ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে রাস্তার বেহাল দশা

ফেনী সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাস অংশের ২৫ কিলোমিটার সড়কে একাধিক স্পটে বৃষ্টির পানি জমে বিশাল বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্তের ফলে প্রতিদিনই মহাসড়কে স্বাভাবিক গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গর্ত ভরাট করতে ও সড়কে ফোরলেন প্রকল্পের কাজ চলায় ফেনী অংশে তীব্র যানজট তৈরি হয়ে তা ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার স্থায়ীভাবে লেগে থাকে । যার কারণে প্রতিনিয়িত অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কের যাত্রীদের।

ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়ক ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দুই থেকে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্প চুক্তি মোতাবেক তা শেষ করার কথা ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি এ পর্যন্ত মাত্র ৩৫ শতাংশ।

এ অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো সময় বাড়ানোর আবেদন করে তা মঞ্জুর করিয়ে নেয়। এখন তারা আরো বাড়তি দাবি করছে ৫১১ কোটি টাকা। অথচ কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে। ফলে বর্ষায় সড়ক জুড়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ।

মহাসড়কের ধুমঘাট, মুহুরী গঞ্জ, লেমুয়া, লালপোল, রামপুর রাস্তার মাথা, মহিপাল, ফতেহপুর অংশে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মহিপাল অংশে সৃষ্ট গর্তে পাথর ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেয়া হয়েছে। লেমুয়া ব্রিজ এলাকার সড়কে ব্লেক টপের কাজ করা হচ্ছে।

এ অংশে সড়ক সরু হওয়ায় ওয়ান ওয়ে রোডের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল করছে। একই সাথে ফোরলেন প্রকল্পের কাজ চলায় সড়কের দু’পাশে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট লেগেই থাকছে। মহাসড়কের ফেনী অংশ পার হতে যেখানে ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লাগতো সেখানে এখন তিন থেকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। বেশির ভাগ সময় গর্তের মধ্যে গাড়ি আটকে গাড়ির যত্রাংশ নষ্ট হয়ে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়ছে যাত্রীরা।

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের ফোরলেন প্রকল্পের পরিচালক জয় প্রকাশ জানায়, আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে এ সড়কের গর্তের মেরামত শেষ হবে।

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মদ পাঠান বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া গর্তসমূহ যদি শীঘ্রই মেরামত করা যায় তাহলে এ সড়কে যানজট অনেকটা কমে যাবে। ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি যাতায়তের জন্য সড়কের মেরামত কাজ শেষ করে যাত্রী দুর্ভোগ লাগভ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই আশা করছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালকসহ সকলে।