সংবাদ শিরোনামঃ

অর্থ লুটের মহোৎসব ** ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের ** সারাদেশে গুম হত্যা আতঙ্ক ** ড. মাসুদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিল ** প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : খালেদা জিয়া ** পানির জন্য হাহাকার ** ক্ষমতার নিশ্চয়তা পেলেই আগাম নির্বাচন ** তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর ** তেলের দাম কমানোর নামে প্রহসন ** সরকার দায় চাপানোর কৌশল নিয়েছে ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে ** ওনারা বললে দোষ হয় না! ** মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কি সুদূর পরাহত? ** পার্বতীপুরে পানির জন্য হাহাকার ** টাঙ্গাইলের ছয় উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই! ** কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ বৈশাখ ১৪২৩, ২১ রজব ১৪৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

॥ সালাহউদ্দীন আওরঙ্গজেব॥
একেই বলে পর্বতের মূসিক প্রসব। গত প্রায় দু’ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশের বর্তমান সরকার-- ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও জনগণের চাপের মুখে অবশেষে দু’ বছর পর জ্বালানি তেলের দাম হাস্যকরভাবে কমালো মাত্র ৫ শতাংশ। গত সোমবার ৬৮ টাকা লিটারের ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়েছে। আর বড়লোকের ব্যবহার করা পেট্রোল ও অকটেনের লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে যথাক্রমে ৮৬ ও ৮৯ টাকা। অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে মিলিয়ে তেলের দাম না কমিয়ে বরং সরকার নিজের খেয়াল-খুশিমতো দাম কমানোর নামে জনগণের সাথে এক বিরাট প্রহসন করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো লাভ হবে না। কমবে না পরিবহন ভাড়া কিংবা সেচ খরচ। সুফল আসবে না অর্থনীতিতে। জ্বালানি তেলের একক আমদানিকারক সরকারি সংস্থা- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) বর্তমানে ডিজেল ও কেরোসিন আমদানি করছে গড়ে ২৫ টাকা দরে। আর পেট্রোল ও অকটেনের দাম পড়ে ৪৫ টাকার মতো। অথচ লাভ করছে দ্বিগুণেরও বেশি। যদিও সরকারি সংস্থা বিপিসি’র কোনো ব্যবসা বা লাভ করার কথা নয়। আগের কোনো সরকারের আমলে বিপিসি তা করেওনি। বরং বিপিসি অতীতে ভর্তুকি দিয়ে কেনা দামের চেয়েও আরো কম দামে বাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতো। এজন্য জাতীয় বাজেট থেকে বিপিসিকে প্রতি বছর ভর্তুকি দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলেই এর ব্যতিক্রম ঘটানো হলো। আবার জ্বালানি তেলের দাম কমাতে সরকার নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কোনো মতামত বা নির্দেশনাও নেয়নি। অথচ সরকারই ‘বিইআরসি’ তৈরি করেছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত মূল্য নির্ধারণের জন্য। এখন বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে তেলের মূল্য নির্ধারণের এই পদক্ষেপকে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন- ‘ক্যাব’ অনৈতিক বলে আখ্যা দিয়েছে। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকার নিজের গড়া নিয়ম লঙ্ঘন করে এভাবে নিজেই ইচ্ছেমতো তেলের দাম ঠিক করায় বাজারে অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদেরও নিয়ন্ত্রণের অধিকার হারিয়েছে। ঐসব অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীর চেয়েও সরকার এবার খারাপ নজির স্থাপন করলো।  বিইআরসি’র গণশুনানি ছাড়াই এতো বড় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়াকে রীতিমতো 'অগণতান্ত্রিক' বলে মন্তব্য করেন তিনি।            

বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি (অপরিশোধিত প্রতি ব্যারেলে ১৬০ লিটার) ১২০ ডলার উঠলে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মূল্য সমন্বয় করে সরকার সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত দরপতন হতে হতে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেলপ্রতি মূল্য ৩০ ডলারের নিচে নেমে গেলেও সরকার স্থানীয় বাজারে এতদিন জ্বালানি তেলের আগের নির্ধারিত উচ্চ বিক্রয়মূল্যই অব্যাহত রাখে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারের কাছাকাছি। খুব শিগগিরই তা ঊর্ধ্বমুখী হবার আভাস নেই। বরং এ বছরের মাঝামাঝি ইরানের তেল বিশ্ববাজারে এলে জ্বালানি তেলের দাম আবার আরো কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে বিপিসি প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা মুনাফা পেয়েছে শুধু ডিজেল বিক্রি করে। গত দু’ বছরে বিপিসি সব পুরনো দায়দেনা পরিশোধ করেও ব্যাংকে ১৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। দেশে বর্তমানে ৫৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রোল আমদানি করা হয় না। দেড় লাখ টন অকটেন ও দুই লাখ টন পেট্রোল বিভিন্ন গ্যাসত্রে থেকে আসা কনডেনসেট পরিশোধনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। সব থেকে বেশি আমদানি করা হয় ডিজেল ও ফার্নেস তেল। ফার্নেস তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে এবং ডিজেলের বড় অংশ ব্যবহার হয় কৃষির সেচকাজে ও পরিবহনে। ৮ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। প্রথম দফায় ২০০৮ সালের ২৬ অক্টোবর পেট্রোল ও অকটেনে লিটারপ্রতি ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনে ৭ টাকা কমানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর অকটেনে লিটারপ্রতি ৩ টাকা ও পেট্রোলে ৪ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনে ২ টাকা করে কমানো হয়। সে সময় প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৭৭ টাকা, পেট্রোলের ৭৪ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ছিল ৪৪ টাকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়। ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ও ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি দাম বৃদ্ধির পর লিটারপ্রতি অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬, ডিজেল ও কেরোসিন ৬৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। তখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম ছিল ১২০ ডলার।

বর্তমানে সারাদেশে গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন ও সেচকাজের জন্য বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন ডিজেল প্রয়োজন হয়। কেরোসিন লাগে ৩ লাখ টন। পেট্রোলের ব্যবহার বছরে দু’ লাখ টন এবং অকটেন দেড় লাখ টন। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ফার্নেস অয়েল লাগে ১৫ লাখ টনের মতো। এদিকে গত ৩১ মার্চ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ফার্নেস অয়েলের দাম লিটারে ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিপিসি। দেশের বেসরকারি ১১টি বিদ্যুৎ কোম্পানি কম দামে ফার্নেস তেল নিজেরা আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে দু’বছর ধরে। ফলে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ইউনিটপ্রতি সোয়া ছ’টাকা থেকে পাঁচ টাকায় নেমে এসেছে। তবে বিপিসির কাছ থেকে লিটারপ্রতি ৬০ টাকা দরে অপর ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ফার্নেস তেল কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। ফার্নেস অয়েলের দাম কমায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বর্তমানে ৩০ শতাংশের মতো কমে গেছে। ফার্নেস তেলের নতুন মূল্য নির্ধারিত হওয়ায় এখন তেল থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য আরও কমার সুযোগ তৈরি হলেও সরকার তা না কমিয়ে উল্টো বিদ্যুতের দাম আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের গ্যাস ও সিএনজি’র দাম আরো ৬০ শতাংশ বাড়ানোরও প্রক্রিয়া চলছে।

