সংবাদ শিরোনামঃ

বাকশালের পদধ্বনি ** গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক ** গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা : কার্যকর পদক্ষেপ নেই বিশ্বসম্প্রদায়ের ** গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাংবাদিকদের সংগ্রাম চলবেই ** সর্বনাশা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে ** সংসদ এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলবে ** গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্বকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে ** ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’ শেখানোর হাস্যকর চেষ্টা ** আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোজা ও স্বাস্থ্য ** কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা ** গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি নিষ্ঠুরতা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে ** ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খানাখন্দ ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের আশঙ্কা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪২১, ১৯ রমজান ১৪৩৫, ১৮ জুলাই ২০১৪

সংসদ এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলবে

॥ কামরুল হাসান॥
সাম্প্রতিককালে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা যে বক্তব্য দেন তার প্রথমাংশ পিতৃবন্দনা, দ্বিতীয়াংশ নেতৃবন্দনা, তারপর বিরোধী নেত্রীর সমালোচনা এবং সর্বশেষের তিনলাইন à¦¹à¦²à§‹Ñ à¦®à¦¾à¦¨à¦¨à§€à§Ÿ স্পিকার অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমার এলাকায় একটা পোল এবং একটা স্কুল হোক। এই হল বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেটের আলোচনা।

সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ গত মঙ্গলবার রাতে চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

মাহফুজউল্লাহ বলেন, ৫ জানুয়ারির পর দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা তাদের ইচ্ছা মতো বক্তব্য পেশ করেন। বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের সামাজিক মর্যাদা খুব উঁচুমানের নয় এবং এটা অনস্বীকার্য। জাতির কাছে এটা একটা বড় গ্লানি। সংসদ হলো জাতির গৃহ এবং এই গৃহে যদি সংসদ সদস্যরা বাজেটের আলোচনায় পিতা ও নেত্রীর বন্দনায় মুখরিত রাখেন তবে দেশ কীভাবে চলবে? বাংলাদেশের সংসদ যদি এ রকমই চলতে থাকে তবে অচিরেই সাধারণ মানুষ সংসদের কার্যক্রমের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

বড়াই করার মতো কৃতিত্ব আ’লীগের নেই : গত সোমবার রাতে বাংলাভিশন টেলিভিশনে ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন হত্যা করা হয়, তখন আওয়ামী লীগ আন্দোলন করতে পারেনি। ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, তখনও দলটি আন্দোলনে ব্যর্থ। সেদিক থেকে ধরতে গেলে আওয়ামী লীগ আন্দোলনে ব্যর্থই। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঈদের পর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন à¦•à¦°à¦¬à§‡Ñ à¦¸à§‡à¦Ÿà¦¿à¦‡ তার জন্য সঙ্গত। তবে, এই আন্দোলন যদি আবারও ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণের কাছ থেকে বিএনপি দূরে সরে যাবে। পার্লামেন্টের দল হিসেবে তারা বিরোধী দলে না থাকলেও মাঠে প্রকৃতপক্ষে তারাই বিরোধী দল।

আওয়ামী লীগ আন্দোলনের হেডমাস্টার। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে মান্না বলেন, এই ধরনের বড়াই করার মতো কৃতিত্ব আ.লীগের নেই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের প্রাচীন দল, স্বাধীনতা নেতৃত্বের দাবিদার এই দলÑতা ঠিক রয়েছে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমাদের রাজনীতির মধ্যে কোনো পরিভাষা নেই। বিএনপি দলকে চাঙ্গা রাখার জন্য আলোচনা ও  আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করবে সেটিই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলনের হেডমাস্টার। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ ধরনের বক্তব্য না দিলেই ভালো হত।

বাংলাদেশের সব সরকারই ব্যর্থ : ৪৩ বছর বয়সী বাংলাদেশে কোনো সরকারই জনগণের সীমিত চাহিদা পূরণ করতে পারেনি। যদিও বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং দেশের জনগণই এর আসল মালিক। এদেশের সাধারণ মানুষের চাহিদা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। এরা সরকারের কাছ থেকে বেশি কিছু চায় না, শুধু শান্তি মতো জীবন যাপন করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যেক সরকারই ব্যর্থ।

গত ১৪ জুলাই সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা জিটিভির সংবাদ সংলাপ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অঞ্জন রায়।

