সংবাদ শিরোনামঃ

ভোট ডাকাতির আশঙ্কা ** বাংলা সাহিত্য বিশ্বে ছড়িয়ে দিন ** দেশের রাজনীতি এখন ছাই চাপা তুষের আগুন ** বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত ** হারলেন ট্রাম্প, টিকলেন হিলারি ** মধ্যবর্তী নির্বাচনের চাপ ** বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন খালেদা জিয়া ** অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত জাতীয় পার্টি ** মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আজও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ** শিশু নির্যাতন ও অপহরণ বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ** নিশ্চিত অনিশ্চয়তার মুখে দেশ ** নাজাত লাভের উপায় ** যেভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ** নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাস করছে ** করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হুমকিতে তীরবর্তী স্থাপনা **

ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪২২, ২৫ রবিউস সানি ১৪৩৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

॥ জামশেদ মেহেদী॥
বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। নাম জাতীয় পার্টি। না, ভুল বলা হলো। জাতীয় পার্টি একটি নয়। এটি আসলে ত্রিভঙ্গ মুরারি।  তিন বছর আগেও বুদ্ধিজীবীরা এটিকে ত্রিভঙ্গ মুরারি বলতেন। এখন আর ত্রিভঙ্গ নয়, এখন হয়েছে পঞ্চ ভঙ্গ মুরারি। প্রথম ভাগে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই গ্রুপে আরো রয়েছেন তার আপন ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। তার জেনারেল সেক্রেটারি হলেন রুহুল আমীন হাওলাদার। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জেনারেল এরশাদ যখন দেশের প্রেসিডেন্ট তখন তিনি জাতীয় পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমতা একটি মধু। মধু থাকলে মধু মক্ষীকার অভাব হয় না। ক্ষমতা শুধু মধু নয়। এটি রীতিমত মৌচাক। ক্ষমতার গন্ধে এবং মিষ্টতায় মৌমাছিরা ঝাঁক ধরে আসে। তেমনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতেও অনেকেই এসেছিলেন। ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন এরশাদ। একে বারে কম সময় নয়। সুতরাং ৯ বছরে কত লোকই না জাতীয় পার্টি নামক মৌচাকে এসেছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি : এদেরই মধ্যে একজন ছিলেন শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নাজিউর রহমান মঞ্জু। এরশাদ তাকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রও বানিয়েছিলেন। সেই নাজিউর রহমান একদিন এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে চলে যান এবং তার নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে আরেকটি জাতীয় পার্টি খোলেন। (এটি হয় ২ নম্বর জাতীয় পার্টি)। নাজিউর রহমান মঞ্জু এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তার পুত্র ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পিতার জাতীয় পার্টির পতাকা এখনো উড্ডীন রেখেছেন। তবে নামটি কিঞ্চিত বদলে করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

আরেক মঞ্জুর জাতীয় পার্টি : আমার স্মৃতি শক্তি যদি আমাকে বিট্রে না করে তাহলে বলতে পারি যে, এক সময় এরশাদের জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন ‘দৈনিক ইত্তেফাকের’ মালিক ও সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যায় তখন জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হাসিনার ক্যাবিনেটে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু জেনারেল এরশাদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর এ সিদ্ধন্তের বিরোধিতা করেন। মন্ত্রী হওয়ার উদগ্র বাসনায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পার্টি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবে হাসিনা মন্ত্রী সভায় যোগ দেন। তিনি তার সাপোর্টারদের নিয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং নিজের নামে আরেকটি জাতীয় পার্টি গঠন করেন। (এটি হয় ৩ নম্বর জাতীয় পার্টি)। এই দলটির নাম হয় জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)। ১৯৭২ সালের জুন মাসে ‘মুজিববাদ’কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দ্বিধা বিভক্ত হয়। এক অংশের নাম হয় মুজিববাদী ছাত্রলীগ। অপর অংশের নাম হয় জাসদপন্থী বা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী ছাত্রলীগ। মুজিববাদী ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় শেখ মুজিবের ভাগিনা শেখ শহীদুল ইসলামকে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে যখন জাতীয় পার্টি বানিয়ে ফেলেন তখন তার মালিকানাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বানান সাবেক মুজিববাদী শেখ শহিদুল ইসলামকে।

