সংবাদ শিরোনামঃ

গাজায় ইসরাইলি হামলা : বিপন্ন মানবতা ** ঈদের পর আন্দোলন ** ঈদবাজারের সিংহভাগই বিদেশী পণ্যের দখলে ** দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে হলে রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ** রাজনীতিতে বদ্ধ ও গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে ** ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ** এ যেন সেই ‘ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’র মতো ব্যাপার-স্যাপার! ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল ** ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ** ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য ** সেকালের ঈদ **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪২১, ২৬ রমজান ১৪৩৫, ২৫ জুলাই ২০১৪

রাজনীতিতে বদ্ধ ও গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে

॥ কামরুল হাসান॥
যদি একটি মানুষকে শোয়ার জন্য স্বর্ণের পালঙ্ক, খাবার হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো-ভালো খাদ্য এবং জীবন উপভোগ করার জন্য যা কিছু দরকার সব তাকে দেয়া হল। কিন্তু শর্ত একটাই বদ্ধ ঘরের ভেতর থাকতে হবে। কোনো মানুষই এই শর্তে রাজি হবে না। কারণ মানুষ খোলা-মেলা পরিবেশ বেশি পছন্দ করে। বদ্ধ ঘরের চেয়ে জাহান্নামের আগুন অনেকাংশে ভালো। ঠিক তেমনি বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বদ্ধ ও গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে।

সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি গত মঙ্গলবার রাতে এসএ টেলিভিশনের ‘লেট এডিশন’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

গোলাম মওলা রনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে- বাংলাদেশের কোনো মানুষের মনে শান্তি নেই। চারিদিকে শুধু হাহাকার ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। রাজনীতিতে যে চরমাবস্থা চলছে তাতে কোনো মানুষই সোনালী দিনের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছে না। সাধারণ দুই যোগ দুই সমান চার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে- দুই যোগ দুই সমান কত হবে তার হিসাব সাধারণ জনগণ খুঁজে পাচ্ছে না।

ওনি আরো বলেন, এই অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনীতি চলতে থাকলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দেশে বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাসের লক্ষণ স্পষ্টত। আমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে এমন এক অবস্থানের দিকে এগুচ্ছি যে যখন-তখন দেশে ভয়াবহ কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে এভাবে গুমোট আবহাওয়া চলতে থাকলে বিস্ফোরণ বাধ্যতামূলক যা সমাজ ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পারে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বিএনপি আন্দোলনে নামছে এবং এই আন্দোলন জনগণের সমর্থনে পালিত হবে। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বর্তমান সরকার অনেক বেশি শঙ্কিত এবং নানান মন্তব্যে ব্যস্ত। বিএনপি কীভাবে কমিটি গঠন করছে বা কাকে কমিটিতে রাখছে তাই নিয়ে সরকারের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। মনে হয় সরকার বিএনপির এহেন কর্মকাণ্ডে বেশি চিন্তিত। সরকারের এই আচরণ দেখে মনে à¦¹à¦šà§à¦›à§‡Ñ à¦®à¦¾à§Ÿà§‡à¦° চেয়ে মাসির দরদ অনেক বেশি।

আলাল আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বর্তমান সরকার এত বেশি চিন্তিত যে মায়ের চেয়ে মাসির দরদের কান্নার মাত্রা অধিক তীব্র। আর এই রকম পরিস্থিতি তখনই হয় যখন প্রতিপক্ষের শক্তি সম্পর্কে আশঙ্কিত হয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বেশি চিন্তিত। না জানি কী হয় কিছুটা এমন ভাব বর্তমানে আওয়ামী লীগের। তাই সরকার বিএনপির সংগঠন এবং আন্দোলন নিয়ে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি প্রদর্শন করছে।