গোলাম মোর্তোজা বলেন, ১৯৯০ এর পর থেকে বাংলাদেশে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখন অবধি গণতন্ত্রের মূল কাঠামোতে পিছিয়ে রয়েছে রাষ্ট্র। শাসন, আইন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে সরকার তার ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি চায় এবং পণ্য কেনা-বেচার নিরাপত্তা আশা করে সরকারের কাছে। অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো সাধারণ জনগণ চায় নিরাপদ ভ্রমণ। আমাদের দেশের জনগণ শহরমুখী এবং ঈদ উপলক্ষ্যে সবাই গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবে বলে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে একমাত্র পরিবহন ব্যবস্থার উপর। সরকারের কাছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সামান্য চাহিদা ঈদে শান্তি মতো বাড়ি ফেরা।

এদেশে কোনো রাজনীতি সঠিক নয় : গত ১৪ জুলাই রাতে আরটিভির ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ অনুষ্ঠানে আওয়ামী সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি সঠিক নয়। আমার দলের কিছু কর্মী মাদকাসক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছে। পৃথিবীতে কিছুই পরম নয়, সবকিছুর মধ্যে কিছুটা হলেও ভুল রয়েছে।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গাজায় ইসরাইলের সামরিক বিমান হামলার চেয়ে আমাদের দেশে মাদকের পরিমাণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, দেশে রাজনৈতিক দলগুলো আদর্শ বিচ্যুতি হয়ে গেছে। আ.লীগের এলাকায় তাদের গ্রুপের কিছু কর্মী মাদকের সঙ্গে জড়িত। আবার বিএনপি এলাকায় তাদের গ্রুপের কিছু কর্মী মাদকের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এসব গ্রুপকে পালনের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। সেই অর্থের কিছু উৎস মাদকদ্রব্য থেকে আসে।

টকশোতে আরেক অতিথি বিএনপি মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ৩ হাজার ইয়াবা ও ফেনসিডিলের কারখানা রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদকদ্রব্য আসছে। কোনো মতেই এসব মাদকদ্রব্যের চালান বন্ধ করা যাচ্ছেনা।

দশম জাতীয় সংসদ অত্যন্ত নড়বড়ে : গত ১২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, বর্তমান দশম জাতীয় সংসদ অত্যন্ত নড়বড়ে। কারণ আসল বিরোধী দল বিএনপির কোনো উপস্থিতি ছিল না ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো প্রকার সমঝোতার আভাস এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। এটা আমাদের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য খুব একটা ভালো দিক নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল না থাকায় এই নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ খুব একটা পাকাপোক্ততা পায় না। রাজনীতিতে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের পরস্পর উপস্থিতি গণতন্ত্রের চাকা সচল রাখে। কিন্তু প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক এবং সমঝোতার যে আবহাওয়া থাকা উচিত তার ছিটে-ফোঁটার উপস্থিতি পাওয়া যায় না।

দুর্বল শক্তি নিয়েও সরকার পতন সম্ভব : যখন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষেপে যায় তখন দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। কাজেই অতীতে হয়নি দেখে ভবিষ্যতেও বিএনপি পারবে না সেটি আমি বিশ্বাস করি না। আন্দোলনে বিএনপি কতটুকু সফল হবে তা বিএনপির নেতৃত্বের উপরই নির্ভর করবে। সাধারণ মানুষও সরকার পরিবর্তন চায়। কিন্তু সেই পরিবর্তনকে বাস্তবে রূপদান দিতে যে সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজন তা বিএনপি’র মধ্যে এখন অনুপস্থিত। কার্যকরি কিছু কৌশলের মাধ্যমে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারে। গত ১৪ জুলাই চ্যানেল ২৪ এ এক সাক্ষাতকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব কথা বলেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি কর্মী নির্ভর নয় বরং সমর্থন নির্ভর দল। তাছাড়া নেতৃত্বের অভাবে দলের আন্দোলনকে কাক্সিত লক্ষ্যে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিতে চাইলে দলের ভেতর শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।

হাসানুল হক ইনুরা এদেশে জঙ্গিবাদ ও সশস্ত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে : জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এদেশে জঙ্গিবাদ ও সশস্ত্র রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা à¦¹à¦²à§‡à¦¨Ñ à¦¹à¦¾à¦¸à¦¾à¦¨à§à¦² হক ইনুরা। অথচ জঙ্গিবাদের কথা তার মুখ থেকেই বেশি শোনা যায়। তিনি আরো বলেন, আ.লীগ কথা বলার রাজনীতিতে দক্ষ। আমির হোসেন আমু ও ড. হাছান মাহমুদ যে ভাষায় কথা বলেন তা রাজনীতি শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।

গত শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি’র ‘আওয়ার ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘তালপট্টির রাজনীতি’। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিক সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম এমপি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকাণ্ড সমালোচনা à¦•à¦°à§‡Ñ à¦®à§‹à§Ÿà¦¾à¦œà§à¦œà§‡à¦® হোসেন আলাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি করে এর কোনো হিসেবে নেই। তারা বিরোধী দলের চিফ হুইপ’কে পিটিয়ে রাষ্ট্রপতির পদক পায়। তাদের দ্বারাই আবার বিরোধী দলকে দমন করা হয়। জীবনের মায়া প্রত্যেকের রয়েছে।