তেলের দাম কমানোর সুফল পাবে না সাধারণ মানুষ

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে গত দু’বছরে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দর পতনের পর দেশের বাজারে এবার দাম কমলো অসম প্রক্রিয়ায়। তেলের দাম কমানোর যৎসামান্য সুফল, তার পুরোটাই যাবে উচ্চবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং ব্যবসায়ীদের পকেটে। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো সুফল সাধারণ মানুষের কাছে কিছুই পৌঁছবে না। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো নীতিগত অবস্থানও নেই। তারা ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটারে ৩ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা কমানোর পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, এতে সাধারণ মানুষের সাথে অর্থনীতিও উপকৃত হবে। হিসাব অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের বর্তমান দাম কমানোর সিদ্ধান্তে বিপিসি’র বছরে মুনাফা কম হবে দু’ হাজার কোটি টাকা। এর পুরোটাই যাবে ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদের পকেটে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে বলে সরকার দাবি করলেও কার্যত সাধারণ মানুষ আদৌ এর কোনো সুফল পাবে না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের প্রফেসর ড. এজাজ হোসেন জানান, তেলের মূল্য সমন্বয়ের কোনো নীতিমালা সরকারের নেই। এ ব্যাপারে সুযোগ থাকার পরও বিইআরসিকে কাজে লাগাচ্ছে না জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আবার জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমলেও গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন, সেচ পাম্পসহ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর ভাড়া কমানোর েেত্র সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সাথে সাথেই পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেও এখন ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নেই। মালিকরা এখন বলছেন, লিটারে ৩ টাকা কমানোর প্রভাব ৩ পয়সার সমান, যা হিসাবে আনা কঠিন। এ নিয়ে তাদের ভাবাভাবির কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবহন ও সেচ পাম্পের ভাড়া না কমলে সাধারণ মানুষের পণ্য পরিবহনের ব্যয় এবং কৃষিখরচও কমবে না। বিআরটিএ সূত্র জানায়, দেশে প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ি আছে এক শতাংশেরও কম মানুষের। যারা উচ্চবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। এই উচ্চবিত্তের জ্বালানি হিসেবে পরিচিত পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমেছে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ও গরিবের জ্বালানি হিসেবে পরিচিত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছে ৪ শতাংশের মতো। দেশের কৃষিতে সেচকাজে এবং পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয় ডিজেল। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহার হয় অকটেন ও পেট্রোল। ৭৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এলেও বাকি ২৭ শতাংশ মানুষের ঘর আলোকিত করার জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন ব্যবহার হয়। এছাড়া কেরোসিনের সামান্য কিছু অংশ ব্যবহার হয় হোটেল-রেস্টুরেন্টে। এদিকে ৪৪টি জেলায় প্রতিদিন ৩৩৯টি ট্রেনে কম দামে ডিজেল মিললেও ভাড়া না কমিয়ে রেলওয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) চাপে ট্রেনে প্রতিবছর ভাড়া আরো বাড়ানোর স্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছে। তথ্যানুসারে, শুধু কমলাপুর রেলস্টেশন থেকেই বিভিন্ন ট্রেনে দিনে গড়ে ৬০ হাজার লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন ট্রেনে চলাচল করে দুই থেকে আড়াই লাখ যাত্রী। গত ২০ বছরে দেশে ১৪ দফায় বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৪৫৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে নৌপরিবহনের জ্বালানি- ডিজেলের দাম কমলেও যাত্রী ও মাল ভাড়া কমানোর কোনো লণ নেই। সারাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ ডিজেলচালিত সেচপাম্প রয়েছে। ১ কোটি ৭০ লাখ কৃষক এসব পাম্পের মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সেচের পানি কিনে থাকেন। সেচপাম্পের মালিক কৃষক নন। তাকে সেচপাম্পের মালিকের কাছ থেকে উচ্চ দামে পানি কিনতে হয়। ১৫ লাখ সেচপাম্পে প্রয়োজন হয় বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল। কিন্ত পাম্প মালিকরা তাদের পানির দাম কমাচ্ছেন না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, নিজে প্রস্তাব করে নিজেই জ্বালানির দাম কমিয়েছে সরকার। এখানে অনেক কমানোর সুযোগ থাকলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। ডিজেলের দাম লিটারে ৩ টাকা কমানো হলেও ধনীরা ব্যবহার করে এমন পরিবহনের জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেনে কমানো হয়েছে তিন গুণের বেশি, অর্থাৎ ১০ টাকা। এটা জনবান্ধব নয়, বরং ধনীবান্ধব সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, সরকার নিজেকে গরিববান্ধব দাবি করলেও বাস্তবে তাকে আরো ধনীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তার মতে, কোনো খাতেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। কৃষিপণ্য বিক্রিতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এর বড় কারণ মধ্যস্বত্বভোগীদের রাজনৈতিক-অর্থনীতির দাপট। এ অবস্থায় ডিজেলের দাম কমানোর পর সেচকাজে ব্যয় কমানো, পরিবহনের ভাড়া কমিয়ে পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমানোর কোনো চেষ্টা নেই। তার মতে, সুফল নিশ্চিত করতে নীতিমালা থাকতে হয়। লিটারে তিন টাকা দাম কমায় বিপিসি ডিজেল বিক্রি করে আগের চেয়ে বছরে হাজার কোটি টাকা কম লাভ করবে বলে জানিয়েছে। এর প্রতিফল হিসেবে যদি গণপরিবহনে ভাড়া না কমে এবং সেচের পাম্প মালিকরা কম টাকায় কৃষককে সেচ দেয়ার সুযোগ না দেয় তাহলে এই এক হাজার কোটি টাকার পুরোটাই যাবে ব্যবসায়ী মালিকদের পকেটে। ওদিকে বিদ্যুৎ সুবিধা না পাওয়ায় এবং তেলের দাম বেশি পড়ায় সারাদেশে ৪০ লাখের বেশি পরিবারে ক্ষুদ্রঋণে আবাসিক সৌরবিদ্যুতের প্যানেল স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি দরিদ্র মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। যার ব্যয় সাধারণ বিদ্যুতের অন্তত ৫ গুণ বেশি। বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার বাড়িতে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। যা দেশের জনগণের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি করছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।