মানুষকে জাগ্রত করে আন্দোলন করলে সফলতার মুখ দেখতে বাধ্য : বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে কি না জানি না। তবে আমরা স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব গণ-আন্দোলনে দেখেছি, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেই মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মানুষকে জাগ্রত করে আন্দোলন করলে সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে বাধ্য। বিএনপি এর আগেও আন্দোলন করেছে। তবে জনমানুষকে সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। এবার ঈদের পর যে আন্দোলনের কথা বলছে, তা যেন লোক দেখানো না হয়। ঈদের পর বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এমন কথা বলেন। গত শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতারা রাজপথে নামেন না। তাই কর্মীরাও আন্দোলনে সাহস পায় না। সামনের আন্দোলনে যদি বিএনপির নেতারা মাঠে নামেন তবে বিএনপি আন্দোলনে টিকে থাকতে পারবে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, এখন রাজনৈতিক মাঠে বিএনপির ঈদের পর আন্দোলন নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা তো আগেও অনেক আন্দোলন দেখেছি। বিএনপির এ আন্দোলন নিয়ে জনমনে অনেক আশঙ্কাও বিরাজ করছে। আসলে কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

জবাবে গোলাম মোর্তজা বলেন, আন্দোলন করতে গেলে দরকার সাংগঠনিক ভিত্তি। কোনো রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে তাদের দিয়ে আন্দোলন আশা করা কঠিন। আমাদের দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে; কিন্তু তারা নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে না। অতীতে আমরা অনেক আন্দোলন দেখেছি। আসলে বিরোধী দল যদি সেভাবে আন্দোলন করতে পারে, তবে সরকার সেটা আমলে নিতে বাধ্য। তবে এটাও ঠিক যে দেশের মানুষ এখন আন্দোলনের নামে সহিংসতাকেও আর বরদাশত করবে না। আন্দোলন হতে হবে জনগণের জন্য। কিন্তু বিএনপি গত পাঁচ বছরে জনগণের জন্য কোনো ইস্যুতে আন্দোলন করতে পারেনি। শুধু মতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনে জনগণ কতটা শরিক হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ঘোষণার জবাবে সরকারি দলের প থেকেও বলা হচ্ছে যে সরকারি দলও এবার রাজপথে সক্রিয় থাকবে। এ নিয়ে রাজনীতিতে কি আরো কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হলো না?

জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার যে ভাষায় কথা বলে তাতে তো সরকার যে একটি গণতান্ত্রিক সরকার তা বলা যাবে না। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা কে কখন কী কথা বলবেন, তা তাঁরা নিজেরাই ভালো জানেন। তবে এটুকু বলতে পারি, সবারই কথাবার্তায় সহনশীল হওয়া উচিত। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কথা বলা উচিত নয়।

সঞ্চালক জানতে চান, বিএনপি তো তাদের ঢাকা মহানগরীর কমিটি নতুনভাবে করার ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিএনপি আন্দোলনে যেতে পারবে কি? জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের পর বিএনপিতে চাঙ্গাভাব পরিলতি হচ্ছে। দেখা যাক, বিএনপি এ পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের দলকে কতটা সাংগঠনিকভাবে মজবুত করে তুলতে পারে। তবে বিএনপি শুধু নয়, সব রাজনৈতিক দল আগে জনগণের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে পারলেই জনসমর্থন তাদের পে আসবে।

শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন :বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রের কথা বলে বাকশাল কায়েম করেছেন। এই বাকশালের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে নিজ হাতে কবরস্থ করেছেন। ৪টি সংবাদপত্র বাদে বাকি সকল সংবাদপত্র তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন।

গত শনিবার রাতে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের উপস্থাপনায় আরটিভি’র ‘আওয়ার ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘ঈদ পরবর্তী রাজনীতি’। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান।

আওয়ামী লীগের নেতা এইচ এন আশিকুর রহমান জিয়াউর রহমানকে মীর জাফর à¦¬à¦²à§‡à¦¨Ñ à¦ প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, শেখ মুজিব কর্তৃক বীর উত্তম উপাধী পায়। যে বীর উত্তম মুজিব পরিবারে কেউ নেই। মুজিব যাকে সম্মান করেছেন তার দলের কর্মীরা তাকে মীর জাফর বলেন, এটি বাস্তবতা। দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল তা শেখ মুজিব ব্যান করে দিয়েছিল, তিনি মীরজাফর নন। সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল, তিনি মীরজাফর নন। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, তিনি মীরজাফর নন। রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, তিনি মীরজাফর নন। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত করেছেন, তিনি মীর জাফর নন। আর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সমস্ত অধিকার, পত্রপত্রিকা, রাজনৈতিক অধিকার ফেরত দিয়েছেন, সভাসমাবেশ করার অধিকার দিয়েছেন, তিনি মীরজাফর। তিনিই আ’লীগকে পূর্ণবার রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আ’লীগের সঙ্গে বিএনপির এতেই পার্থক্য।