জাতীয় পার্টি (জাফর) : হরেক কিছিমের আদমি নিয়ে এরশাদ বানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টি। দলটির আদর্শ কি ছিল কেউ জানে না। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং ঈশাণ, বায়ু , অগ্নি, নৈঋত,এবং ঊর্ধ্ব অধ সহ দশ দিগন্ত থেকে আজমিরী ডেকচির মতো তার দলে সপ্ত ব্যাঞ্জনের সমাহার হয়। তার প্রেসিডেন্সির সময় প্রধান মন্ত্রী ছিলেন কাজী জাফর আহম্মেদ। তিনি ছাত্র জীবনে ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। তারপর শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। এক সময় তিনি ছিলেন ভেটার্ন বামপন্থী। টঙ্গীর একচ্ছত্র শ্রমিক নেতা বলতে বোঝাতো কাজী জাফর আহম্মেদ কে। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধী ছিলেন বলে সকলেই জানেন। আর ইন্ডিয়ার পরোক্ষ মদদ নিয়ে এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন বলে পাবলিকের মধ্যে রয়েছে জেনারেল পার্সেপশন। এক সময় কাজী জাফর আহম্মদ মাওলানা ভাসানীর দক্ষিণ হস্ত হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সেই কাজী জাফর আহম্মদের সাথেও এরশাদের বিরোধ হয় এবং জীবন সায়াহ্নে এসে কাজী জাফর এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে এসে নতুন জাতীয় পার্টি গঠন করেন। এটির নাম হয় জাতীয় পার্টি (জাফর)। (এটি হয় ৪ নম্বর জাতীয় পার্টি)।

জাতীয় পার্টি (রওশন)! : একটি কিম্ভুতকিমাকার দল এই জাতীয় পার্টি। এক সময় এটি পরিচিত ছিল মিয়া বিবির দল হিসাবে। কারণ এরশাদ তার পতœà§€ বেগম রওশন এরশাদকে এ দলটির সংসদীয় অংশের নেতা বানান। তখনও রাজনৈতিকভাবে স্বামী স্ত্রী একসাথেই ছিলেন। কিন্তু এইবার স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনে দুই মেরুর অভিসারী হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত ভোটারবিহীন ইলেকশনের সময় শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টিকে ৪০টি আসন প্রদান করেন। ৪০টি আসন দিয়ে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল বানান এবং বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেত্রী বানান। রওশনের জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলে কি হবে, তারা গাছের টাও খাচ্ছে, আবার তলার টাও কুড়াচ্ছে। নামে তারা বিরোধী দল, কিন্তু শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় তাদের ৩ জন মন্ত্রী রয়েছে। এরা হলেন কর্মসংস্থান ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এখন জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে বিরোধ। সরকারে যোগ দেওয়ার পর রওশন এরশাদসহ ৩ জন মন্ত্রী এবং কয়েকজন এমপি আর এরশাদের নেতৃত্ব মানতে চাচ্ছেন না। তাই এরশাদ কো-চেয়ারম্যান হিসাবে তার স্ত্রী রওশনের পরিবর্তে নিয়োগ দিয়েছেন তারা আপন ছোট ভাই জিএম কাদেরকে। আর জিয়া উদ্দিন বাবলুকে মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে মহাসচিব বানিয়েছেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে। বাবলু ছিলেন রওশনের লোক। নিজের কো-চেয়ারম্যানের পদ এবং বাবলুর মহা সচিবের পদ হারানোর ফলে রওশন এরশাদ বিদ্রোহী হন এবং নিজস্ব জাতীয় পার্টি খুলে বসেন। এখন জাতীয় পার্টি আবার ভাগ হলো। এবারের উপদলটির নেত্রী হলেন রওশন এরশাদ। (এটি হচ্ছে ৫ নম্বর জাতীয় পার্টি)।

জাতীয় পার্টির শক্তি ও সমর্থন : উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটি প্রবাদ আছে। সেটি হলো, ‘বাঁশ দিয়ে ঠেলে ওপরে তোলা’। অর্থাৎ কোনো বেঁটে মানুষকে সকলের মাঝে ফোকাস করতে গেলে তাকে সব মানুষের কাঁধের ওপরে আনতে হয়। সেটি কিভাবে সম্ভব? সেটি একমাত্র সম্ভব তাকে বাঁশের ওপর বসিয়ে বাঁশটি ওপর দিকে তুলে ধরা। তাহলে বাঁশের আগায় তাকে দেখা যাবে। আওয়ামী সরকার এই কাজটি করছে জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে। তার বোঝাতে চাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারি দল আর জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। অর্থাৎ জাতীয় পার্টি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে গেলে জনগণের মধ্যে তো সেই রকম সমর্থন থাকতে হবে। তো জাতীয় পার্টির জনসমর্থনের নমুনা দেখুন। কয়েক দিন আগে দেশে ২৩৬টি পৌরসভা নির্বাচন হয়ে গেল। এবারের নির্বাচন হয়েছে দলীয় প্রতীকে। জাতীয় পার্টি যথারীতি তাদের দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে প্রতিযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগ প্রাণপণ চেষ্টা করেছে জাতীয় পার্টিকে বেশ কিছু আসনে জিতিয়ে আনতে। এ জন্য তারা বিএনপির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ করে এবং জাতীয় পার্টির পেছনে সরকারি মদদ জোগায়। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেল, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে সেটি হয়েছে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। ২৩৬ চেয়ারম্যান পদের মধ্যে জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১টি চেয়ারম্যানের পদ।     