বিএনপির ঈদের পরে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খুন, গুম ও অপহরণে জনগণ অতিষ্ঠ। বিএনপি ঈদের পরে এমন কোনো কর্মসূচি দেবে না যেন জনগণ ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। তবে, সরকার আর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, জনগণের দাবির কাছে সরকারের মাথানত করতে হবে, সেই কৌশলেই আমরা যাব।

অতি ভালো কখনই ভালো হয় না : গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বাংলাভিশনের সাপ্তাহিক মেগালাইভ টকশো ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, সরকারি দল আওয়ামী লীগ যে জায়গায় থাকুক না কেন দেশে আইনের শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অকারণে সরকারি দল সংলাপে এসেছে এমন সংস্কৃতির নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনও দেখা যায়নি। সরকারি দল যখন কোনো চাপে পড়ে তখনই তারা অবস্থান গ্রহণ করে। আবার যখন চাপ মুক্ত হয় তখন সরকারি দল সংলাপ থেকে দূরে সরে থাকে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারি দলের যে বক্তব্য ছিল বর্তমানে আওয়ামী লীগ তার সেই অবস্থানে নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করছে তারা বেশ ভালো অবস্থানে আছে। অনেক সময় অতি ভালো কখনই ভালো হয় না।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিবি এর উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান।

নঈম নিজাম বলেন, সমস্যা জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যাই হোক না কেন যেকোনো সঙ্কট নিরসনের মূল ও একমাত্র পন্থা হলো সংলাপ। তবে সংলাপের জন্য সরকারি এবং বিরোধী দুই দলকেই আন্তরিক হতে হবে এবং এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।

তিনি আরো বলেন, সমঝোতার জন্য বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে একসাথে সংলাপে আসতে হবে। তবে জাতীয় সঙ্কট নিরসনে সর্বাগ্রে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই করতে হবে। বিদেশী শক্তির ভরসায় থাকলে কখনই সমস্যার সমাধান আসবে না এবং বিএনপিকে তার সঠিক স্থান চিহ্নিত করতে হবে। তবে তার আগে বিএনপিকে তার দল চাঙ্গা করতে হবে এবং হতাশাভুক্ত কর্মীদের হতাশাভাব দূর করতে হবে। এছাড়া বিএনপিকে অভ্যন্তরীণ বিরোধ দূর এবং সাংগঠনিক কাঠামো আরো মজবুত করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে পরবর্তী গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

সাকিবের সাথে কোর্ট মার্শাল করা হয়েছে : গত ৯ জুলাই দৈনিক সকালের খবরের স্পোর্টস এডিটর এম এম কায়সার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, যেকোনো ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ রয়েছে। ছয় মাসের জন্য সাকিবকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বটে, তবে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। সাকিব তার ভুলের কথা স্বীকার করেছিল। কিন্তু বিসিবি খুব তড়িঘড়ি করে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এতে সাকিব খুব কম সময় পেয়েছে। অর্থাৎ সাকিবের শৃঙ্খলা ভঙ্গের পুরো বিষয়টায় ডিসিপ্লিন কমিটিতে যায়নি। বিসিবি’র এই সিদ্ধান্তকে আমি মনে à¦•à¦°à¦¿Ñ à¦¸à¦¾à¦•à¦¿à¦¬à§‡à¦° সাথে কোর্ট মার্শাল করা হয়েছে।

মানজুর আল মতিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিবি’র পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল-আলম।

এম এম কায়সার আরো বলেন, সাধারণত কোর্ট মার্শালে যা করা হয় বিসিবি সাকিবের সাথে তাই করেছে। এক অর্থে সাকিবকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা একটু বেশি বাড়াবাড়ি। শৃঙ্খলা যেকোনো খেলার জন্য অত্যাবশ্যক এবং ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। সাকিব শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এটা প্রমাণিত। তবে পুরো ব্যাপারটি পর্যালোচনা করলে দেখা à¦¯à¦¾à§ŸÑ à¦¶à¦¾à¦¸à§à¦¤à¦¿à¦° মাত্রাটা শুধু সাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও অনেক বড়মাপের হয়ে গেছে। ক্রিকেট বোর্ড অভিভাবক সংস্থা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যেকোনো খেলোয়াড়কে শাস্তি দিতেই পারে। তবে ক্রিকেটে ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।

