সর্বাধিক পঠিত
- রাষ্ট্র চালাতে প্রয়োজন রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন
- নতুন সংবিধান নাকি সংশোধন?
- বিপ্লবের সুফল পেতে যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে
- রাষ্ট্রের কাজ দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন
- ব্যাংকিং খাতের ১৭ বিষফোড়া
- কার্যকর জাকাত ব্যবস্থায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
- ১৭ বছর ছিল দুঃসহ কালো রাত
- দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনেই দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ
- আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে না : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
- ফুলের সুবাস দাও
কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অন্তর্বর্তী সরকার
নতুন সংবিধান নাকি সংশোধন?
॥ জামশেদ মেহ্দী॥
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করেছে। এগুলো হলো- দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার প্রশাসন, বিচার বিভাগ সংস্কার কশিন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। প্রত্যেকটি কমিশনের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিশন কাজ শুরু করবে। কাজ শেষ করার টাইম দেওয়া হয়েছে ৩ মাস।
অভিজ্ঞমহল বলেন, এসব কমিশনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং জটিল দায়িত্ব হলো সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাজ। সংবিধান সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো গঠিতই হয়নি। অথচ ইতোমধ্যেই কতিপয় মৌলিক প্রশ্নে একাধিক রাজনৈতিক মহলের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। ইতিপুর্বেকার চেয়ারম্যান শাহদীন মালিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংবিধান সংস্কার সম্পর্কে তিনি কোনো ইঙ্গিত দিতে পারেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেছেন, এখনো তারা কোনো টার্মস অব রেফারেন্স পাননি। টার্মস অব রেফারেন্স এক ধরনের গাইডলাইন। সেই গাইডলাইন ধরেই বিভিন্ন কমিশন কাজ করে। ড. শাহদীন মালিকের এ কথার মধ্যে সারবত্তা রয়েছে।
কমিশনের কাজ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, এখনো কোনো অফিসই নেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যেই সংবিধান সংস্কার সম্পর্কে তিন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। প্রথমটিতে বলা হচ্ছে যে, বর্তমান সংবিধানের ব্যাপক সংশোধন করা হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সংবিধানে কোনো মৌলিক বা ব্যাপক পরিবর্তন হবে না। নির্বাচিত সরকার গঠনের জন্য যেখানে যতটুকু সংশোধনের প্রয়োজন, ততটুকুই করা ....বিস্তারিত
বিপ্লবের সুফল পেতে যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
দেশবাসীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ২০২৪। শেখ হাসিনার মতো দুর্ধর্ষ ফ্যাসিস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন এমন কথা ভাবতেও সাহস পায়নি নির্যাতিত মজুলম বাংলাদেশিরা। তারা প্রার্থনা করেছেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ জালিম অধ্যুষিত জনপদ থেকে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’ আল্লাহ প্রার্থনা কবুল করেছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের ঈমানদার মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। চায়ের আড্ডায়, বাসে, ট্রেনে বৈঠকখানায় চলছে এমন আলোচনা। ফ্যাাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ে বিজয়ের আনন্দে আবরাহার আক্রমণ থেকে পবিত্র কাবা ....বিস্তারিত
টাঙ্গাইলে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান
১৭ বছর ছিল দুঃসহ কালো রাত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালো রাত। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পল্টনসহ সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শ’খানেক মানুষকে হত্যা করেছিল। ফ্যাসিজমের সূত্রপাত ওখানেই হয়েছিল। স্বৈরতন্ত্রের পদধ্বনি ওখান থেকেই এসেছিল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জামায়াত আমীর বলেন, ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর কোমরে ....বিস্তারিত
ব্যাংকিং খাতের ১৭ বিষফোড়া
আইবিএল দখলকারীদের শাস্তি সময়ের দাবি
॥ উসমান ফারুক ॥
শুধু রাজনৈতিক কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ১৫ বছরের দুঃশাসনের সময় লাইসেন্স দিয়েছে ১৩টি ব্যাংকের। আগেরবার ক্ষমতায় গিয়ে দেয়া ৪টি মিলিয়ে আওয়ামী লীগের দেয়া ১৭ ব্যাংক এখন দেশের ব্যাংকিং খাতের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। আর একসময়ে ভালো থাকা চার ব্যাংক দখল করার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের ২৪টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভেঙে দুর্বল ব্যাংকে পরিণত করেছে। এসব ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, আর্থিক লুটপাট করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে পাচার করেছে একাধিক গ্রুপ। আলোচিত ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারি করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৯২ হাজার কোটি টাকা। এসব কারণে গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ....বিস্তারিত
স ম য়ে র ভা ব না
রাষ্ট্র চালাতে প্রয়োজন রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন
॥ ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া ॥
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত আগস্ট মাসে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। পতনের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এ সরকারে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। শুধু তাই নয়, দেশের সংবাদমাধ্যমেরও কোনো প্রতিনিধি তথা সিনিয়র সাংবাদিক বা সম্পাদক নেই। দেশের কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গঠিত একটি অরাজনৈতিক এ সরকার বিগত দেড় মাস ধরে রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষে যেমন বক্তব্য আসছে, তেমনি সরকারের বিপক্ষেও বক্তব্য আসছে। বিশেষ করে সরকারের ....বিস্তারিত
সম্পাদকীয়
রাষ্ট্রের কাজ দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন
রাষ্ট্রের কাজ দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন। এ কাজ যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়ার শপথ নিয়ে জনগণের সম্মতিতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন উপদেষ্টারা। প্রতিটি গণতান্ত্রিক সরকারই এভাবে দায়িত্ব নেয়। এ সম্মতির জন্যই প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ নির্দিষ্ট সময় পরপর অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের আয়োজন করে। কিন্তু বিগত দেড় দশকে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সেই গণতান্ত্রিক ধারা ধ্বংস করেছেন। তিনি নির্বাচন ও ভোট শব্দের আগে যোগ করেছিলেন, একতরফা, রাতের ভোট ও ডামি নির্বাচন ইত্যাদি বিশেষ বিশেষণ। জনগণ হাসিনার এ ফ্যসিজমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। হাজারো নিরীহ-নিরপরাধ সংগ্রামী মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ ২য়বার স্বাধীন হয়েছে। হাসিনা তার দলের সাঙ্গ-পাঙ্গদের ফেলে জীবন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। নোবেল বিজীয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ....বিস্তারিত