে সংবাদ সংলাপ অনুষ্ঠানে আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

নাঈমুল ইসলাম খান আরো বলেন, শুধু জঙ্গিদের হামলায় হত্যা নয়, যে কোন কারণে অপ্রীতিকর মৃত্যু আমাদের কাম্য নয়। বর্তমানে জঙ্গিবাদের উত্থান আমাদের জাতীয় জীবনে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সমস্যা কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী উদ্বিগ্নের বিষয়। একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের নেপথ্যে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির তত্ত্বকে দাঁড় করানো হচ্ছে। আদৌ কি জঙ্গিবাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক রয়েছে? তা চিন্তার বিষয়। দেশে সহিংসতা ও উগ্রবাদ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই জঙ্গিবাদ নিয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই অপশক্তির উত্থান মোকাবেলা করা। জঙ্গিবাদ নিয়ে রাজনীতি করার এখন সময় নয়। সব রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের উচিত হবে সম্মিলিতভাবে এই জঙ্গিবাদকে দমন করা।

স্কুলবাস বাধ্যতামূলক করলে যানজট কমে যাবে

যানজট কমাতে স্কুলের সময় পরিবর্তন না করে স্কুলবাস বাধ্যতামূলক করলে কাজ বেশি হতে পারে। পত্র-পত্রিকায় দেখছি সরকার যানজট কমানোর জন্য অফিস-আদালত এবং স্কুল-কলেজের সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছে। আমার কাছে মনে হয় বেসরকারি স্কুলগুলো ঢাকা শহরে যানজট সৃষ্টির পেছনে বিশাল ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলো।

গত ১৩ জুন সোমবার রাতে সময় টিভিতে সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. মোবাশ্বের হোসেন এসব কথা বলেন।

মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুগুলোতে অপেক্ষাকৃত উচ্চবিত্তদের সন্তানেরা লেখাপড়া করে। লেখাপড়া করুক এতে সমস্যা নাই, বাবা-মা অর্থ উপার্জন করেই সন্তানদের ভালো ভবিষ্যত তৈরি করার জন্য, ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করে যদি ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় তাহলে সমস্যা কি!

কিন্তু ঝামেলা অন্যখানে। যারা ঢাকা শহরে ইংরেজি মাধ্যমে সন্তানদের লেখাপড়া করান, তারা অন্য অভিভাবকদের যার যার টাকার পরিমাণ দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। তার একটি পন্থা হলো দামী গাড়ি প্রদর্শন। কে কি গাড়ি চালান, সেটা দেখানোর কিন্তু তেমন কোনো উপায় নেই। তাই তারা দামী গাড়ি নিয়ে স্কুলে সন্তানদের রাখতে এবং নিতে যান। বিশাল এক গাড়ি নিয়ে নার্সারি শ্রেণীতে পড়া ৫ বছর বয়সের সন্তানকে স্কুলে দিতে বা নিতে যাচ্ছেন অভিভাবকেরা। অনেকে আবার দিতে যান এক গাড়িতে, আবার নিতে যান অন্যটিতে।

একটা স্কুলে যদি ৫০০ ছাত্র/ছাত্রী থাকে, তাহলে তার সামনে এবং আশ পাশের রাস্তায় ৫০০টি গাড়ি বিরাজ করে। আবার ধরা যাক সকালের শিফটের শেষ আর দিনের শিফট শুরু, তাহলে ৫০০+৫০০=১০০০ গাড়ি ঐ এলাকায় অবস্থান করছে। আমার কথা পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরার ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল পাড়ায় স্কুল শুরু/শেষ হবার সময় একবার ঘুরে আসুন।

তিনি আরো  বলেন, এই স্কুলগুলো আমার কাছে মনে হয় বেসরকারী স্কুলগুলো ঢাকা শহরে যানজট সৃষ্টির পেছনে বিশাল ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে যদি গাড়ি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয় আর তার পরিবর্তে স্কুল বাস চালু করা হয়, তাহলেই কিন্তু ল্যাঠা চুকে যায়। বাধ্যতামূলকভাবে ছাত্র/ছাত্রী/শিক্ষক/শিক্ষিকাদের স্কুলের বাসে ভ্রমণ করতে হবে। স্কুল বাসের জন্য যদি কিছু টাকা বেশিও দিতে হয় তা কিন্তু জ্যামে বসে গাড়ির তেল/গ্যাস পোড়ার খরচের চাইতে অনেক কম হবে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করলে আশাকরি জ্বালানি সংরক্ষণসহ ৩০-৪০% যানজট নিরসন করা সম্ভব হবে। শুধু স্কুলেই না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলোতেও একই আইন কার্যকর করা উচিৎ।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।