তিনি বলেন, ৯০ সালের পর থেকে এদেশে ভোট দেয়ার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। এই ভোটের অধিকার শেখ মুজিব কেড়ে নিয়েছিল, শেখ হাসিনাও কেড়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে গণতান্ত্রিক আর সরকারে থাকলে ফ্যাসিস্ট। আ.লীগ জন্মের পর থেকে যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র ও বিএনপির গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আ.লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা ও কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এ দু’জন লোক ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবাই à¦¬à¦²à¦¬à§‡Ñ à§« জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এর প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়েছেন। তিনি দখলদার প্রধানমন্ত্রী। তার অধীনে নির্বাচন অসম্ভব।

র‌্যাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। র‌্যাবকে সেই রক্ষীবাহিনীর সমতুল্য বানানো হচ্ছে। এজন্যই র‌্যাবের বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠেছে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি আন্দোলন প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আ.লীগের মতো সন্ত্রাসী পোষা  দল না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ে : গত রোববার রাতে বাংলাভিশন টেলিভিশনে ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কোনো দিন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। আমাদের দেশে যতগুলো নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে কোনোটিতেই বিরোধী দল জয় লাভ করেনি। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে বিরোধী দল জয়লাভ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে মেয়াদ সম্পূর্ণ করা যায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে সরকার মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছে।

আসিফ নজরুল আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যত মানুষ রক্ত দিয়েছে এর চেয়ে দশভাগের একভাগও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রক্ত দেয়নি। ’১৩ সালের শেষ ৬ মাসে ২’শ থেকে ৩’শ মানুষ মারা গেছে। আর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৯ বছরেও ২’শ লোক মারা যায়নি। তিনি বলেন, ’১৩ সালে বিএনপি দু’টি জনসভা করেছে। সেখানে ৫ থেকে ১০ লক্ষ লোক হয়েছে। বিএনপিকে যদি সভা করার অনুমতি দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয় সেই সভায় কতলোক আনতে পারে। বিএনপি সেই জনসভায় ১০ থেকে ২০ লক্ষ লোক নিয়ে আসতে পারবে।

সাকিব সম্পর্কে  ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, এদেশের ৪২ বছরের ইতিহাসে কোনো মানুষ বিশ্বের বুকে ১ নম্বর র‌্যাংকিং অর্জন করতে পারেনি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসও ১ নম্বর র‌্যাকিংয়ে নেই। অথচ আমাদের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বিশ্বের বুকে ১ নম্বর র‌্যাংকিংয়ের মর্যাদা অর্জন করেছে। ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে সে যখন খেলে তখন আমরা আনন্দিত হই। ড. আসিফ নজরুল বলেন, সাকিব অন্যায় করেছে এর জন্য শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু সেই শাস্তি মাত্রাতিরিক্ত হলে হবে না। তবে, তার আচরণে কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু পাপন বিসিবি’র দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ক্রিকেটের মানে ধস নেমেছে।

বঙ্গবন্ধুর বংশধর সাদা চামড়ার উপর নির্ভরশীল :বঙ্গবন্ধুর সমস্ত পরিবার সাদা চামড়ার প্রতি আসক্ত এবং তারা সবাই বিদেশে থাকেন। উনার সমস্ত বংশধর সাদা চামড়ার উপর নির্ভরশীল এবং পুরো বংশই হল খ্রিস্টান, ইহুদির বংশধর। বাংলাদেশে বাসিন্দা হয়ে যদি ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দুকে বিবাহ করা যায় তবে রোহিঙ্গাদের বিবাহ করা যাবে না কেন? রাজার জন্য এক আইন আর প্রজার জন্য অন্য। বাংলাদেশে এটা কেমন আইন?

গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. ইসরাফিল আলম এমপি।

ড. তুহিন মালিক বলেন, ২৬ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দ্বিতীয় দিন এক সমাবেশে একশ লোকও আসেনি। ঐ সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয় ঐ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না কম লোক হওয়ার কারণে। যে ব্যক্তি একশ লোক উপস্থিত করতে পারেন না অথচ যারা ‘জিন্দাবাদ’ শব্দ উচ্চারণ করে তাদের তিনি পাকিস্তান পাঠানোর কথা বলেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন স্বৈরাচারী শাসক : গত ১৭ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট জয়নুল আবেদীন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে বলেছেন,  বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং গণতন্ত্রের সর্বাধিক শক্তির অধিকারী হলো জনগণ। বাংলাদেশের সংসদ এবং সংবিধান কি আদৌ সার্বভৌম, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। দশম জাতীয় সংসদ একব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলনের সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন স্বৈরাচারী শাসক।

মানজুর আল মতিন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কখনই জনগণের সমর্থন পায়নি। দশম জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত নয় কারণ এই সংসদের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য বিনা জনসমর্থনহীনভাবে সংসদ সদস্য হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানের সংসদ এবং সংবিধানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা এখন এক ব্যক্তির ইশারায় চলছে।

রাজনীতি গডফাদার, ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে : গত শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন দেশটিভি’র ‘সোজাকথা’ অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সিরাজ বলেছেন, রাজনীতি ব্যবসায়ী, কালো টাকার মালিক, গডফাদার যারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের হাতে চলে গেছে । তিনি আরো বলেন, এদের হাত থেকে রাজনীতি রক্ষা করতে না পারলে সঙ্কট নিরসন হবে না।

কাজী সিরাজ বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবেই হোক ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে। নির্বাচনের আগে তারা à¦¬à¦²à§‡à¦›à§‡à¦¨Ñ à¦¸à¦‚à¦¬à¦¿à¦§à¦¾à¦¨ রক্ষার নির্বাচন। এখন ক্ষমতায় আসার পর ৫ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন দেবে না।

তিনি বলেন, ১৫৩ জন জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তবে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিমত যে আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই।

সিরাজ বলেন, ঈদের পর বিএনপি কিছু করতে পারে। কারণ এ দলটি ইতোমধ্যে অনেকগুলো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনের যে দক্ষতা ও সক্ষমতা থাকা দরকার তা বিএনপির মধ্যে ছিল না বলেই এই ব্যর্থতা।

তিনি আরো বলেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। কোনো নেতার মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল না।

আবর্জনার আখড়া ঢাকা শহর :পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম শহর এবং বাংলাদেশের মেগা সিটির নাম হল ঢাকা। অথচ এই শহর ময়লা- আবর্জনায় ভরপুর। এখানকার রাস্তা-ঘাট এবং ফুটপাত অপরিকল্পিত। ট্রাফিক জ্যাম এই শহরের নিত্যদিনের সঙ্গি।

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে গত ২১ জুলাই একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

শ্যামল দত্ত বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে শুধুমাত্র একটি রাস্তাই ভালো আর তা হলো ভিআইপি রোড। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। বাকি ঢাকা শহরের চিত্র একেবারেই অন্যরকম।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের এমন দুর্গতির জন্য প্রধান হলো প্রশাসন ব্যবস্থা। এই শহরের প্রশাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল তবে নেই চললেই ভালো হয়। কারণ এই শহরে নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই। যার দরুণ এই শহরের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেয়ার মতো কেউ নেই। অন্যদিকে যে ভাঙাচুড়া প্রশাসন আছে তার কাজের জবাবদিহিতা করার মতো কেউ নেই। তাই যারা প্রশাসনিক কাজে আছে তারা একটি কাজ নিয়ে দীর্ঘসময় পার করে দিচ্ছে অনায়াসে। বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা শহরে কোনো প্রশাসক নেই, নেই কোনো ম্যানেজম্যান্ট।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।