রাজনীতির অপব্যবহারে, ভর্তি বাণিজ্য তুঙ্গে : গত ১৪ জুলাই সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ভর্তি বাণিজ্য নতুন বিষয় নয়। সবসময় রাজনীতিকরণের মধ্য দিয়ে ভর্তি বাণিজ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমাদের দেশে। তবে অতীতের ভর্তি বাণিজ্য ছিল দখলদারি ভিত্তিক। ছাত্রদল বা ছাত্রসংগঠনের উপর ভিত্তি করে কোটার উপর ভর্তি বাণিজ্য দেদারসে চলে আসছে। বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ছাত্রসংগঠন শক্তিশালী করার জন্যই ভর্তি বাণিজ্য প্রথা ঠিকিয়ে রেখেছে।

মানজুর আল মতিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন এবং বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।

আশরাফ কায়সার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের বিদ্যার পিঠ। কিন্তু বর্তমানে এই শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর রকমের একটি দুর্নীতি চলছে। প্রকৃত মেধাবী ছাত্ররা তাদের মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছে না এই বাণিজ্যর কারণে। শুধু দলীয় প্রভাবের জন্য নয় অর্থের একটা বড় অংকের লালসাও রয়েছে ভর্তি বাণিজ্যের ভেতর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনগুলো ভর্তি বাণিজ্যের সাথে সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি জড়িত। গণমাধ্যমে এই সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতোমধ্যে এসেছে। আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন। তবে ছাত্রলীগের উপরে ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। রাজনীতিতে সুশাসন গণতন্ত্রের একটি অংশ। তবে সেই রাজনীতি অবশ্যই আদর্শ নির্ভর হতে হবে। ভর্তি বাণিজ্য শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে।

বাংলাদেশে জন্য বিএনপির অবদান অনস্বীকার্য : বিএনপি কখনই জামায়াত নয়। বিএনপির বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললে বিএনপি কখনই ছেড়ে দেবে না কারণ বিএনপির এখনও সেই অসহায় পর্যায় আসেনি। জামায়াতের সাথে যে ভাষায় কথা বলা হয় বিএনপির সাথে সেই ভাষায় কথা না বলাই ভালো। কারণ শহীদ জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ডিপেন্ড করার মতো লোক বাংলাদেশে এখনও বর্তমান। আর সেই ডিপেন্ড অত্যন্ত শক্তিশালী। শহীদ জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া বানের জলে ভেসে আসেনি।

মেজর আখতারুজ্জামান গত মঙ্গলবার একাত্তর টেলিভিশনের সাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় ‘একাত্তর সংযোগ’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

মেজর আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সৃষ্টির পেছনে অনেক নায়কের অবদান রয়েছে। একেক জনের নায়ক একেক জন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ইতিহাস নিয়ে যত ঘাটাঘাটি কম হবে ততই আমাদের জন্য ভালো এবং এতে আমাদের নায়কেরা সম্মানজনক স্থানে থাকবে। বাংলাদেশের জন্য বিএনপির অনেক অবদান আছে এটা অনস্বীকার্য।

আ’লীগ দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় : গত মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী চ্যানেল আইয়ের জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নৈতিকতার দিক থেকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ স্বল্প সংখ্যক ভোটারের দ্বারা আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত। আর এত কম সংখ্যক ভোটারের দ্বারা নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করবে এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।

শামীম হায়দার বলেন, বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগণ দেশের একটা বৃহত্তর পরিবর্তন চায়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেনি তারা ভোট দেয়ার সুযোগ খুঁজছে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবৈধ সরকার, বিএনপির তা বলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এই নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক হয়েছে। যদিও নির্বাচনে ভোটের উপস্থিতি কম ছিল তার পরও এই নির্বাচনকে বেআইনি বা অবৈধ বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দীর্ঘ ছয়মাসে রাস্তার বিরোধী দল বিএনপি কোনো আন্দোলনে নামেনি। এটা বিএনপির জন্য ভালো দিক। হয়তো বিএনপি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশায় ছিল এবং আছে। এটা দেশ এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য অবশ্যই ভালো দিক। এই ছয়মাসে আর কিছু হোক আর না হোক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মোটেও বাধাগ্রস্ত হয়নি। তবে এটাও লক্ষণীয় যে এই ছয়মাসে আওয়ামী লীগ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্বোগ হাতে নেয়নি এবং এর পেছনে চাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আওয়ামী লীগ এই ছয়মাসে বিদেশী কিংবা দেশী কোনো প্রকার চাপ পায়নি। দেশী চাপের মধ্যে পড়ে জনগণ কী ভাবছে এবং বিদেশী চাপ হল কূটনৈতিক চাপ। তবে এই চাপের মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ যেমন বিদেশী শক্তির উপর নির্ভরশীল ঠিক তেমনি বিদেশীরাও বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।