জাতীয় পার্টির বাঙ্গী ফেটেছে : সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির বাঙ্গী ফাটা অবস্থা। জনপ্রিয়তার বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। এখন আর তারা কোন মুখে বলে যে তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল? এরশাদ বহুরুপী মানুষ। ভেল্কিবাজী বা ডিগ বাজীতে তার জুড়ী নাই। এখন তিনি বলছেন যে, জাতীয় পার্টি যে একটি বিরোধী দল, এটি জনগণ বিশ^াস করেনা। আসলে জাতীয় পার্টি একটি মৎস্য কন্যা। তার  কোমর থেকে ওপরের অংশ একটি স্ত্রী লোকের। আর কোমর থেকে নীচের অংশ একটি মাছের। প্রশ্ন হচ্ছে এটি না মাছ, না এটি মানব। তাই এটি হলো মৎস্য কন্যা। সম্ভবত নিজের দলের এই রূপটি এরশাদ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। তাই তিনি নিজেই এখন বলছেন যে, জাতীয় পার্টির অবস্থা হলো, ‘না ঘরকা, না ঘাটকা’। অর্থাৎ ঘরেরও নয় ঘাটেরও নয়। বিগত পৌর নির্বাচনের করুণ ফলাফল দেখে এরশাদ মন্তব্য করেছেন যে, জাতীয় পার্টিকে মানুষ কেন ভোট দেবে? মানুষ ভোট দেবে হয় সরকারি দলকে, না হয় বিরোধী দলকে। জাতীয় পার্টি এখন সরকারি দলেও নেই, বিরোধী দলেও নেই। সে জন্যই তারা ২৩৬টি চেয়ারম্যানের পদের মধ্যে ১টি মাত্র পদ পেয়েছে। আসলে জাতীয় পার্টি এখন রয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। এখন দলটি না স্বর্গে, না মর্ত্য।ে তারা স্বর্গ মর্ত্যরে মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

জাতীয় পার্টি একটি ক্যারিকেচার

জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞাতেই পড়ে না। জাতীয় পার্টি মানেই এক ব্যক্তি। তিনি হলেন এরশাদ। এরশাদের 

ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সরদার।

ইস্কুল নাই, ছাত্র নাই, সফর আলী মাস্টার।

তার অবস্থা অনেকটা সেই রকম জেনারেলের মতো, যিনি নিজে একজন জেনারেল। কিন্তু তার কোনো অধঃস্তন অফিসার নাই, না আছে কোনো সৈন্য, না আছে কোনো হাতিয়ার, না আছে কোনো গোলাবারুদ।

আদর্শের দিক দিয়ে তার দল ‘নন ঠনাঠন ঠন’। আদর্শ বলে কোনো বস্তু নাই। যারাই যখন সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের ক্ষমতার কিছুটা উচ্ছিষ্ট পেলেই তারা খুশি। তাই ওরা ৩ জন যখন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন তখন আর সেই মন্ত্রিত্ব ছোড়েঙ্গা নাহি। গাছের মগ ডালে উঠেছি, আর নামবো না। এরশাদ তুমি তো আমাকে মন্ত্রী বানাও নি, রওশনও বানায়নি। আমাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছেন হাসিনা। তাই তোমাদের কথা শুনবো কেন? তোমরা কোন্ তালেবর?

জাতীয় পার্টির এখন যা অবস্থা সেটি দেখে মানুষ বলে, এটি একটি রাজনৈতিক দল নয়। এটি সার্কাস দলের ক্যারিকেচার। তারা হলো ভাঁড়। তাদের কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। তাদের দেখে এবং তাদের কাণ্ড কীর্তি শুনে মানুষ মুখ টিপে হাসে।

jamshedmehdi15@gmail.com

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।